সংক্ষিপ্ত
ও়টিটি প্ল্যাটফর্ম নেটফ্লিক্স (Netflix )এ সম্প্রতি মুক্তি পেয়েছে ওয়েব সিরিজ আইসি ৮১৪: দ্য়া কান্দাহার হাইজ্যাক (IC 814: The Kandahar Hijack)। ৬ পর্বের এই ওয়েব সিরিজ নিয়ে বিতর্ক চলছেই। সোমবারই নেটফ্লিক্স কর্তৃপক্ষতে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রকের নোটিশ দিয়েছিল। প্ল্যাটফর্মের প্রধানকেও তলব করা হয়েছে। সেখানে কেন্দ্রের তরফ থেকে স্পষ্ট করে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে জঙ্গিদের আসল নাম প্রকাশ্যে আনতে হবে। কেন ভারতীয়দের ভাববেগকে আঘাত করার চেষ্টা করা হয়েছে তাই নিয়েও প্রশ্ন তুলেছে কেন্দ্র।
সরকারের বর্তব্যঃ
নেটফ্লিক্স ইন্ডিয়ার কন্টেন্ট হেডকে ডেকে পাঠিয়েছিল তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রক। দীর্ঘ বৈঠক হয়। সেখানে বলা হয়েছে, 'কারও কোনও অধিকার নেই এই দেশের মানুষের সেন্টিমেন্ট নিয়ে খেলার। ভারতের সংস্কৃতি এবং ভাবাবেগকে সম্মান করা উচিত। কোনও জিনিসকে ভুল ভাবে তুলে ধরার আগে ভাবা উচিত। সরকার গোটা বিষয়টাকে খুবই সিরিয়াসলি নিয়েছে।' এই বৈঠকের পরই নেটফ্লিক্সের তরফ থেকে কেন্দ্রকে জানান হয়েছে, তারা কন্টেন্ট রিভিউ করবে। আগামী দিনে এজাতীয় সমস্যা তাদের কন্টেন্টে থাকবে না বলেও জানিয়েছে। প্ল্যারটফর্মে যেসব কন্টেন্ট সম্প্রচার করা হবে সেগুলিতে যাতে জাতীয় ভাবাবেগে আঘাত না করা হয় তাই দেখবে।
সমস্যার সূত্রপাত
IC 814: The Kandahar Hijack সম্প্রতি নেটফ্লিক্সে মুক্তি পেয়েছে। নেটফ্লিক্সের দাবি সত্য ঘটনা তুলে ঘরার চেষ্টা করেছে তারা। কী ভাবে ১৯৯৯ সালে কাঠমান্ডু-দিল্লি বিমান হাইজ্যাক করে কান্দাহারে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল তারপর কী করে পণবন্দিদের মুক্ত করা হয়েছিল তাই তুলে ধরা হয়েছে। কিন্তু ছিনতাইকারীদের নাম নিয়েই সমস্যা। দুই ছিনতাইকারীর নাম ভোলা আর শঙ্কর। হিন্দু নামকরণ করা হয়েছে। সিরিজে কোথাও এদের আসল নাম উল্লেখ করা হয়নি। সেই কারণেই দেশের একাংশের মানুষ ক্ষুদ্ধ। প্রতিবেদন অনুযায়ী পাঁচ ছিনতাইকারীর নাম ইব্রাহিম আতহার, শহীদ আখতার সাঈদ, সানি আহমেদ কাজী, জহুর মিস্ত্রি এবং শাকির, তারা পাকিস্তানের একটি সন্ত্রাসবাদী সংগঠনের সদস্য ছিল। ভোলা আর শঙ্করের আসল নাম উল্লেখ করার দাবিও জানান হয়েছে।