সংক্ষিপ্ত
অতিমারির সময়ে খুব একটা ভালো ছিলেন না তরুণ মজুমদার। প্রায়শই অসুস্থ হয়ে পড়ছিলেন তিনি। ১৫ জুন ফের তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করতে হয়েছিল। বার্ধক্য জনিত নানা অসুখে তিনি ভুগছিলেন। শনিবার থেকে শারীরিক অবস্থা খারাপ হতে থাকে
বেশ কয়েকদিন ধরেই অসুস্থ ছিলেন। শেষরক্ষা হল না। চলে গেলেন প্রখ্যাত পরিচালক তরুণ মজুমদার। অতিমারির সময়ে খুব একটা ভালো ছিলেন না তরুণ মজুমদার। প্রায়শই অসুস্থ হয়ে পড়ছিলেন তিনি। ১৫ জুন ফের তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করতে হয়েছিল। বার্ধক্য জনিত নানা অসুখে তিনি ভুগছিলেন। শনিবার থেকে শারীরিক অবস্থা খারাপ হতে থাকে। রবিবার সমস্যাটা আরও বাড়ে। জানা যায় তিনি ভেন্টিলেশনে রয়েছেন। তাঁর সেকেন্ডারি ইনফেকশন হয়েছে বলে হাসপাতাল সূত্রে খবর। তাঁর ডায়ালিসিস শুরু হয়।
‘দাদার কীর্তি’র স্রষ্টার রক্তচাপ ছিল নিচের দিকে। তাই স্বাস্থের খুঁটিনাটি আরও ভালভাবে খতিয়ে দেখেছিল মেডিকেল বোর্ড। এই পরিচালক দিন কয়েক আগেও এক তথ্যচিত্রের রেকি করতে পৌঁছে গিয়েছিলেন পুরুলিয়ায়। অনীক দত্তের অপরাজিত’র স্পেশ্যাল স্ক্রিনিং-এ হাজির ছিলেন, অনীকের ছবি দেখে নিজের মুগ্ধতাও প্রকাশ করেন তিনি।
জানা গিয়েছে, বহু বছর ধরেই কিডনির সমস্যা ছিল বর্ষীয়ান পরিচালকের। তাঁর ডায়ালিসিস চলছিল। সেকেন্ডারি ইনফেকশনও ছিল বলে খবর। এর আগেও একবার তরুণ মজুমদারের স্বাস্থ্যের অবনতি হয়েছিল। সেই সময় তাঁকে ভেন্টিলেশনে দিতে হয়েছিল। কিন্তু অল্প সময়ের মধ্যেই ভেন্টিলেশন থেকে পরিচালককে সরিয়ে দেওয়া হয়। তাঁর রাইলস টিউবও খুলে দেওয়া হয়েছিল। এর আগে ট্র্যাকিওস্টোমি পদ্ধতির মাধ্যমে তরুণ মজুমদারের ফুসফুসে অক্সিজেন পৌঁছে দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়। সাধারণত এই ধরনের পদ্ধতিতে ভোকাল কর্ড বা স্বরতন্ত্রীর নিচে ফুটো করা হয়। সেখান থেকে শ্বাসনালি পর্যন্ত ঢুকিয়ে দেওয়া হয় একটি টিউব।
পরিচালক তরুণ মজুমদারের স্বাস্থ্যের অবস্থার অবনতি এর আগেও হয়েছে। শহরের একটি হাসপাতালে ক্রিটিক্যাল কেয়ার ইউনিটে (সিসিইউ) স্থানান্তর করা হয় তখন। হাসপাতালের একজন সিনিয়র কর্তা জানিয়ে ছিলেন, তরুণ মজুমদার কিডনি এবং হৃদরোগজনিত অসুস্থতায় ভুগছেন। সূত্রের খবর, পরিচালকের ক্রিয়েটিনিনের মাত্রা তিনের নিচে চলে গিয়েছিল। অন্যান্য অঙ্গে চাপ পড়তে শুরু করে।
তাঁর চিকিৎসার জন্য মেডিক্যাল বোর্ডে ছিলেন, চেস্ট মেডিসিন চিকিৎসক সোমনাথ কুণ্ডু, নেফ্রলজিস্ট অর্পিতা রায়চৌধুরী, কার্ডিওলজিস্ট সরোজ মণ্ডল, মেডিসিন চিকিৎসক সৌমিত্র ঘোষ, নিউরো মেডিসিন চিকিৎসক বিমান রায় প্রমুখ।