সংক্ষিপ্ত
"মুখ্যমন্ত্রীকে সম্মান করি..." কার্নিভালে গিয়ে নাচ! তীব্র নিন্দা সমাজ মাধ্যমে, কী বললেন ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত?
সামাজিক মাধ্যমে তিলোত্তমার বিচার চেয়ে যে ভিডিও পোস্ট করেছিলেন তাতে ভয়ঙ্কর ট্রোলের মুখে পড়তে হয়েছিল। এরপর শ্যামবাজারের ধর্নামঞ্চে হাজির হয়েছিলেন, কিন্তু সাধারণ মানুষের 'গো ব্যাক স্লোগানে' ফিরে আসতে হয়েছিল শেষমেশ। তারপর থেকে ট্রোলিয়ংয়ের অন্ত নেই। কার্নিভালে তাঁর নাচ নিয়েও উঠে এসেছে বহু করুচিকর মন্তব্য। এবার এই সব কিছুর জবাব দিয়ে টিভি ৯ বাংলায় মুখ খুললেন অভিনেত্রী ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত। অভিনেত্রী জানান, আমি একজন শিল্পী। শিল্পসত্তা নিয়েই আমার জীবন। আমার বিবেক, আমার বোধ কারও কাছে জমা রাখিনি। অনেক বছরের পরিশ্রম আর অধ্যবসায়ের ফলে আমার আজকে এই অবস্থান। আজও একইভাবে পরিশ্রম করি। আমার সম্বন্ধে অনেক কথা শুনি। কিন্তু নিজের লক্ষ্যে স্থির থাকি। আমি অত্যন্ত পীড়িত এবং বিধ্বস্ত তিলোত্তমার ঘটনা নিয়ে। যেসব ডাক্তাররা অনশন করছেন তাঁদের নিয়েও চিন্তিত। আমার ভিতরের কষ্ট বা প্রতিবাদ আমার কাছেই রাখতে চাই। আর কারও সঙ্গে ভাগ করতে চাই না। কারণ যাঁরা সব কিছু এত খারাপ চোখে দেখেন আর এত বিরূপ মন্তব্য করেন, তাঁদের কোনও সুযোগ দিতে চাই না। নিজে যেচে অপমানিত হতে চাই না।
আত্মসম্মান আর অভিমান আমার জন্মের থেকেই অধিকারের মধ্যে পড়ে। মা-বাবার শেখানো সংস্কার হলো, ছোটবেলা থেকে ভাবা যে কিছু মানুষের জন্য কীভাবে ভালো করতে পারি। অন্যের সমস্যায় কীভাবে ঝাঁপিয়ে পড়ব, সেটাই শিখেছি। কাউকে প্রমাণ দিতে চাই না। এই অনুষ্ঠানটার জন্য কলকাতা পুলিশ বডিগার্ড লাইন আবাসিক দুর্গাপুজোর তরফে আবেদন আসে। লালবাজারের পুলিশের দপ্তর থেকে আবেদন জানানো হয় আমার কাছে। তাঁদের সমর্থন করেছি। রাজ্যে প্রশাসনকে আমাদের প্রয়োজন। তাঁদের সমর্থন করার জন্যই একটা নাচ পরিবেশনা করেছিলাম। একজন শিল্পী হিসাবে এটাই আমি করতে পারি। অনেকের জীবিকা এবং পরিবার আমার উপর নির্ভর করে থাকে।
অনেক অনুষ্ঠান, অনেক পুজোর উদ্বোধন বাতিল করেছি। পুরস্কার নিতেও যেতে পারিনি। কিন্তু দু’ একটা কাজের দিকে আমার নাচের দল তাকিয়ে থাকে। তাঁদেরও সংসার খরচ বহন করতে হয়। তিলোত্তমা কাণ্ডে বিচার চাই প্রতিনিয়ত। আমাকে কটাক্ষ করে, ছোট করে কিছু পাওয়া যাবে না। আমি নিজের বিবেকের কাছে পরিষ্কার। একদম পরিষ্কার আকাশের মতো। কালিমা লাগানো যাবে না এত সহজে। আমাকে কোনও তকমা দেওয়া যাবে না। প্রধানমন্ত্রীকে সম্মান করি। মুখ্যমন্ত্রীকে সম্মান করি। প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যর শেষ যাত্রাতেও গিয়েছিলাম। সিবিআই, সরকার এবং সুপ্রিম কোর্টের কাছে আশাপ্রার্থী যে তিলোত্তমা এবং ডাক্তাররা বিচার পাক। মাননীয়ার কাছেও প্রার্থনা জানাই। তবে আমাদের সবাইকে কর্ম করতে হবে। কর্ম আমাদের ধর্ম। কর্মের মধ্যেই প্রতিবাদ থাকবে। থাকবে সুবিচারের প্রতীক্ষা। তিলোত্তমার পরিবারকে আমার প্রণাম। ডাক্তারদের প্রতি সহমর্মিতা রইল। সুস্থ হয়ে উঠুক সবাই এই কামনা করি।"