সংক্ষিপ্ত

স্বনামধন্য ঔপন্যাসিক শ্রী মহর্ষি বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়কে নিয়ে রাম কমল মুখোপাধ্যায় যে ছবি তৈরি করছেন সেটি হল ১৭৭০-এক সংগ্রাম। মহর্ষি বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের অন্যতম সেরা উপন্যাস আনন্দমঠ থেকে অনুপ্রাণিত হয়েই এই ছবি তৈরির ভাবনা জেগেছে পরিচালকের মনে। এই ছবিতে ব্রিটিশ রাজত্বের বিরুদ্ধে স্বরাজ আন্দোলনের জন্য বন্দে মাতরম গানের ১৫০ বছরের পূর্তিকেও চিত্রায়িত করা হবে। 

পুরস্কারজয়ী বিশিষ্ট চিত্রপরিচালক রাম কমল মুখোপাধ্যায়ের ভাবনায় এবার ঔপন্যাসিক শ্রী মহর্ষি বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের আনন্দমঠ উপন্যাসের কাহিনিই ফুটে উঠবে বড় পর্দায়। হিন্দি , তামিল আর তেলেগু-এই তিন ভাষায় তৈরি হবে ছবিটি। গত ৮ এপ্রিল শ্রী মহর্ষি বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের ১২৮ তম জন্মদিন উপলক্ষ্যে এই বিশেষ ঘোষণা করেন পরিচালক রাম কমল মুখোপাধ্যায়। জি স্টুডিও-র কর্তা সুজয় কুট্টির সঙ্গে যৌথভাবে লেজেন্ডারি লেখক কে ভি বিজয়েন্দ্র প্রসাদকে এই ছবির স্ক্রিপ্ট লেখার জন্য অনুরোধ করলে তিনি সঙ্গে সঙ্গে রাজি হয়ে যান। এই প্রসঙ্গে একটা কথা বলাই বাহুল্য, বাহুবলী এবং আরআরআর-এর মত মাস্টারব্লাস্টার ছবির গল্প যার লেখনীতে উঠে এসেছিল অর্থাৎ বিশিষ্ট পরিচালক এসএস রাজামৌলির বাবা, তিনিই এবার কলম ধরবেন আনন্দমঠ উপন্যাসের জন্য। এই ছবির আরেকটি ইউএসপি হল, প্রথমবার দক্ষিণী ভাষায় তৈরি হতে চলেছে আনন্দমঠ। 

উল্লেখ্য, স্বনামধন্য ঔপন্যাসিক শ্রী মহর্ষি বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়কে নিয়ে পরিচালক যে ছবি তৈরি করছেন সেটি হল ১৭৭০-এক সংগ্রাম। মহর্ষি বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের অন্যতম সেরা উপন্যাস আনন্দমঠ থেকে অনুপ্রাণিত হয়েই এই ছবি তৈরির ভাবনা জেগেছে পরিচালকের মনে। এই ছবিতে ব্রিটিশ রাজত্বের বিরুদ্ধে স্বরাজ আন্দোলনের জন্য বন্দে মাতরম গানের ১৫০ বছরের পূর্তিকেও চিত্রায়িত করা হবে। ১৮৭২ সালের বঙ্গদর্শন ম্যাগাজিনে মহর্ষি বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় তাঁর আনন্দমঠ উপন্যাসের জন্য বন্দে মাতরম গানটি কম্পোজ করেছিলেন। এই ছবির প্রযোজনার দায়িত্বে রয়েছেন প্রযোজক শালিন্দ্র কুমার, সুরজ শর্মা। 

আরও পড়ুন-মৃত্যুর মুখ থেকে ফিরে প্রথম পোস্ট মালাইকার, দুর্ঘটনা পর কেমন আছেন বলি ফ্যাশনিস্তা

ছবির লেখক কে ভি বিজয়েন্দ্র প্রসাদ বলেন, যখন জি স্টুডিও-র কর্তা সুজয় কুট্টি তাঁকে এই ছবির স্ক্রিপ্ট লেখার প্রস্তাব দেন তখন তিনি প্রথমে রাজি  হন নি। তিনি অকপটে স্বীকার করেন যে বহুদিন আগে আনন্দমঠ উপন্যাাসটি পড়েছিলেন। আর তাঁর মনে হয়েছিল আজকের প্রজন্ম হয়তো এই উপন্যাসের কাহিনির কদর সেইভাবে করতে পারবে না। কিন্তু যখন পরিচালক রাম কমল মুখোপাধ্যায় তাঁকে বলেন তিনি ঠেক কোন দৃষ্টিকোন থেকে সিনেমা তৈরি করতে চাইছেন সেই সময় তাঁর মনে হয়েছিল এটা একটা সম্পূর্ণ অন্য ধরনের প্রেক্ষাপট তৈরি হতে চলেছে যা সিনেমার জন্য একদম আদর্শ। তারপর বেশ কয়েকবার আলোচনা পর্বের পর এই ছবির স্ক্রিপ্ট লেখার জন্য দাররুণ উৎসাহ পেয়েছেন তিনি। 

