- Home
- Entertainment
- Bollywood
- জুটেছিল 'ব্রাউন টেররিস্ট'-এর তকমা, গণধর্ষণের হুমকি পেয়ে কী করেছিলেন প্রিয়ঙ্কা
জুটেছিল 'ব্রাউন টেররিস্ট'-এর তকমা, গণধর্ষণের হুমকি পেয়ে কী করেছিলেন প্রিয়ঙ্কা
অভিনেত্রী-গায়িকা-প্রযোজকের পর লেখিকা প্রেমিকা চোপড়া।সম্প্রতি নিজের আত্মজীবনী 'আনফিনিশড' -এ জীবনে নানা অভিজ্ঞতাকে তুলে ধরছেন প্রিয়ঙ্কা চোপড়া। 'ব্রাউন টেররিস্ট' বলে ক্ষান্ত হননি তারা।গণধর্ষণেরও হুমকি দেওয়া হয় প্রিয়ঙ্কাকে।
- FB
- TW
- Linkdin
ছোট্ট শহর থেকে বলিউডের পথ পেরিয়ে হলিউডের জার্নি সমস্তটাই নিজের আত্মজীবনী 'আনফিনিশড' -এ তুলে ধরেছেন প্রিয়ঙ্কা চোপড়া। অভিনেত্রী-গায়িকা-প্রযোজকের পর লেখিকা প্রেমিকা চোপড়া।
নিজের লেখা বইয়ের জীবনের প্রতিটি যাত্রাপথ সুন্দর করে তুলে ধরেছেন প্রিয়ঙ্কা। সম্প্রতি নিজের আত্মজীবনী 'আনফিনিশড' -এ জীবনে নানা অভিজ্ঞতাকে তুলে ধরছেন প্রিয়ঙ্কা চোপড়া। যার অন্যতম হল 'ব্রাউন টেররিস্ট ' তকমা। 'ব্রাউন টেররিস্ট' বলে ক্ষান্ত হননি তারা। এমনকী গণধর্ষণেরও হুমকি দেওয়া হয় প্রিয়ঙ্কাকে।
বলি অভিনেত্রী প্রিয়ঙ্কা চোপড়াকে নিয়ে সরগরম বি-টাউন। তবে শুধু বি-টাউনই নয়, হলিউডেও বেশ পরিচিত বলিউডের দেশি গার্ল। খুব অল্প সময়ের মধ্যেই নিজের নাম,খ্যাতি অর্জন করে নিয়েছেন প্রিয়ঙ্কা।
আনফিনিশড প্রকাশের সময়েই টেলিভিশনের সাক্ষাৎকারে জীবনের একাধিক অভিজ্ঞতা তুলে ধরেন প্রিয়ঙ্কা। ২০১২ সালে 'ইন মাই সিটি' গানটি মুক্তির সময় বর্ণবিদ্বেষের মুখে পড়েন নায়িকা। ওই সময়েই প্রিয়ঙ্কাকে 'ব্রাউন টেররিস্ট' বলে কটাক্ষ করা হয়।
প্রিয়ঙ্কার মতোন একজন বাদামী রঙের মানুষ মার্কিন মুলুকে কী করছেন এই নিয়েই প্রশ্ন তোলা হয়। এমনকী নিজের জায়গায় ফিরে বোরখা পরুন বলেও কটাক্ষ করা হয়।
'ব্রাউন টেররিস্ট' বলে ক্ষান্ত হননি তারা। এমনকী গণধর্ষণেরও হুমকি দেওয়া হয় প্রিয়ঙ্কাকে। বিশ্বসুন্দরী হওয়ার আগেও যেমন বর্ণ বিদ্বেষের মুখে পড়েছিলেন প্রিয়ঙ্কা ঠিক তেমনই 'ইন মাই সিটি' গানটি মুক্তির সময় বর্ণবিদ্বেষের মুখে পড়েন বলিউডের দেশি গার্ল।
প্রিয়ঙ্কা চোপড়া, পুরুষদেরই ড্রিমগার্ল তিনি। বলিউডে একের পর এক সুপারহিট সিনেমাও রয়েছে তার ঝুলিতে। বলিউডে কেরিয়ারের শুরুতে কী কী তিক্ত অভিজ্ঞতার শিকার হয়েছিলেন প্রিয়ঙ্কা তাও তুলে ধরেছেন নিজের লেখনীতে।
রিপোর্টে জানা গেছে, একবার একটি গানের শুটিংয়ের সময় অভিনেত্রী একটা একচা করে পোশাক খুলতে হয়। গানটি বড় থাকায় প্রিয়ঙ্কা পরিচালককে জিজ্ঞাসা করেছিল যে তিনি বেশি পোশাক পরবেন কিনা, যাতে সহজেই তার শরীর প্রদর্শিত না হয়।
পরিচালক প্রিয়ঙ্কাকে জানান, তিনি স্টাইলিস্টের সঙ্গে আগে কথা বলে সব বুঝিয়ে দিয়েছেন। এবং প্রিয়ঙ্কার পাশে দাঁড়িয়েই পরিচালক জানান, যাই হয়ে যাক অন্তর্বাস দেখানো দরকার, নয়তো দর্শকরা কেন প্রিয়ঙ্কার ছবি দেখতে আসবে। তবে সেই সময় সাহসী দৃশ্যের জন্য অতটাও প্রস্তুত ছিলেন না প্রিয়ঙ্কা। এবং তারপরেই তিনি ছবি থেকে সরে যান।
দেখতে দেখতে অনেক বছর ইন্ডাস্ট্রিতে কাটিয়ে ফেলেছেন প্রিয়ঙ্কা চোপড়া। অভিজ্ঞতার সঙ্গে বয়স ও বাড়ছে। আগের চেয়ে অনেকটাই পরিণত প্রিয়ঙ্কা। তাই যে কোনও বিষয় নিয়েই অকপট প্রিয়ঙ্কা। নিজের জীবনের বিশেষ অধ্যায়গুলিকে বইয়ের পাতায় সাজিয়েছেন দেশি গার্ল।