সংক্ষিপ্ত
দশমীর পরেই শুরু হয়ে গিয়েছে ‘ফেরারী মন’-এর শ্যুট। কখনও নলবন, সাঁতরাগাছি, কখনও স্টুডিয়ো— সব মিলিয়ে অত্যন্ত দ্রুত ইনডোর এবং আউটডোরে কাজ চলছে।
এক জন প্রভু ‘জগন্নাথ’ দেব। অন্য জন ‘দুয়োরানি’! তারাই নাকি কালার্স বাংলার মতুন ধারাবাহিক ফেরারি মন-এর জুটি! এ রকমও হয় নাকি? মানুষের সঙ্গে ঈশ্বর জুটি বাঁধেন? সদ্য প্রকাশিত নতুন ধারাবাহিকের প্রোমো বলছে, নভেম্বরে এমনই অসম্ভব সম্ভব করতে চলেছেন পরিচালক বিধান। তাঁর আগামি ধারাবাহিক ‘ফেরারী মন’-এ। এখানেই ‘জগন্নাথ’ বিপুল পাত্র জুটি বাঁধছেন জি বাংলার ‘ক্ষীরের পুতুল’-এর ‘দুয়োরানি’ সুদীপ্তা রায়ের সঙ্গে। এবং এই ধারাবাহিক দিয়ে দীর্ঘ অবসরের পর ছোট পর্দায় এক দম নতুন রূপে ফিরতে চলেছেন অভিনেত্রী। কোন ধারাবাহিকের জায়গায় নতুন ধারাবাহিকটি আসছে? টেলিপাড়ার খবর, জনপ্রিয় ‘মৌয়ের বাড়ি’ শেষের পথে। সেই জায়গাতেই অর্থাৎ সন্ধে সাড়ে ছ’টায় রোজ দেখা যাবে ‘ফেরারী মন’। এই খবরে মনখারাপ অদ্রিজা রায়ের অনুরাগীদের। কারণ, পর্দায় অদ্রিজা এবং অভিষেক বীর শর্মার রয়াসন যথেষ্ট জনপ্রিয়।
পৌরাণিক চরিত্র থেকে এক লাফে বাণিজ্যিক ঘরানার চরিত্র। ধনী, শিক্ষিত বাবার বখাটে ছেলে। এই স্বাদবদলটাই কি চাইছিলেন? এশিয়ানেট নিউজ বাংলা প্রশ্ন রেখেছিল কমলেশ্বর মুখোপাধ্যায়ের সিরিজ ‘মোহমায়া’-র ‘ঋষি’কে। নতুন ধারাবাহিকে তাঁর নতুন নাম ‘অগ্নি’। প্রশ্নের সঙ্গে সম্পূর্ণ এক মত তিনি। বললেন, ‘‘সিরিজের পরে পৌরাণিক ধারাবাহিক। তাই মনে হচ্ছিল, এ বার আবার নিজেকে বদলানোর সময় এসে গিয়েছে। এবং সেটা খুব দ্রুত করতে হবে। নইলে দর্শক-মন থেকে আমার ইশ্বর ভাবমূর্তি মুছবে না। তাই এই চরিত্র পেতেই খুব খুশি।’’
ধারাবাহিকের প্রচার ঝলক বলছে, ভীষণ রগচটা যুবক ‘অগ্নি’। বাবার কলেজে ভর্তি হয়েছে। সেই জোরে ধরাকে সরা জ্ঞান করে। কাউকে মানে না। পড়াশোনাও করে না। কলেজেই মদ্যপান করে। অধ্যাপকদের কথায় কথায় অপমান করে। এমনই এক বিশ্ববখাটের সঙ্গে ঘটনাচক্রে জড়িয়ে যায় একই কলেজের আত্মবিশ্বাসী ছাত্রী তুলসীর জীবন। যে মেয়ে আত্মসম্মান সম্পর্কে ভীষণ সচেতন। কী করে তেলে আর জলে মিশ খাবে? বিপুলের কথায়, ‘‘সেটাই ধারাবাহিকের আকর্ষণ। কেন ‘অগ্নি’ এত রগচটা, অভিমানী? সবই ক্রমশ প্রকাশ্য।’’ পাশাপাশি সুদীপ্তাকেও ফোনে ধরার চেষ্টা করেছিল এশিয়ানেট নিউজ। তাঁর ফোন বেজে গিয়েছে।
দশমীর পরেই শুরু হয়ে গিয়েছে নতুন ধারাবাহিকের শ্যুট। কখনও নলবন, সাঁতরাগাছি, কখনও স্টুডিয়ো— সব মিলিয়ে অত্যন্ত দ্রুত ইনডোর এবং আউটডোরে কাজ চলছে। পুজোর পরেই ময়দানে নামতে হবে। তাই পুজোয় হুল্লোড়ের বদলে নিজের চরিত্রেই ডুবেছিলেন বিপুল। তাঁর মতে, ‘‘যে কোনো নতুন চরিত্রে প্রবেশের আগে প্রস্তুতি লাগে। সেটাই পুজোর ছুটিতে করেছি। নিজের চরিত্র নিয়ে ভেবেছি। কারণ, এই চরিত্রে অনেক স্তর। সব কটি স্তরকে ফোটাতে গেলে চরিত্রকে আত্মস্থ করতে হবে।’’ অভিনেতার দাবি, তাঁকে সেই কাজে যথেষ্ট সাহায্য করছেন ধারাবাহিকের অন্য দুই অভিনেতা অরিন্দম গঙ্গোপাধ্যায়, বিদীপ্তা চক্রবর্তী। পর্দায় এঁরা বিপুলের মা-বাবা। অভিনেতার বক্তব্য, তিনি সৌভাগ্যবান। এঁদের মতো পোড় খাওয়া অভিনেতাদের সঙ্গে কাজ করতে পারছেন। এঁরাই অনেকটা এগিয়ে দিচ্ছেন তাঁকে।