সংক্ষিপ্ত

৮০-তেও অমিতাভ ‘রাগী যুবক’! এক দল বন্ধু জুটিয়ে পৌঁছে যেতে পারেন এভারেস্ট চুড়োয়। বন্ধুত্বের টানে।

বন্ধুত্বের টানে কতটা করা যায়? সিঁড়ি ভাঙতে পারেন না যাঁরা এভারেস্টে উঠতে পারেন? অমিতাভ বচ্চন বলছেন, সম্ভব। তিনি ৮০-তেও পাহাড়ে যেতে পারেন। নদি পেরোতে পারেন। জঙ্গলে ঘুরতে পারেন। এবং আবারও রুপোলি পর্দার রাগী যুবক ‘অমিত’ হয়ে সাধারণের চোখে স্বপ্ন এঁকে দিতে পারেন। হাত ধরে পৌঁছে দিতে পারেন সব পেয়েছির দেশে। যে ভাবে তাঁর হাত ধরেছেন পরিণীতি চোপড়া। সূরজ বরজাতিয়ার ‘উঁচাই’ ছবিতে। দীপাবলির আগে যার ট্রেলার মুক্তি পেল মঙ্গলবার। ছবি-মুক্তি ১১ নভেম্বর। 

সূরজের ছবি মানেই ‘হাম সাথ সাথ হ্যায়’ অনুভূতি। সেই অনুভূতি এই ছবিতেও ছড়িয়ে। একুশ শতকে সোশাল মাধ্যমে মুখ গুঁজে পড়ে থাকা প্রজন্ম বন্ধুত্বের মর্ম বোঝে? যৌথ পরিবারের আনন্দের স্বাদ জানে? আরও একবার তাই তাঁর সেই অমোঘ অস্ত্রে ঘায়েল হতে চলেছেন আট থেকে আশি। পর্দায় ‘অমিত’-এর হাত ধরেছেন ‘ওম’ (অনুপম খের), ‘জাভেদ’ (বোমান ইরানি), ‘ভূপেন’ (ড্যানি)। ‘চার ইয়ারি কথা’ আচমকাই থমকে যায় ভূপেনের মৃত্যুতে। তার আগে প্রচণ্ড উল্লাসে জীবন উপভোগ করেছেন তিনি। নিজের জন্মদিনে বাকি তিন বন্ধুকে নিয়ে। তখনও তাঁর স্বপ্ন, হাঁটুর জোর কমুক। এক বার এভারেস্টে উঠতেই হবে।

YouTube video player

সেলফি তুলতে তুলতে, হাসতে হাসতে, শরীরের কসরত করতে করতেই যখন এক বন্ধু তারাখসার মতো টুপ করে খসে পড়লেন, বাকি বন্ধুরা এগিয়ে এলেন তাঁকে ‘কাঁধ’ দিতে। তাঁর স্বপ্নকে বয়ে নিয়ে চলার জন্য। এখানেও সবার আগে সেই ‘অমিত’। বাকিদের নিয়ম করে শরীরচর্চা করিয়েছেন। ছোট পর্দা থেকে জেনেছেন পাহাড়ে চড়ার খুঁটিনাটি। তার পর ডায়াবেটিসের রোগী ‘ওম’কে ধমকে ধামকে সবাইকে নিয়ে পাড়ি দিয়েছেন পাহাড় চুড়োয়। সঙ্গে তিন সঙ্গিনী! শেরপা পরিণীতি আর দুই বন্ধুর স্ত্রী নীনা গুপ্তা, সারিকা। সবাইকে নিয়ে হিমালয়ের কোলে পৌঁছতেই ‘অমিত’ দেখলেন, যেন হাসিমুখে ‘ভূপেন’ অভ্যর্থনায়। স্বপ্নপূরণের আনন্দ চিকচিক করছে তাঁর চোখ। 

এই ছবিতে একা অমিতাভ নন, অনুপম, বোমান, ড্যানি, সারিকা, নীনা সবাই প্রমাণ করেছেন, ‘বুডঢা হোগা তেরা বাপ’! ছবিজুড়ে তাই অসংখ্য ‘জাদু’। ছোট-বড় পর্দা মিলিয়ে বহু বছর বলিউডে কাটিয়ে ফেললেন নীনা। সায়াহ্নে এসে পর্দা ভাগ করে নিলেন অমিতাভের সঙ্গে! তবে ছবির ট্রেলার দেখে কিন্তু বহু বাঙালির ‘হিয়া নস্টাল’। এই ছবি যেন বাংলা ‘টনিক’-এর গন্ধমাখা? এ ভাবেই তো দেব স্রেফ ইচ্ছাশক্তির জোরে পাহাড়ে পৌঁছে দিয়েছিলেন বৃদ্ধ, অবহেলিত পরাণ বন্দ্যোপাধ্যায়কে!