সংক্ষিপ্ত
জ্যাকলিন ফার্নান্ডেজের বিরুদ্ধে মানহানির মামলা দায়ের করলেন নোরা ফতেহি। প্রশান্ত সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, জ্যাকলিনকে যদি কোনও আইনি ঝামেলায় অহেতুক জড়ানো হয়, তাহলে তিনিও আইনি ব্যবস্থাই নেবেন।
নোরা ফতেহি এবং জ্যাকলিন ফার্নান্ডেজকে নিয়ে চর্চা বেড়েই চলেছে। জ্যাকলিন ফার্নান্ডেজের বিরুদ্ধে মানহানির মামলা দায়ের করলেন নোরা ফতেহি। তবে হঠাৎ করে কেন এমন সিদ্ধান্ত নিলেন তা নিয়েই জল্পনা তুঙ্গে। নোরা অভিযোগ জানিয়েছেন, জ্যাকলিন তার নামে মানহানিকর অভিযোগ এনেছেন। তবে জ্যাকলিন ফার্নান্ডেজ ছাড়াও বেশ কিছু মিডিয়ার নামেও দিল্লি কোর্টে মানহানির মামলা দায়ের করেছেন নোরা। সুকেশের মামলার সূত্র ধরেই দিল্লি কোর্টে এই মামলা দায়ের করেছেন নোরা। এই মানহানি মামলায় নোরা জ্যাকলিনকে মূল অভিযুক্ত হিসেবে চিহ্নিত করেছেন।
মানহানির মামলা দায়ের হওয়ার পরই জ্যাকলিনের আইনজীবী প্রশান্ত পাতিল জানিয়েছেন, এখনও পর্যন্ত কোনও মিডিয়ার সামনে নোরাকে নিয়ে কুমন্তব্য করেননি জ্যাকলিন। বরং এখনও পর্যন্ত আইনের পবিত্রতা বজায় রাখার আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন তিনি। যেহেতু পুরো বিষয়টি এখন তদন্ত প্রক্রিয়ার মধ্যে রয়েছে সে কারণে মিডিয়াক সামনেও এই নিয়ে বিশেষ কোনও কথা বলছেন না। এখনও পর্যন্ত নোরার করা মানহানি মামলার কোনও কপি আমাদের হাতে আসেনি। তবে যখনই এমন কোনও কাগজ হাতে পাব, আমরাও আইনি পথে হাঁটব। জ্যাকলিনের অনেক সম্মান রয়েছে নোরার উপর। আমার মনে হচ্ছে এখানে কোনও ভুল বোঝাবুঝি তৈরি হয়েছে। তবে প্রশান্ত সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, জ্যাকলিনকে যদি কোনও আইনি ঝামেলায় অহেতুক জড়ানো হয়, তাহলে তিনিও আইনি ব্যবস্থাই নেবেন।
বলিউড এবং কন্ট্রোভার্সি একে অপরের সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িত। ২০০ কোটি টাকার আর্থিক তছরুপের মামলায় ইতিমধ্যেই প্রতারক সুকেশের সঙ্গে নাম জড়িয়েছে জ্যাকলিন ফার্নান্ডেজ এবং নোরা ফতেহির। ইতিমধ্যেই ইডি-র জেরায় সমস্ত কথা স্বীকারও করেছেন প্রতারক সুকেশ। গাড়ি থেকে কোটি কোটি টাকার গয়না উপহার দিয়েছেন এই বলি নায়িকাদের। জ্যাকলিনের এবং নোরার সঙ্গে সুকেশের সম্পর্ক নিয়ে এখনও জলঘোলা চলছে বলিউডে। দুই অভিনেত্রীর একাধিকবার ইডি-র জেরায় পড়েছেন। তবে জ্যাকলিনের নামে মানহানির মামলা দায়ের হতেই ফের নয়া জল্পনা শুরু হয়েছে। সুকেশের মামলার সূত্র ধরেই দিল্লি কোর্টে এই মামলা দায়ের করেছেন নোরা। এই মানহানি মামলায় নোরা জ্যাকলিনকে মূল অভিযুক্ত হিসেবে চিহ্নিত করেছেন। তিনি জানিয়েছেন, এটা দিনদিন ক্রমশ স্পষ্ট হচ্ছে যে উল্লিখিত প্রতিদ্বন্দ্বীরা অভিযোগকারীর সঙ্গে ইন্ডাস্ট্রিতে নায্যভাবে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করতে না পেরে তার সুনাম নষ্ট করছে। এর ফলে তার কাজের বিরাট ক্ষতি হচ্ছে। অভিযোগকারী এই মানহানিকর মন্তব্যের জন্য প্রচন্ড ক্ষুব্ধ। এবং অভিযোগকারীর করা মন্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতেই এই অভিযোগ করা হয়েছে। এটা পুরোপুরি ষড়যন্ত্র ছিল। এই কারণেই অভিযোগকারীর আর্থিত,ব্যক্তিগতভাবে পতন হচ্ছে।