সংক্ষিপ্ত

আলিয়ার বিরুদ্ধে মানহানি মামলা প্রত্যাহার করতেও প্রস্তুত নওয়াজউদ্দিন। ১০০ কোটি টাকার ক্ষতিপূরণ চেয়ে যে মামলা করেছিলেন নওয়াজ, তা তুলে নিতে রাজি হয়েছেন নওয়াজ।

বিবাহবিচ্ছেদ নিয়ে আপত্তি করতে নারাজ নওয়াজউদ্দিন সিদ্দিকি। দাম্পত্যকলহের আঁচ যাতে ব্যক্তিগত জীবনে না আসে তার জন্যই এবার পাকাপাকিভাবে বিবাহবিচ্ছেদের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। এবং খুব তাড়াতাড়ি যাতে সমস্ত সমস্যার সমাধান হয়ে যায় তার জন্য আলিয়ার শর্ত মানতেও রাজি হয়েছেন নওয়াজউদ্দিন। সূত্রের খবর, আলিয়ার বিরুদ্ধে মানহানি মামলা প্রত্যাহার করতেও প্রস্তুত নওয়াজউদ্দিন। ১০০ কোটি টাকার ক্ষতিপূরণ চেয়ে যে মামলা করেছিলেন নওয়াজ, তা তুলে নিতে রাজি হয়েছেন নওয়াজ।

দিনকয়েক আগেই স্ত্রী আলিয়া ও ভাই শামাস সিদ্দিকির বিরুদ্ধে মানহানির মামলা করেছিলেন নওয়াজউদ্দিন সিদ্দিকি, সেই মামলায় ১০০ কোটি টাকার ক্ষতিপূরণ দাবি করেছিলেন নওয়াজ। এবার সূত্র থেকে জানা যাচ্ছে, মানহানি মামলা দায়ের করার একদিন পরেই নাকি স্ত্রী আলিয়া সিদ্দিকিকে সমঝোতা প্রস্তাব পাঠিয়েছেন নওয়াজ। মামলার শুনানির আগামী তারিখের আগেই নাকি আলিয়ার সঙ্গে বোঝাপড়া করতে আগ্রহী অভিনেতা। স্ত্রী আলিয়া জানিয়েছেন, বিবাহবিচ্ছেদ আমাদের হবেই। তবে আপাতত সন্তানের নিয়ে দড়ি টানাটানি চলছে। তবে কি সন্তানদের জন্যই এই পদক্ষেপ নিচ্ছেন নওয়াজ, নাকি এর পিছনে রয়েছে অন্য কোনও কারণ।

 

 

একের পর এক অভিযোগে বিদ্ধ বলিউডের অভিনেতা নওয়াজউদ্দিন সিদ্দিকি। দীর্ঘ ১১ বছরের বিবাহিত জীবনে দাড়ি টানতে চলেছেন নওয়াজ ও আলিয়া। পরকীয়া, যৌন হেনস্তা, নারীসঙ্গে জর্জরিত নওয়াজের ব্যক্তিগত জীবন। বিবাহিত জীবনে দাড়ি টানতে চলেছেন নওয়াজ ও আলিয়া। তবে তাদের দাম্পত্য কলহ দিনদিন বেড়েই চলেছে। বলিউডের অন্দরে চর্চা যেন দিনদিন বেড়েই চলেছে নওয়াজউদ্দিন ও আলিয়াকে নিয়ে। আলিয়া ও নওয়াজের সম্পর্ক নিয়ে ক্রমশ জলঘোলা হচ্ছে। তাদের সাংসারিক অশান্তিকে কেন্দ্র করে সরগরম মায়ানগরী। বর্তমানে তাদের দাম্পত্য কলহ আদালত পর্যন্ত গড়িয়েছে। দুজনের দাম্পত্য কলহ এতটাই বেড়ে চলেছে যে তার প্রভাব পড়েছে সন্তানদের উপর। একে অপরকে কাদা-ছোড়াছুড়ি, নোংরামি লাগাতার চলছে। কিছুদিন আগেও মুম্বই কোর্টের দুই বিচারপতি আলিয়া ও নওয়াজকে দুই সন্তানের অভিভাবকত্ব নিয়ে সমস্যার সমাধান করার নির্দেশ দেন। জানা যায়, নওয়াজ তার ১২ বছরের মেয়ের দায়িত্ব নিলেও ৭ বছরের ছেলের দায়িত্ব নিতে অস্বীকার করেছিলেন। আদালতের দ্বারস্থ হয়ে দ্বিতীয় সন্তানের ডিএনএ পরীক্ষার দাবি জানিয়েছিলেন স্ত্রী আলিয়া। তিনি অভিযোগ জানিয়েছিলেন, পিতৃপরিচয় দিতে রাজি নন নওয়াজ, এমনকী তাকে নিজের সন্তান বলে গ্রহণ করছেন না অভিনেতা। তাই বাধ্য হয়ে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন আলিয়া।