সংক্ষিপ্ত

একটা সময়ে আত্মহত্যার পরিস্থিতিতে দিন কাটিয়েছিলেন সলমন খান। নিজের জীবনের কথা খোদ নিজেই জানিয়েছিলেন ভাইজান। 

বলিউডের ব্যাচেলর-এর তকমা আজও মোছেনি তার থেকে। বহু নায়িকার সঙ্গে গুঞ্জন শোনা গেলেও ৫৬ পেরিয়েও তিনি বলিউডের মোস্ট পপুলার 'চিরকুমার' সলমন খান। ৫৭-তে পা দিলেন বলিউডের ভাইজান সলমন খান। অভিনেতার জন্মদিনের দিন পুরোনো একটি ঘটনা ফের ভাইরাল হয়েছে। একটা সময়ে আত্মহত্যার পরিস্থিতিতে দিন কাটিয়েছিলেন সলমন খান। নিজের জীবনের কথা খোদ নিজেই জানিয়েছিলেন ভাইজান। বরাবরই নিজের স্বাস্থ্য নিয়ে সচেতন সলমন খান।

আত্মহত্যার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলে খোদ সলমন খান। খবরটা শুনে চোখ কপালে উঠলেও হ্যাঁ এটাই সত্যি। এমন একটা সময়ের মধ্য দিয়ে সলমন দিন কাটিয়েছেন যে ট্রাইজেমিনাল নিউরালজিয়া নামের নার্ভের রোগে আক্রান্ত হয়েছিলেন। চলতি কথায় একেই বলা হয় আত্মহত্যার রোগ। কারণ এই রোগের প্রকোপে যারা পড়েন তারা এতটাই যন্ত্রণার মধ্য দিয়ে যায় যে অনেকসময়েই তা সহ্য করে উঠতে পারে না রোগী। আর তখনই আত্মহত্যাই হতে পারে যন্ত্রণামুক্তির পথ।

 

 

এই ভয়ঙ্কর কঠিন রোগে আক্রান্ত হওয়ার কথা নিজেই জানিয়েছিলেন সলমন খান। দুবাইতে টিউবলাইট ছবির গান প্রকাশের অনুষ্ঠানে এই রোগের কথা সকলের সামনেই ফাঁস করেন ভাইজান। সলমন জানান, এই রোগে আক্রান্ত হওয়ার পর এতটাই যন্ত্রণা হতো যে মুখ খুলে ঠিকমতো কথাও বলতে পারতাম না। নিজের গলার স্বর, কথা বলার ভঙ্গিও পাল্টে গিয়েছিল। সেই সময়ে আমাকে দেখে অনেকেই ভাবত যে আমি হয়তো মদ্যপান করে আছি, সেই জন্যই জড়ানো গলায় কথা বলছি। অথচ আমি সেই সময় একেবারেই মদ্যপান করতাম না। ২০০১ সালে নার্ভের শিকার হয়েছিলেন সলমন খান। তারকাদের মধ্যে তিনিই প্রথম মুখ খুলেছিলেন এই কঠিন রোগ নিয়ে, যার ফলে অন্যদের মধ্যে সচেতনতা বাড়ে। সলমনকে নিয়ে অনুরাগীদের প্রশ্নের শেষ নেই। তবে ভাইজানের সবথেকে চর্চিত বিষয় হল কবে তিনি বিয়ে করছেন। যদিও সলমনও থেমে থাকেনি। বি-টাউনের মোস্ট পপুলার লাভারবয়ের প্রেমে হাবুডুবু খেয়েছেন তাবড় তাবড় অভিনেত্রীরাও। একের পর এক অভিনেত্রীর সঙ্গে প্রেমের লীলায় মেতে উঠেছিলেন বলিউডের এই লাভার বয়। ঐশ্বর্য থেকে ক্যাটরিনা, ইউলিয়া, জ্যাকলিন কেউই বাদ যায়নি ভাইজানের তালিকা থেকে। কিন্তু কারোর সঙ্গেই শেষমেষ সম্পর্ক টেকেনি সলমনের।বলিউডের ব্যাচেলর-এর তকমা আজও মোছেনি তার। যদিও বিয়ে করে সংসারের করার প্রবল ইচ্ছা ছিল সল্লুর, আর তখনই আসে বিপত্তি। নেটিজেনরা বলেনস ঐশ্বর্যর সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা নাকি এখন ভুলতে পারেননি সল্লু,  তার ব্যাচেলর থাকার পিছনে দায়ী  ঐশ্বর্য।