সংক্ষিপ্ত

চান্দ্রেয়ী, সন্দীপ্তা, দিতিপ্রিয়া— তিন নারীই যেন তরবারি! অনেক না বলা প্রশ্নের উত্তর সপাট দিলেন। ক্যামেরার মুখোমুখি বসে। তিন নায়িকা কতটা চাঁচাছোলা?

চান্দ্রেয়ী ঘোষ, সন্দীপ্তা সেন, দিতিপ্রিয়া রায়। তিন জনেই ব্যস্ত অভিনেত্রী। তাঁদের অনুরাগীও অসংখ্য। সামাজিক পাতায় স্বাভাবিক ভাবেই ঝুড়ি ঝুড়ি মন্তব্য জমা পড়ে। কিন্তু সময়ের অভাবে সব প্রশ্নের জবাব দিয়ে ওঠা হয় কী? ক্যামেরার মুখোমুখি বসে তিন নায়িকার অকপট স্বীকারোক্তি, ‘‘দেখেও সব সময় উত্তর দিয়ে ওঠা হয় না। তাই আমরা কিছু প্রশ্ন বেছে নিয়ে তার উত্তর দেব বলে ঠিক করেছি।’’ যেমন প্রশ্ন ঠিক তেমনই তার উত্তর! এ রকমই কথার পিঠে কথা বুনে এক দম অন্য ধরনের আড্ডা দিলেন তাঁরা। তাঁদের বলার ভঙ্গি, আর বেছে নেওয়া শব্দমালা— প্রশ্ন আর উত্তরকে গেঁথে দিল এক সুতোয়। ফলে, পুরো পর্ব তিন অভিনেত্রীর মতোই টক-ঝাল-মিষ্টি!

অনুরাগীদের সঙ্গে কথা বলতে বসে তিন জন নানা ধরনের প্রশ্ন বেছে নিয়েছিলেন। যার মধ্যে একটা প্রশ্ন তিন অভিনেত্রীর উদ্দেশ্যে করা, ‘‘আমাদের রাতের ঘুম উড়ে গেল!’’ অর্থাৎ, তাঁদের রূপে, জৌলুসে এতটাই মুগ্ধ তাঁরা যে তাঁদের ছাড়া অনুরাগীদের চোখে ঘুমও আসে না! কী জবাব এল তিন কন্যের থেকে? সন্দীপ্তা মনস্তত্ত্ব নিয়ে পড়াশোনা করেছেন। প্রয়োজনে কাউন্সেলিংও করেন। তিনি বেশ গুছিয়ে উত্তর দিলেন, ‘‘ভাল কোনও গান শুনুন। প্রাণায়াম করুন। দেখবেন নিজে থেকেই ঘুম চলে আসবে।’’ বাকি দু’জন তাঁর এই উত্তরে বেজায় খুশি। 

 

 

প্রায় একই ধরনের প্রশ্ন ধেয়ে এসেছে দিতিপ্রিয়ার দিকেও। ‘‘আমি তোকে আদর করতে চাই!’’ শুনে ছোট পর্দার ‘রানিমা’ নিশ্চয়ই রেগে আগুন? একেবারেই নয়। উল্টে তিনিও প্রশ্নের ভঙ্গিতেই হাসতে হাসতে জবাব দিলেন, ‘‘জীবনে সব কিছু চাইলেই কি পাওয়া যায়? আমিও তো অনেক কিছুই চাই। পাচ্ছি কি?’’ দিতিপ্রিয়ার উত্তর শুনে হেসে ফেলেছেন চান্দ্রেয়ী। হঠাৎ কেন এমন প্রশ্নোত্তর পর্ব নিয়ে ক্যামেরার মুখোমুখি তিন কন্যে? আসল ঘটনা, হইচই ওয়েব প্ল্যাটফর্মে তাঁদের নতুন সিরিজ ‘বোধন’ মুক্তি পেয়েছে মহালয়ায়। যেখানে নতুন শতকেও নারী অবমাননার বিরুদ্ধে সোচ্চার সন্দীপ্তা-দিতিপ্রিয়া-চান্দ্রেয়ী। পর্দায় তাঁরা যথাক্রমে অধ্যাপিকা-ছাত্রী-আইনজীবী। সেই সিরিজেরই প্রচারে এসেছিলেন তাঁরা। টানটান জবাব দিয়ে দর্শক-অনুরাগীদের বোঝাতে চেয়েছেন, এ বার থেকে নারীর হ্যাঁ-কে হ্যাঁ আর না-কে না বলে সম্মান করতে হবে। অকারণ অশ্লীলতা, অসভ্যতার দিন শেষ। নিজের প্রাপ্য সম্মান নারী আদায় করে নিতে শিখে গিয়েছে। তাই একুশের নারী খোলা তরবারির মতোই ভয়ঙ্করী!