সংক্ষিপ্ত

বিগবি পোস্টে ভারত শব্দটি ব্যবহার করেছে। সেখানে কেন্দ্র ও বিরোধী শিবিরের মধ্যে সর্বেশষ ফ্ল্যাশপয়েন্ট হিসেবে আবির্ভূত হয়েছেন তিনি।

 

বিগ বি অমিতাভ বচ্চনের একটি ছোট্ট পোস্ট তাই তুলে তুলকালাম বেধে গেছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। মঙ্গলবার দুপুর ১টা ২১ মিনিট সোশ্যাল মিডিয়ায় অমিতাভ বচ্চন পোস্ট করেছিলেন ভারত মাতা কি জয়। হিন্দিতে লেখা ছিল। সঙ্গে দেশের পতাকা। তার আগে লেখা ছিল টি ৪৭৫৯। অমিতাভ বচ্চনের এই পোস্টকে দেশের নাম বিতর্কের সঙ্গে জুড়ে দিয়েছেন নেটিজেনটা। অনেকেই বলেছেন, দেশের নাম ইন্ডিটার পরিবর্তে সর্বত্র ভারত হিসেবেই ব্যবহার করা হোক তেমনই চাইছেন বিগ বি। অনেকেই ভিন্ন মত পোষন করেছেন।

এদিন জি২০ শীর্ষ সম্মেলনের আমন্ত্রতিদের কেন্দ্রীয় সরকার যে কার্ড পাঠিয়েছিল তা সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে। সেখানে ইন্ডিয়ার পরিবর্তে ভারত ব্যবহার করা হয়েছে। ভারত নাম একাধিকক্ষেত্রে ব্যবহার করা হলেও অধিকাংশ সরকারি ক্ষেত্রে ইন্ডিয়া নাম ব্যবহার করা হয়ে থাকে। সেই প্রথা ভেঙে ভারত ব্যবহার করেছে বিজেপি সরকার। অমিতাভ বচ্চন কেন্দ্র সরকারের এই সিদ্ধান্তকে সমর্থন জানিয়েছেন। সেই কারণেই তিনি ভারত মাতা কি জয় শব্দটি ব্যবহার করেছেন।

 

 

কেউ কেউ আবার বলছেন, বিগবি পোস্টে ভারত শব্দটি ব্যবহার করেছে। সেখানে কেন্দ্র ও বিরোধী শিবিরের মধ্যে সর্বেশষ ফ্ল্যাশপয়েন্ট হিসেবে আবির্ভূত হয়েছেন তিনি। জি২০ সম্মেলনের উদ্যোক্তা ভারত। চলতি মাসেই সম্মেলনে যোগ দিতে আসবেন রাষ্ট্রপ্রধানমন্ত্রী। ইতিমধ্যেই রাষ্ট্রপতির তরফ থেকে বিদেশের রাষ্ট্রপ্রধান ও মুখ্যমমন্ত্রীদের কাছে পাঠান হয়েছে। সম্মেলনে উপস্থিত থাকেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। ঋষি সুনাক। তার আগেই অমিতাভ বচ্চনের এই দেশের নাম পরিবর্তনের জল্পনাকে আরও উষ্কে দিল।

অনেকেই অমিতাভের প্রশংসায় পঞ্চমুখ। তবে যারা দেশের নাম পরিবর্তন চান না তারা সমালোচনায় সরব হয়েছে। কেউ তাঁকে বিজেপির প্রতিনিধি বলেছেন। কেউ আবার বলেছেন তাঁকে এবার বাতিল করার সময় এসে গেছে। যদিও তাঁর সোশ্যাল মিডিয়া পোস্ট নিয়ে আলোচনা হলেও তিনি এখনও পর্যন্ত কিছুই বলেননি।

রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘ বা আরএসএসএর প্রধান মোহন ভাগবতের মত বিশিষ্ট ব্যক্তিরা এই পরিবর্তনের পক্ষে তাদের সমর্থন জানিয়েছেন। ভাগবত অনেক দিন আগে থেকেই দেশের জনগণের কাছে ইন্ডিয়ার পরিবার্তে ভারত নামটি ব্যবহার করার জন্য আবেদন জানিয়েছিলেন। সেই সময় তিনি আরও বলেছিলেন এই দেশ বহু দিন ধরেই বিশ্বের কাছে ভারত নামে পরিচিত ছিল। কিন্তু ব্রিটিশরা দখল করার পর থেকেই এই দেশের নাম ইন্ডিয়া হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীও ভাগবতের তালে তাল মিলিয়ে দেশের নাম ভারত করার জন্য একাধিক সভায় সওয়াল করেছেন। ২০২২ সালে প্রধানমন্ত্রী লালকেল্লা থেকে দেশের নাগরিকদের কাছে পাঁচটি অঙ্গিকার করেছিলেন। এক হল দাসত্বের প্রতিটি চিহ্ন মুক্তি। এই দেশের প্রাচীন পরিচয় বিশ্বের কাছে তুলে ধরা। এই প্রসঙ্গ উল্লেখযোগ্য হল প্রধানমন্ত্রী , রাষ্ট্রপতি ও উপরাষ্ট্রপতির জন্য যে বিশেষ বিমান রয়েছে তাতে অবশ্য ইন্ডিয়ার পরিবর্তে ভারত নাম খোদাই করা হয়েছে।