সংক্ষিপ্ত

সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে নীনা জানিয়েছেন তার অন্যতম স্বপ্ন হল মেয়ে মাসাবা গুপ্তার বিয়ে দেখা। তবে শুধু মেয়ের বিয়ে নয় বরং ডিভোর্স নিয়েও মুখ খুলতে দেখা যায় নীনা গুপ্তা।

সাহসী অভিনেত্রী হিসেবে বরাবরই বি-টাউনে পরিচিত নীনা গুপ্তার। এই নিয়ে কারও কোনও সন্দেহ নেই। পর্দায় নিজের বেস্টটা বরাবরই দিয়েছেন তিনি। তিনি কতটা স্বাধীনচেতা তার প্রমাণ মিলেছিল আশির দশকেই। সেই সময়েই কুমারী মা হওয়ার সিদ্ধান্ত গোটা বি-টাউনকে নাড়িয়ে দিলেও তিনি অনড় ছিলেন নিজের সিদ্ধান্তে। নীনা গুপ্তা, বাঁচেন নিজের শর্তে। বিতর্কিত জীবন অধ্যায়ের আত্মজীবনী 'সাচ কহু তো'তে জীবনের চড়াই উতারাই,কঠিন লড়াইয়ের কথা বইয়ের পাতায় তুলে ধরেছেন নীনা। এবার যেন আরও একধাপ এগিয়ে গেলেন নীনা গুপ্তা।

সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে নীনা জানিয়েছেন তার অন্যতম স্বপ্ন হল মেয়ে মাসাবা গুপ্তার বিয়ে দেখা। চলতি বছরের শুরুর দিকেই মাসাবা বলেছিলেন. তার মা নীনা গুপ্তা পুরোদমে সীমা টাপারিয়া মোডে আছেন তাকে বিয়ে দেওয়ার জন্য। তবে শুধু মেয়ের বিয়ে নয় বরং ডিভোর্স নিয়েও মুখ খুলতে দেখা যায় নীনা গুপ্তাকে। অভিনেত্রী জানান, বর্তমান সময়ে ডিভোর্সের সংখ্যা হু হু করে বাড়ছে। কারণ মেয়েরা অর্থনৈতিকভাবে স্বাধীন হতে পেরেছে। ২০১৫ সালে মাসাবা ব্যবসায়ী মধু মন্টেনাকে বিয়ে করেন। কিন্তু চার বছর পর মেয়ের বিয়ে ভেঙে যায় এবং তারা পুরোপুরি আলাদা হয়ে যায়। বর্তমানে অভিনেতা সত্যদীপ মিশ্রের সঙ্গে সম্পর্কে আছেন মাসাবা।

 

 

সাক্ষাৎকারে নীনা বলেন, আমি সাধারণ মায়ের মতোই মানুষ করেছি মাসাবাকে। আর পাঁচটা মা সন্তানকে নিয়ে যেমনটা চায়, আমিও তেমনটাই চাই। তবে বিয়ের কথা বলতে গেলেই এটাকে অপ্রয়োজনীয় বলে মনে করেন। তবে আমি মনে করি বিয়েটা জরুরি। বিয়ের বিকল্প কিছু হতে পারে বনা। তবে বর্তমান সময়ে মেয়েরা যেভাবে স্বাধীন হয়েছে। তারা স্বামীর থেকে কিছু নিতে চায় না। নিজের খরচ নিজে বহন করতে সক্ষম, আর সেই কারণেই ডিভোর্সের সংখ্যা বাড়ছে। আগেকার সময়ে মেয়েদের কিছু করার থাকত না। দিনের পর দিন মানসিক-শারীরিক অত্যাচার সহ্য করতে হতো। তবুও আমি মনে করি বিয়ে করা ভীষণ দরকার। এটার কোনও বিকল্প নেই। ওয়েস্ট ইন্ডিজের ক্রিকেটার ভিভ রিচার্ডস-এর সঙ্গে প্রেম থেকে ওয়ান নাইট স্ট্যান্ড, মাসাবার জন্ম সব মিলিয়ে নীনা যেন এক বিতর্কিত অধ্যায়। ভিভের পর জীবনে একাধিক প্রেম এসেছে নীনার। তবে একসঙ্গে জীবন কাটানোর কথা কখনও ভাবতে পারেননি নায়িকা। জীবনের কঠিন সময়ে স্বামী নেই, ছিল না কোনও প্রেমিক। একাকীত্বই ছিল নীনার সঙ্গী। নিজের জীবনের সমস্তটাই নিজের বইতে শেয়ার করেছেন নীনা। বর্তমানে বিবেক মেহরার সঙ্গে বিয়ে করে সুখী দাম্পত্যে থাকলেও কর্মসূত্রে তারা আলাদাই থাকেন। ওয়ার্কফ্রন্টের কথা বলতে গেলে নীনাকে শেষবারের মতো '৮৩' -তে দেখা গেছে। এছাড়াও বেশ কিছু ছবির কাজও রয়েছেন নীনা গুপ্তার হাতে।