গোটা বিশ্বের ভক্তমহল চোখের জলে ভাসছে। সাত সকালের এই সংবাদ যেন স্তব্ধ করে দিল গোটা দেশ, চলে গেলেন ভারতের নাইটেঙ্গেল লতা মঙ্গেশকর। সকাল ৮টা ১২-য় সব যুদ্ধের অবসান। শোকে ভেঙে পড়ল বিটাউন।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি থেকে শুরু করে রাষ্ট্রপতি রাম নাথ কোবিন্দ, সবাই তাঁকে শ্রদ্ধা জানিয়েছেন। লতা মঙ্গেশকর তার ৮০ বছরের ক্যারিয়ারে ২৫ হাজারেরও বেশি গান গেয়েছেন। তবে শেষবারের মতো কোন গানে কণ্ঠ দিয়েছেন তা নিয়ে ভিন্ন মত রয়েছে।
চির ঘুমের দেশে শিল্পী লতা মঙ্গেশকর। অনেকদিন আগেই চলে গিয়েছেন দেশের কিংবদন্তি শিল্পী হেমন্ত মুখোপাধ্য়ায়, তবুও আজও সব স্মৃতি টাটকা। ঝগড়া সত্ত্বেও শুধু হেমন্তের জন্যই গান গেয়েছিলেন লতা মঙ্গেশকর।
চিরদিনের জন্য স্তব্ধ হয়ে গেল কোকিল কন্ঠ। রবিবার সকালেই ২৭ দিনের লড়াই শেষ হল। প্রয়াত হলেন লতা মঙ্গেশকর। সুর-সাম্রাজ্ঞী লতা মঙ্গেশকর প্রথমসারির সংবাদমাধ্যমে আগে জানিয়েছিলেন, তার জীবনের বিশেষ শূন্যতার কথা। একে একে কাছের মানুষরা ছেড়ে চলে যাওয়ার যন্ত্রণা তাকে ঘিরে ধরেছিল।
১৯৬২ সালের ভারত-চিন যুদ্ধের পর দেশ তখন কার্যত বিধ্বস্ত। তাবড় শিল্পীদের একছাতার নীচে নিয়ে ত্রাণ সংগ্রহের চেষ্টা চলছে। ১৯৬৩ সালে দিল্লির রামলীলা ময়দানে তেমনই একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিল। আর সেখানে আমন্ত্রণ পেয়েছিলেন লতা মঙ্গেশকর।
আজ লতা দিদি আমাদের ছেড়ে চলে গিয়েছেন। পরমাত্মায় বিলীন হয়ে গিয়েছেন। কালই বসন্তী পর্ব ছিল, মা সারদার পুজো করেছিলাম। যাঁর কণ্ঠের মাধ্যমে ছোট থেকে বড় সকলেই মা সরস্বতীর আশীর্বাদ পেত, আজ তিনি ব্রহ্মলোকের উদ্দেশ্যে যাত্রা করেছেন।
শ্রদ্ধা জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বলেছেন যে, 'দেশ তার কণ্ঠস্বর হারিয়েছে। লতা মঙ্গেশকর দেশের জন্য ঐতিহ্যের চেয়ে কম ছিলেন না।' লতা মঙ্গেশকরের মৃত্যুতে দুই দিনের জাতীয় শোক ঘোষণা করেছে কেন্দ্রীয় সরকার।
শেষে কঠিন লড়াই করে মাল্টি ওর্গান ফেলিয়রের কারণে প্রয়াত হন ভারতের সুর-সম্রাজ্ঞী। এদিন খবর সামনে আসা মাত্রি বিচ ক্যান্ডি হাসপাতালের বাইরে বাড়ানো হয় নিরাপত্তা, গ্রীন করিডোর করেই তাঁর পার্থিব দেহ নিয়ে যাওয়া হল লতা মঙ্গেশকরকে প্রভূকুঞ্জ অর্থাৎ লতা মঙ্গেশকরের বাড়িতে।
চিরদিনের জন্য স্তব্ধ হয়ে গেল কোকিল কন্ঠ। ২৭ দিনের লড়াই শেষ হল আজ সকালেই। ৯২ বছরেই না ফেরার দেশে চলে গেলেন লতা মঙ্গেশকর (RIP Lata Mangeshkar )। সুর-সাম্রাজ্ঞী মৃত্যুর খবরে গোটা দেশ জুড়ে শোকের ছায়া। এর আগেও একাধিকবার সঙ্কটজনক অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করতে হয়েছিল লতাজিকে। তবে প্রতিবারই সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে এসেছেন লতা মঙ্গেশকর। এমনকী বিষ খাইয়ে হত্যার চেষ্টা করা হয়েছিল লতা মঙ্গেশকরকে। এই খবরের সত্যতায় সিলমোহর দিয়েছিলেন শিল্পীর বোন উষা মঙ্গেশকর। সকাল ৮.১২ মিনিটে চিরঘুমের দেশে চলে গেলেন লতা মঙ্গেশকর। কোভিডকে হারিয়েও আর বাড়ি ফেলা হল না সুর-সাম্রাজ্ঞীর।
লতা মঙ্গেশকরের প্রয়াণে শোকপ্রকাশ সুরকার জিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের।জিৎ গঙ্গোপাধ্যায় বলেছেন, 'লতা মঙ্গেশকরের সঙ্গে একটি মাত্র গান করার সুযোগ পেয়েছিলাম'