সংক্ষিপ্ত

সুশান্ত সিং রাজপুতের মৃত্যু রহস্য নিয়ে ফের জল্পনা শুরু হয়েছে জোরকদমে।রূপকুমার শাহ নামের এক ব্যক্তি মিডিয়াকে জানান, ময়নাতদন্ত করতে গিয়ে জানতে পারি, এটা সুশান্তের দেহ। ওর সারা শরীরে বেশ কিছু চিহ্ন ছিল। এবং গলা ও ঘাড়ের কাছে তিনটি দাগ ছিল।

সুশান্ত সিং রাজপুতের মৃত্যুর রহস্য নিয়ে আজও ধোঁয়াশা । সত্যিই কি আত্মহত্যা নাকি পরিকল্পনা মাফিক খুন? এই নিয়ে সকলের মনে দানা বেঁধেছে হাজারো জল্পনা। দেখতে দেখতে কেটে গেছে আড়াই বছর। এখনও পর্যন্ত মিলল না সুবিচার,পুলিশি জালে ধরা পড়ল না সুশান্তের দোষীরা। এখনও সুশান্তের মৃত্যু রহস্য নিয়ে জল্পনা তুঙ্গে। সুশান্তের মৃত্যুর খবরে আজও উত্তাল অনুরাগীরা থেকে সোশ্যাল মিডিয়া। সুশান্ত সিং রাজপুতের মৃত্যু রহস্য নিয়ে ফের জল্পনা শুরু হয়েছে জোরকদমে। গত ২৬ ডিসেম্বর সুশান্তের মামলা নিয়ে মিডিয়ার সামনে মুখ খোলেন ময়নাতদন্তের সময়ে উপস্থিত থাকা এক ব্যক্তি।

সম্প্রতি সংবাদমাধ্যমকে রূপকুমার জানিয়েছেনন সুশান্ত আত্মহত্যা করেনি। বরং তাকে হত্যা করা হয়েছিল।শরীরে একাধিক আঘাতেরও চিহ্ন ছিল। মৃতদেহ দেখেই নাকি টের পেয়েছিলেন তিনি। সুশান্তের মৃত্যুর পর দেহ দেখেই সন্দেহ হয়েছিল। তিনি দীর্ঘ আড়াই বছর পর সাফ জানান, সুশান্ত আত্মহত্যা করেনি, তাকে হত্যা করা হয়েছিল। মৃতদেহ দেখেই টের পেয়েছিলেন তিনি। রূপকুমার শাহ নামের এক ব্যক্তি মিডিয়াকে জানান, ময়নাতদন্ত করতে গিয়ে জানতে পারি, এটা সুশান্তের দেহ। ওর সারা শরীরে বেশ কিছু চিহ্ন ছিল। এবং গলা ও ঘাড়ের কাছে তিনটি দাগ ছিল। এমনকী মৃতদেহের ময়নাতদন্তের ভিডিও রেকর্ড হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু উচ্চপদস্থরা বলেন, শুধুমাত্র স্টিল ছবিই তোলা হবে। এবং আমরাও সেভাবে কাজ করি।

 

 

তবে রূপকুমার আরও দাবি করেন, বডিটা দেখেই বুঝতে পেরেছিলাম এটা আত্মহত্যা নয়, খুন। এমনকী সেটা তিনি জানিয়েছিলেন তার উচ্চপদস্থ কর্তাকে। কিন্তু তার উর্ধ্বতন তাকে নির্দেশ দেয়, তাড়াতাড়ি ছবি তুলে কাজ সেরে পুলিশকে মৃতদেহ দিয়ে দিতে। মগকর্মী জানিয়েছিলেন, সুশান্তের মৃতদেহে একাধিক ক্ষতচিহ্ন ছিল, পা ভাঙা ছিল। সুশান্তের চোখও কালো ছিল। এমনকী ঘাড়ের চিহ্ন দেখেও মনে হয়নি যে সে ঝুলে ছিল, দেখে মনে হয়েছিল তাকে শ্বাসরোধ করে মারা হয়েছে। তবে অভিযোগের কোন প্রমাণ দিতে পারেননি ওই মর্গকর্মী। তার কথায় আমি ময়নাতদন্ত দলের একজন ছিলাম কিন্তু ময়নাতদন্ত দলের নেতৃত্বে কে ছিলেন তা আমার মনে নেই। ২০২০ সালের ১৪ জুন। বলিউডের কালো দিন। সত্যিটা জানার জন্য এখনও অধীর আগ্রহে বসে পরিবার থেকে অনুরাগীর। মৃত্যুর প্রথম দিন থেকেই মুম্বই পুলিশ সুশান্তের মৃত্যুকে আত্মহত্যা বলে দাবি করেছেন। সিবিআই-এর হাতে সুশান্তের মৃত্যু মামলার ভার গেলেও স্পষ্ট জানা যায়নি এটা আত্মহত্যা নাকি খুন। সুশান্তের মৃত্যুর সঙ্গে কারা জড়িত, কী হয়েছিল সেইদিন, পুরো বিষয়টা নিয়ে মুখে কুলুপ এটেছে সিবিআই আধিকারিকরা। এমনকী সুশান্তের পরিবারের পক্ষ থেকেই তার মৃত্যুকে আত্মহত্যা নয় বলেই দাবি করেছেন। হাজারো জল্পনার মধ্যেই সুশান্ত সিং রাজপুতের মৃত্যুজট খুলছে না।