৯০ এর দশকে আমির খান এবং শাহরুখ খানের মধ্যে সম্পর্ক মধুর ছিল না। আমির কখনোই শাহরুখের প্রশংসা করতেন না, এমনকি তিনি তার কুকুরের নাম শাহরুখ রেখেছিলেন বলেও গুঞ্জন রটে। পরে দুজনের মধ্যে বন্ধুত্ব গড়ে ওঠে।
আমির খান এবং শাহরুখ খান দুজনেই সুপারস্টার। দুজনেই ৯০ এর দশকে বলিউডে আসেন এবং তীব্র প্রতিযোগিতায় জড়িয়ে পড়েন। এই সময়ে সলমান খানের ছবিও বক্স অফিসে ঝড় তুলছিল। তিন খানেরই বিশাল ফ্যান ফলোয়িং তৈরি হয়। শাহরুখের কিছু ছবি আইকনিক হয়ে ওঠে, তিনি অন্য দুজনের থেকে এগিয়ে যান। তিনজনের সম্পর্কের শুরুটা কিছুটা টানাপোড়েনের মধ্য দিয়েই হয়। সলমান এবং শাহরুখের তো ঝগড়াও হয়েছিল। আমির এবং কিং খানের সম্পর্কও মধুর ছিল না।
এক সাক্ষাৎকারে আমির জানান, ৯০ এর দশকে তিনি কখনোই শাহরুখের প্রশংসা করতেন না এবং দুজনের মধ্যে কথাবার্তাও খুব কম হত। আমির বলেন, শাহরুখ মাঝেমধ্যেই এই ব্যাপারে বিরক্ত হতেন যে আমি কখনোই তার ছবি বা তার স্টারডম নিয়ে কথা বলি না। আমির স্বীকার করেন যে তিনি সবসময় নিজের এবং নিজের ছবির উপর ফোকাস করতেন, তিনি কারও অযথা প্রশংসা করতেন না, এই ব্যাপারটা শাহরুখের পছন্দ হত না।
তিন খানের মধ্যে এইসব বাচ্চাদের মতো আচরণ তাদের পেশাগত প্রতিযোগিতার কারণেই হয়েছিল। আমির এই বিষয়টি এড়িয়ে যেতে চাইলেও বলেন, "হয়তো সে আমার উপর খুশি ছিল না, কারণ আমি আমার সাক্ষাৎকারে অন্যদের নিয়ে কথা বলতাম না।" মিডিয়ায় এমনও গুঞ্জন ছিল যে আমির তার কুকুরের নাম শাহরুখ রেখেছিলেন। যদিও পরে আমির এবং শাহরুখ মিলে এই বিতর্কের অবসান ঘটান, আমির নাকি তাদের পরিবারের কাছে ক্ষমাও চেয়েছিলেন। যখন তিন খান পরিণত হন, তখন এই ভুল বোঝাবুঝিও দূর হয়ে যায়।
সলমান খানের সাথেও আমিরের সম্পর্ক বলিউডের আলোচিত বিষয় ছিল। "আন্দাজ আপনা আপনা" ছবির শুটিংয়ে সলমানের প্রায়ই দেরিতে আসায় আমির বিরক্ত হতেন, কিন্তু ২০০২ সালে যখন আমির তার প্রথম স্ত্রীর সাথে বিচ্ছেদ হওয়ার পর হতাশায় ভুগছিলেন, তখন সলমান তাকে দেখতে আসেন এবং দুজনে ঘণ্টার পর ঘণ্টা কথা বলেন। এই সময়ই তাদের মধ্যে বন্ধুত্ব গড়ে ওঠে। এরপর দুজনের মধ্যে আর কোনো তিক্ততা ছিল না। এখন তিন খান একে অপরের ছবি, সাফল্য এবং ব্যক্তিগত জীবনকে খোলা মনে সমর্থন করেন।