আরও পড়ুন-এই কাজ করতেই জুটেছিল 'যৌনকর্মী'র তকমা, ভুগতেন মানসিক অবসাদে, কীভাবে সুস্থ হলেন রশ্মিকা

শ্রী মহর্ষি বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের আনন্দমঠ উপন্যাস অবলম্বনে ছবি তৈরির জন্য স্ক্রিপ্ট লেখা নিয়ে তিনি এখন খুবই এক্সাইটেড। অন্যদিকে সুজয় কুট্টি বলেন, এই ছবি নিয়ে তিনি নিজেও খুব উৎসাহিত। ঐতিহ্য বজায় রেখে সিনেমার প্রয়োজনে বন্দে মাতরম গানকে নতুন মোড়কে দর্শক দরবারে তুলে ধরার যে ভাবনা সেটি নিয়ে  খুব আশাবাাদী তিনি। সুজয় আরও বলেন, বিশিষ্ট লেখক কে ভি বিজয়েন্দ্রের সঙ্গে তিনি আগেও মনিকর্ণিকা সহ আরও বেশ কয়েকটি ছবির  কাজে যুক্ত ছিলেন। তাই পরিচালক রাম কমল মুখোপাধ্যায় যখন এই ছবির প্রস্তাব নিয়ে তাঁর কাছে আসেন তিনি সঙ্গে সঙ্গে সিনেমার স্ক্রিপ্ট লেখার দায়িত্ব কে ভি বিজয়েন্দ্রকে দেওয়ার কথা বলেন। 

পরিচালক রম কমল মুখোপাধ্যায় বলেন,  এটা ছিল তাঁর ড্রিম প্রোজেক্ট। আর ভারতীয় ছবির দর্শকরা ঠিক কী ধরনের ছবি দেখতে ভালোবাসেন সেই বিষয় নিয়ে কাাটাছেড়া করার পরই আনন্দমঠ উপন্যাসের মত একটি বিষয়রে সিনেমার পর্দায় চিত্রায়িত করার ভাবনা এসেছে তঁর মনে। সেই সঙ্গে আরও বলেন, ভারতীয়  দর্শককে এই ধরনর ছবি উপহার দেওয়ার জন্য এটাই সঠিক সময়। তিনি আশা ককরছেন এই ছবি রুপোলি পর্দায় একটা অন্য মাত্রা নিয়ে আসবে। এই ছবির শুটিং হবে পশ্চিমবঙ্গ, হায়দরাবাদ আর লন্ডনের বিভিন্ন জায়গাায়। পরিচালকের কথা অনুযায়ী, আগামী অক্টোবর মাস থেকেই শুরু হবে সিনেমার শুটিং। 

আরও পড়ুন-'কাপুর নাকি ভাট?' বিয়ের পর কোন পরিচয় রাখতে চান আলিয়া, খোদ জানালেন রণবীর

২০২৩ সালের মে মাাসে প্রথম সিনেমার টিজার-পোস্টার মুক্তি পাবে। ১২০ দিনের শুটিং চলবে বলে জানা যাচ্ছে। বিগ বাজেটের এই ছবির জন্য প্রায় দেড় বছর সময় লগবে। তরুণ প্রযোজক সুরজ শর্মা বলেন, শ্রী মহর্ষি বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের আননন্দমঠ উপন্যাস অবলম্বনে তৈরি কাহিনী তাঁর কাছে এক অন্য অনুপ্রেরণা। এছাড়াও তিনি বলেন, ছোট থেকে লাগান, যোধা আকবর, বাজরাও মস্তানি, বাহুবলীর মত ছবি দেখে বড় হওয়া। বিভিন্ন উপন্যাস স্কুল জীবনে পড়লেও, আনন্দমঠ সিলেবাসের অন্তর্ভুক্ত ছিল না। তাাই যখব পরিচালক এই উপন্যাসের গল্প বলছিলেন তিনি একেবারে মোহিত হয়ে শুনছলেন। মাত্র ২১ বছর বয়সে এই ধরনের ছবির কাজের সঙ্গে যুক্ত হতে পেরে নিজেকে ধন্য বলে মনে করছেন তিনি।