- Home
- Entertainment
- Bollywood
- বিষ দিয়ে খুনের চেষ্টা, তিনমাস শয্যাশায়ী থেকেও মৃত্যুর সঙ্গে দীর্ঘ লড়াইয়ে জয়ী হয়েছিলেন লতা মঙ্গেশকর
বিষ দিয়ে খুনের চেষ্টা, তিনমাস শয্যাশায়ী থেকেও মৃত্যুর সঙ্গে দীর্ঘ লড়াইয়ে জয়ী হয়েছিলেন লতা মঙ্গেশকর
- FB
- TW
- Linkdin
কোটি কোটি অনুরাগীর প্রার্থনায় এবার আর সারা দিলেন না বর্ষীয়াণ গায়িকা। সরস্বতী পুজোর রেশের মধ্যেই চলে গেলেন সুরের সরস্বতী। কোভিড পরবর্তী জটিলতা, মাল্টি অর্গান ফেলিওরেই মৃত্যু হয়েছে লতা মঙ্গেশকরের (RIP Lata Mangeshkar )।
সকাল ৮.১২ মিনিটে চিরঘুমের দেশে চলে গেলেন লতা মঙ্গেশকর। এর আগেও একাধিকবার সঙ্কটজনক অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করতে হয়েছিল লতাজিকে। তবে প্রতিবারই সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে এসেছেন লতা মঙ্গেশকর। এবারও অনেকটা সুস্থ হয়ে উঠছিলেন ধীরে ধীরে (RIP Lata Mangeshkar )।
কিন্তু শেষমেষ আর শেষরক্ষা হল না। কোভিডকে হারিয়েও আর বাড়ি ফেলা হল না সুর-সাম্রাজ্ঞীর। লতা মঙ্গেশকরের মৃত্যুতে শোকস্তব্ধ গোটা দেশ।২৭ দিনের লড়াই শেষ হল আজ সকালেই। ৯২ বছরেই না ফেরার দেশে চলে গেলেন লতা মঙ্গেশকর (RIP Lata Mangeshkar )।
সুর সম্রাজ্ঞী লতা মঙ্গেশকর এত নাম-যশ- খ্যাতি যেমন বেড়েছে তেমনই নাকি বেড়েছিল তার শত্রুর সংখ্যাও। এমনকী বিষ খাইয়ে হত্যার চেষ্টা করা হয়েছিল লতা মঙ্গেশকরকে (RIP Lata Mangeshkar )। এই খবরের সত্যতায় সিলমোহর দিয়েছিলেন শিল্পীর বোন উষা মঙ্গেশকর।
বয়স সবে মাত্র ৩৩ বছর। হঠাৎই পেটে শুরু হয় প্রচন্ড ব্যথা। তারপর থেকেই সবুজ বমি করেত শুরু করেন তিনি। তারপরই সারা শরীর অসাড় হয়ে পড়ে। এমনকী হাত-পা নাড়ানোরও ক্ষমতা হারিয়ে ফেলেন লতা মঙ্গেশকর (RIP Lata Mangeshkar )।
অসহ্য যন্ত্রণা বাড়তেই চিকিৎসককে খবর দেওয়া হয়। এবং বাড়িতেই এক্স-রে করানো হয়। এক্স রে রিপোর্ট থেকে জানা যায় পাকস্থলীতে বিষ রয়েছে। এবং তখনই একটানা তিন দিন মৃত্যুর সঙ্গে লড়েছিলেন লতা মঙ্গেশকর (RIP Lata Mangeshkar )।
১০ দিন পরে ধীরে ধীরে স্বাভাবিক হয়ে উঠেন লতা (RIP Lata Mangeshkar ) । পরে চিকিৎসক জানান কেউ তাকে বিষ প্রয়োগ করে খুন করার চেষ্টা করেছে। বেশ কিছুদিন পর্যন্ত গরম কোনও খাবার খেতে পারতেন না। সবসময়েই ঠান্ডা তরল খাবার খেতেন।
১০ দিন পরে ধীরে ধীরে স্বাভাবিক হয়ে উঠেন লতা (RIP Lata Mangeshkar ) । পরে চিকিৎসক জানান কেউ তাকে বিষ প্রয়োগ করে খুন করার চেষ্টা করেছে। বেশ কিছুদিন পর্যন্ত গরম কোনও খাবার খেতে পারতেন না। সবসময়েই ঠান্ডা তরল খাবার খেতেন।
ঘটনা ঘটেছিল ১৯৬২সালে। ছয়ের দশকের এই ঘটনা নিয়ে মুখ খুলেছিলেন সুর সম্রাজ্ঞী লতা মঙ্গেশকর। সেই সময়ে সংগীতমহলে প্রতিষ্ঠিত লতা মঙ্গেশকর। হঠাৎই খুব অসুস্থ হয়ে পড়েন কিংবদন্তী (RIP Lata Mangeshkar )।
ধীরে ধীরে এতটাই দুর্বল হয়ে পড়ছিলেন যে কারোর সাহায্য ছাড়াই বিছানা থেকে উঠতে পারতেন না। সেই রকম মিউজিক ইন্ডাস্ট্রিতেও রটে গিয়েছিল লতা মঙ্গেশকর নিজের গলার স্বর হারিয়ে ফেলেছেন। তবে তেমনটাই ঠিক নয় বলেই জানিয়েছেন লতা মঙ্গেশকর (RIP Lata Mangeshkar )।
একটানা প্রায় তিনমাস শয্যাশায়ী ছিলেন লতা। চিকিৎসক ডা.আর পি কাপুরের অক্লান্ত পরিশ্রমে তিনি সুস্থ হয়ে স্বাভাবিক জীবন ফিরেছেন। এই কঠিন সময়ে লতার পাশে ছিলেন কবি গীতিকার মজরুহ সুলতানপুরী, যিনি রোজ লতাকে কবিতা শোনাতেন আর অপরজন হলেন হেমন্ত মুখোপাধ্যায়। যার জন্য দ্বিতীয়বার সঙ্গীত জগতে ফিরতে পেরেছিলেন (RIP Lata Mangeshkar ) ।
তবে কে বিষ দিয়েছিল লতা মঙ্গেশকরকে? কিংবদন্তি জানিয়েছিলেন, তিনি নাকি তার পরিবারেরই একজন। যার নাম পরে জানতেও পেরেছিলেন লতা। কিন্তু প্রমাণের অভাবে কোনও ব্যবস্থা নিতে পারেননি তিনি। লেখক পদ্মা তার বইতে জানিয়েছিলেন, লতার রাঁধুনি এর পরেই নাকি পারিশ্রমিক না নিয়ে আমচকা কাজ ছেড়ে চলে যান। তিনি এর আগেও বলিউডের বেশ কিছু তারকার বাড়িতে কাজ করেছিলেন (RIP Lata Mangeshkar )।