ধর্মেন্দ্রর মৃত্যুতে ভেঙে গেল হিন্দি ছবির সর্বকালের সবথেকে জনপ্রিয় শোলে-র জয়-বীরুর জুটি। ধর্মের মৃত্যুর খবর পেয়েই ছেলে অভিষেক বচ্চনকে সঙ্গে নিয়ে তাঁর শ্মশানে পৌঁছে গেছেন অমিতাভ বচ্চন। সঙ্গে

প্রয়াত বলিউডের হি-ম্যান ধর্মেন্দ্র। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৮৯। ধর্মেন্দ্রর মৃত্যুতে ভেঙে গেল হিন্দি ছবির সর্বকালের সবথেকে জনপ্রিয় শোলে-র জয়-বীরুর জুটি। ধর্মের মৃত্যুর খবর পেয়েই ছেলে অভিষেক বচ্চনকে সঙ্গে নিয়ে তাঁর শ্মশানে পৌঁছে গেছেন অমিতাভ বচ্চন। সঙ্গে রয়েছে হেমা মালিনী ও পুরো দেওল পরিবার। যদিও এখনও পর্যন্ত পরিবারের তরফ থেকে ধর্মেন্দ্রের মৃত্যুর খবর প্রকাশ করা হয়নি। কিন্তু করন জোহরের সোশ্যাল মিডিয়া পোস্ট বলছে ধর্মেন্দ্রের মৃত্যুতে শেষ হল বলিউডের একটি অধ্যায়ের।

ইতিহাসের পাতায় অমিতাভ-ধর্মেন্দ্র জুটি

১৯৭৫ সালে ধর্মেন্দ্র-অমিতাভ জুটি ইতিহাস তৈরি করেছিল রুপোলি পর্দায়। ১৯৭৫ সালের ১৫ অগস্ট মুক্তি পেয়েছিল শোলে। হিন্দি ছবির ইতিহাসে একটি গুরুত্বপূর্ণ ছবি। এই ছবির জয়-বীরু , অমিতাভ-ধর্মেন্দ্র জুটি মন কেড়েছিল দর্শনদের। তারপর চুপকে চুপকে-সহ আরও একাধিক ছবিতে তারা অভিনয় করেছে। কিন্তু শোল ভারতীয় ছবির ইতিহাসে অন্য অধ্যায় তৈরি করেছিল।

ধর্মেন্দ্রর মৃত্যুতে ভেঙে গেল ৫০ বছরের বন্ধুত্বের জুটি। অন্যদিকে ধর্মেন্দ্র সম্প্রতি করণ জোহরের ছবি রকি অউর রানি কি প্রেম কাহানি- ছবিতে অভিনয় করে বুড়ো হাড়েও ভেলকি দেখিয়েছেন। এই ছবিতে হুইল চেয়ারে বসেই দর্শকদের মন জয় করেছেন তিনি।

দীর্ঘ অসুস্থতার পর শেষ হল লড়াই। প্রয়াত হলেন ধর্মেন্দ্র। কদিন ধরে অসুস্থ ছিলেন অভিনেতা। হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন। সেখানে ভেন্টিলেশনে দেওয়া হয় বর্ষীয়ান অভিনেতা ধর্মেন্দ্র। মুম্বইয়ের ব্রীচ ক্যান্ডি হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন তিনি। সেখানে অভিনেতাকে দেখতে তাঁর পরিবারের সদস্যরা থেকে শুরু করে বলিউডের একাধিক তারকা হাসপাতালে যান। আজ প্রয়াত হন অভিনেতা। ৮৯ বছর বয়সে প্রয়াত হলেন অভিনেতা। ৮ ডিসেম্বর ৯০-এ পা রাখতেন অভিনেতা। কিন্তু, তার আগেই চিরঘুমের দেশে পারি দিলেন ধর্মেন্দ্র।

প্রায় ১ সপ্তাহ ধরেই হাসপাতালে ভর্তি ধর্মেন্দ্র। মাঝে তাঁর অবস্থার অবনতি হয়। তাঁকে স্থানান্তরিত করা হয় ভেন্টিলেশনে। কদিন আগে, তিনি রুটিন চেকআপের জন্য হাসপাতালে গিয়েছিলেন। তখনই তাঁকে ভর্তি করানো হয় হাসপাতালে। অবশেষে সেখান থেকে ছাড়া পেয়ে বাড়িতে ছিলেন। বাড়িতেই হচ্ছিল চিকিৎসা। কিন্তু শেষ রক্ষা হল না। আপাতত পরিবারের পক্ষ থেকে কোনও ঘোষণা হয়নি। তবে সোমবার সকালে পবন হংস শ্মশানে দেখা গিয়েছে ধর্মেন্দ্রর পরিবারের সদস্যদের।