প্রয়াত অভিনেতা ধর্মেন্দ্রর শেষকৃত্য দেওল পরিবার গোপনে সম্পন্ন করেছে বলে জানা গেছে। এই সিদ্ধান্তের ফলে, পদ্মভূষণ সম্মানপ্রাপ্ত অভিনেতা রাষ্ট্রীয় মর্যাদা, ভক্তদের শেষ ভালোবাসা এবং চলচ্চিত্র জগতের কাছ থেকে প্রাপ্য শ্রদ্ধাঞ্জলি থেকে বঞ্চিত হয়েছেন। 

বলিউডের সবচেয়ে হ্যান্ডসাম এবং জনপ্রিয় সুপারস্টার ধর্মেন্দ্রর মৃত্যুতে চলচ্চিত্র জগৎ শোকে মুহ্যমান, অন্যদিকে তাঁর ভক্তরাও অত্যন্ত হতাশ। ২৪ নভেম্বর হঠাৎ খবর আসে যে ৮৯ বছর বয়সী ধর্মেন্দ্র আর নেই এবং তার পরেই তাঁর শেষকৃত্যের খবর সবাইকে অবাক করে দেয়। দেওল পরিবার তাঁর মৃত্যুর আনুষ্ঠানিক ঘোষণা না করেই গোপনে তাড়াহুড়ো করে তাঁর শেষকৃত্য সম্পন্ন করে। কিন্তু এমনটা করে তারা প্রয়াত অভিনেতার কাছ থেকে ৩টি বড় অধিকার কেড়ে নিয়েছে। আসুন দেখে নেওয়া যাক...

১. ধর্মেন্দ্রর কাছ থেকে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় শেষকৃত্যের অধিকার কেড়ে নেওয়া হল

চলচ্চিত্র জগতে গুরুত্বপূর্ণ অবদানের জন্য ২০১২ সালে ভারত সরকার ধর্মেন্দ্রকে দেশের তৃতীয় সর্বোচ্চ সম্মান পদ্মভূষণে ভূষিত করেছিল। এই সম্মানপ্রাপ্ত ব্যক্তির মৃত্যু হলে তাঁকে রাষ্ট্রীয় মর্যাদার সঙ্গে শেষ বিদায় জানানো হয়। কিন্তু দেওল পরিবার তাড়াহুড়ো করে তাঁর শেষকৃত্য সম্পন্ন করে এই অধিকার কেড়ে নিয়েছে।

২. ভক্তদের কাছ থেকে পাওয়া ভালোবাসা কেড়ে নিয়েছে দেওল পরিবার

ধর্মেন্দ্রর ফ্যান ফলোয়িং আজও जबरदस्त। তাঁর অসুস্থতার খবর আসার পর থেকেই ভক্তরা ক্রমাগত তাঁর সুস্থতার জন্য প্রার্থনা করছিলেন। ধর্মেন্দ্রও তাঁর ভক্তদের খুব ভালোবাসতেন এবং সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে তাঁদের সঙ্গে যুক্ত থাকতেন। মৃত্যুর পর ধর্মেন্দ্রর ভক্তরা তাঁকে শেষবার দেখতে চেয়েছিলেন এবং তাঁর প্রতি ভালোবাসা প্রকাশ করতে চেয়েছিলেন। কিন্তু দেওল পরিবার ধর্মেন্দ্রর কাছ থেকে শেষবারের মতো ভক্তদের ভালোবাসা পাওয়ার সুযোগ কেড়ে নিয়েছে। এই কারণেই ভক্তরা দেওল পরিবারের ওপর ক্ষুব্ধ এবং এমনও বলছেন যে তাঁরা আর সানি ও ববি দেওলের কোনো সিনেমা দেখবেন না।

৩. চলচ্চিত্র জগতের কাছ থেকে পাওয়া শ্রদ্ধাঞ্জলি কেড়ে নেওয়া হয়েছে

শুধু বলিউড নয়, গোটা ভারতীয় চলচ্চিত্র জগৎই ধর্মেন্দ্রর ভক্ত ছিল। কিন্তু দেওল পরিবার তাঁর মৃত্যুর খবর শুধুমাত্র বাছাই করা এবং বড় বলিউড তারকাদের দিয়েছিল, যাঁরা পবন হংস শ্মশানে পৌঁছে তাঁকে শেষ বিদায় জানান। কিন্তু ধর্মেন্দ্র বলিউড এবং দক্ষিণসহ সমগ্র চলচ্চিত্র জগতের কাছ থেকে শ্রদ্ধাঞ্জলি পাওয়ার যোগ্য ছিলেন। পরিবার তাঁর মরদেহ শেষ দর্শনের জন্য না রেখে চলচ্চিত্র জগতের কাছ থেকে পাওয়া শ্রদ্ধাঞ্জলির অধিকার কেড়ে নিয়েছে।