সংক্ষিপ্ত

প্রাক্তন বিশ্বসুন্দরী ঐশ্বর্য রাই বচ্চনকে নিয়ে সর্বদাই তোলপাড় নেটপাড়া। এবার ঐশ্বর্য রাই বচ্চনের নামে ভুঁয়ো পাসপোর্ট মিলল উত্তরপ্রদেশের তিন ব্যক্তির পকেটে। যেখানে জন্মস্থান লেখা রয়েছে গুজরাট। যা নিয়ে উত্তেজনা ছড়িয়েছে গ্রেটার নয়ডা এলাকায়।

রিল থেকে রিয়েল তারকাদের পুরোটাই যেন গসিপে মোড়া। অভিনয় থেকে রিলেশন সবসময়েই লাইমলাইটের শীর্ষে বচ্চন পরিবার। তাদের ব্যক্তিগত জীবন জানার জন্যও মুখিয়ে রয়েছে ভক্তরা।প্রেম থেকে বিবাহ, দাম্পত্য, সবেতেই যেন চর্চায় রয়েছেন রাই সুন্দরী। বচ্চন পরিবারের পূত্রবধু তথা প্রাক্তন বিশ্বসুন্দরী ঐশ্বর্য রাই বচ্চনকে নিয়ে সর্বদাই তোলপাড় নেটপাড়া। এবার ঐশ্বর্য রাই বচ্চনের পাসপোর্ট মিলল উত্তরপ্রদেশের তিন ব্যক্তির পকেটে। যেখানে জন্মস্থান লেখা রয়েছে গুজরাট। যা নিয়ে উত্তেজনা ছড়িয়েছে গ্রেটার নয়ডা এলাকায়।

ইতিমধ্যেই তল্লাশি চালিয়েই তিনজন অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। শুক্রবার সন্ধ্যায় উত্তরপ্রদেশের পুলিশ তাদের আটক করে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য গ্রেটার নয়ডা থানায় নিয়ে যায়। তারপরই ধৃত ৩ ব্যক্তিকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পারে যে এই তিন ব্যক্তি একটি ওষুধ কোম্পানির নামে প্রতারণা চক্রে জড়িত। প্রাথমিক তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পেরেছে ১ কোটি ৮০ লক্ষ টাকা প্রতারণা কান্ডে জড়িত এই তিন ব্যক্তি একটি ওষুধের কোম্পানি চালান। এছাড়াও এই চক্রটি ম্যাট্রিমোনিয়াল সাইট এবং ডেটিং অ্যাপের মাধ্যমে লোকজনকে টার্গেট করে দিনের পর দিন প্রতারণা চক্র চালিয়ে যাচ্ছিল। আরও জানা গেছে, এক অবসরপ্রাপ্ত সেনা আধিকারিকও তাদের সঙ্গে জড়িত।

গ্রেটার নয়ডা এলাকায় গ্রেফতার হওয়া তিন ব্যক্তিকে নিয়ে ইতিমধ্যেই উত্তেজনা ছড়িয়েছে। তিন ব্যক্তির থেকে একটি জাল পাসপোর্ট উদ্ধার করা হয়েছে। ভুয়ো পাসপোর্টে বলি অভিনেত্রী ঐশ্বর্য রাই বচ্চনের ছবি দেওয়া রয়েছে। জন্মস্থানের জায়গায় লেখা রয়েছে গুজরাটের ভাবনগর। জন্ম তারিখ ১৮ এপ্রিল ১৯৯০। তবে ঐশ্বর্য নামের ভুঁয়ো পাসপোর্ট নিয়ে তাদের কী উদ্দেশ্য ছিল তা জানার চেষ্টা করেছে পুলিশ। ধৃতদের কাছ থেকে নগদ আড়াই লক্ষ টাকা উদ্ধার করা হয়েছে। এবং ধৃতদের কাছ থেকে ১১ কোটি টাকার জাল নোটও প্রচুর নকল বিদেশি মুদ্রা উদ্ধার করা হয়েছে। তবে ঐশ্বর্যর নামের নকল পাসপোর্ট নিয়ে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। পুলিশ সূত্রে আরও জানা গেছে, অবসরপ্রাপ্ত সেনা আধিকারিককেও নিজেদের জালে ফাসিয়েছিলেন এই তিন ব্যক্তি। অবসরপ্রাপ্ত সেনা আধিকারিককেও নিজেদের জালে ফেলেছিলেন এই তিন ব্যক্তি। অবসরপ্রাপ্ত সেনা আধিকারিককে দিয়ে স্তন ক্যান্সার নিরাময়ের ওষুধ বানানোর নাম করে যৌগ কোলানাট কিনিয়েছিলেন অভিযুক্তরা। আপাতত ধৃতদের কাছে কোনও বৈধ পাসপোর্ট বা ভিসা পাওয়া যায়নি। আপাতত পুলিশের জালেই রয়েছেন তিন ব্যক্তি।