সংক্ষিপ্ত
বাপ্পি লাহিড়ির অকাল প্রয়াণে শোকপ্রকাশ করলেন প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তথা গায়ক বাবুল সুপ্রিয়ো। 'যা সোনা চাই, নিয়ে নাও সলমন', বাপ্পি লাহিড়ি নিয়ে স্মৃতি রোমন্থন বাবুল সুপ্রিয়োর।
বাপ্পি লাহিড়ির ( Singer Composer Bappi Lahiri ) মৃত্য়ুতে স্মৃতির শহরে বাবুল সুপ্রিয়ো। মুম্বইয়ের একটি হাসপাতালে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন কিংবদন্তি সঙ্গীত শিল্পী বাপ্পি লাহিড়ি। তাঁর মৃত্যুকালীন তাঁর বয়স হয়েছিল ৬৯ বছর। গত এক মাস হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন শিল্পী। এদিন বাপ্পি লাহিড়ির অকাল প্রয়াণে শোকপ্রকাশ করলেন প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তথা গায়ক বাবুল সুপ্রিয়ো ( Babul Suprio)।
এদিন বাপি লাহিড়ির মৃত্যুতে বাবুল সুপ্রিয়ো বলেন, করোনা শুরুর আগেই বাপ্পিদার বাড়ি গিয়েছিলাম। কড়াইশুটির কচুরি, লুচি, মাংস, আর পোস্ত খেয়েছিলাম। বাঙালি খাবার ছাড়া উনি কিছু খেতেন না। দুপুরবেলা বাপিদার বাড়ি গেলে শুক্ত খাওয়াতেন। বাপ্পি লাহিড়ির গলায় সবাই আজীবন প্রচুর সোনার গয়না দেখে এসেছেন। এনিয়ে প্রশ্ন করলে কোনও দিনই রাগ করেননি বাপ্পি লাহিড়ি, জানালেন বাবুল। তিনি আরও বলেন, আমরা ফিল্ম সিটিতে একটা শুট্যিং করছিলাম। বাপ্পিদা আলাদা শুটিং করছিলেন। আমরা তখন সলমনের ছবিতে গান গাইছি। আমরা সলমনের গাড়ি ঘিরে দাঁড়িয়েছিলাম। বাপ্পিদা যখন ওনার ভ্যানিটি ভ্যান থেকে নামেন, তখন সলমন দৌড়ে যান। হাটু মুড়ে মাটিতে বসে পড়েন। বাপ্পিদাকে জড়িয়ে ধরেন । তিনি বলেন, বাপ্পিদা আমার সোনা চাই। বাপ্পিদাও হেসে বলেন, যা সোনা চাই, নিয়ে নাও সলমন।' বাবুলের পাশাপাশি, তৃণমূল সুপ্রিমো তথা রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায় শোকপ্রকাশ করে জানিয়েছেন, 'কিংবদন্তি গায়ক এবং সুরকার বাপ্পি লাহিড়ির অকাল প্রয়াণের খবর শুনে আমি মর্মাহত। আমাদের উত্তরবঙ্গের একটি ছেলে, সে তাঁর নিখুঁত প্রতিভা কঠোর প্ররিশ্রমের দ্বারা সর্বভারতীয় খ্যাতি এং সাফল্য অর্জন করেছিলেন। ভারতীয় সঙ্গীতে তাঁর অবদানে আমরা গর্বিত। আমরা বাপ্পি লাহিড়িকে বঙ্গবিভূষণ রাজ্যের সর্বোচ্চ সিভিলিয়ন অ্যাওয়ার্ড দিয়েছি। তাঁর প্রতিভা চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে। সঙ্গীত শিল্পী বাপ্পি লাহিড়ির মৃত্য়ুতে সমবেদনা জানাই।'
আরও পড়ুন, 'মনে পড়ে ওনার হাতের ভেজিটেবিল চপ খাওয়ার কথা', সন্ধ্যাকে নিয়ে স্মৃতি রোমন্থন উষা-মাধবীদের
আরও পড়ুন, 'দু'বছর বয়স থেকে শিলিগুড়ির মাসির বাড়িতে যাতায়াত', এখানেই শেষ লাইভ শো বাপ্পি লাহিড়ির
মুম্বইয়ের একটি হাসপাতালে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন কিংবদন্তি সঙ্গীত শিল্পী বাপ্পি লাহিড়ি। তাঁর মৃত্যুকালীন তাঁর বয়স হয়েছিল ৬৯ বছর। গত এক মাস হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন শিল্পী। সোমবার হাসপাতালের তরফে থেকে ছুটি দেওয়া হয়েছিল শিল্পীকে। কিন্তু ফের ছন্দপতন ঘটে। মঙ্গলবার ফের বাপ্পি লাহিড়ির শারীরিক অবস্থার অবনতি হয় । শিল্পীর পরিবারের তরফ থেকে চিকিৎসককে বাড়িতেই ডেকে পাঠানো হয়। এরপর চিকিৎসকের পরামর্শ তড়ি ঘড়ি ফের তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করে লাহিড়ি পরিবার। বাপ্পি লাহিড়ি একাধিক অঙ্গপ্রত্যঙ্গের সমস্যা থাকায় দ্রুত চিকিৎসা শুরু করেন চিকিৎসকের দল। তবে শেষ রক্ষা হয়নি। অবস্ট্রাক্টিভ স্লিপ অ্যাপনিয়ার জেরে গভীর রাতে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন বাপ্পি লাহিড়ি।