সংক্ষিপ্ত

সইফ আলি খানের বাড়িতে ঢুকে নবাব-কে ছুরিকাহত করার ঘটনায় অভিযুক্ত শরিফুল ইসলাম শেহজ়াদ নিজের দোষ স্বীকার করেছে। সে স্বীকার করেছে যে সে বাংলাদেশের বাসিন্দা এবং জাতীয় স্তরের কুস্তিগির। 

বলিউডের অভিনেতা সইফ আলি খানের বাড়িতে ঢুকে যে নবাব-কে ছুরিঘাত করে পুলিশি জেরার সে নিজের দোষের কথা স্বীকার করেছে। মূল অভিযুক্ত শরিফুল ইসলাম শেহজ়াদ এও স্বীকার করেছেন যে তিনি বাংলাদেশের বাসিন্দা। শুধু তাই নয় তিনি বাংলাদেশের জাতীয় স্তরের কুস্তিগির। অভিযুক্ত স্বীকার করেছে যে, বুধবার মধ্যরাতে সইফের বাড়িতে হানা দিয়েছিল কারণ তার লক্ষ্য ছিল সইফ-করিনার ছোট পুত্রকে অপহরণ করা। সেই সঙ্গে এক কোটি টাকা দাবী করার ছক কষেছিল সে।

সেই মতোই বাড়িতে প্রবেশ করে প্রথমেই গিয়েছিলেন নবাব পুত্র জেহ-র ঘরের দিকে। চার বছরের শিশুই ছিল শরিফুলের লক্ষ্য।কিন্তু বাধ সাধল জেহ-র ন্যানি। তিনি অচেনা এক ব্যক্তিকে ঘরে দেখেই তাঁকে বাঁচাতে চিৎকার করে দৌড়ে যান। এই সুযোগে ঘর থেকে পালিয়ে যায় জেহ। ফলে শরিফুল-এর ছক ভেস্তে যায়। সেই কান্না শুনে ছুটে এসেছিলেন সইফ।এর পরেই ছুরিকাহত হন তিনি।

এরপর পুলিশের জালে ধরা পড়লে শরিফুল ইসলাম শেহজ়াদ জেরার মুখে নিজের দোষ স্বীকার করে। জানা যায় ধৃত শরিফুল অবৈধ ভাবে ভারতে প্রবেশ করেছিল। পুলিশ সূত্রে জানা যায়, প্রায় সাত মাস আগে মেঘালয়ের কাছে ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে ডাউকি নদী পার হয়ে এ দেশে ঢুকেছিলেন শরিফুল। তারপর তিনি চলে আসেন পশ্চিমবঙ্গে। সেখানে বাংলার এক মহিলার নামে ওই সিমকার্ড হাতে পান শরিফুল।কয়েক সপ্তাহ পশ্চিমবঙ্গে থেকে আধার কার্ড তৈরির চেষ্টা করেছিলেন। নিজের নাম বদলে রেখেছিলেন বিজয় দাস। এরপর তিনি এখটি সিম কার্ড কিনে মুম্বই আসেন। সেখান এক রেস্তোরাঁয় কাজ নিয়ে চুরি করে চাকরি হারায়।