সংক্ষিপ্ত
রাজ-শিল্পা-শমিতার পুরোনো সাক্ষাৎকার থেকে জানা গেছে, শিল্পা ও রাজের বিয়ের পর নাকি মানসিক অবসাদে ভুগতে শুরু করেন শমিতা। যা নিয়ে ফের শোরগোল শুরু হয়েছে টিনসেল টাউনে।
রাজ কুন্দ্রার গ্রেফতারির পর থেকেই বিতর্কের কেন্দ্রবিন্দুতে শিল্পা শেট্টি। যদিও বাদ পড়েনি তার পরিবারও। রাজ কুন্দ্রার পর্নোগ্রাফি বিতর্কে বারবার নাম জড়িয়েছে শিল্পার বোন শমিতা শেট্টির। ১৯ জুলাই স্বামী রাজ কুন্দ্রার পর্নোগ্রাফির শুটিংয়ের ঘটনায় গ্রেফতার হওয়ার পর মানসিকভাবে বিধ্বস্ত হয়ে পড়েছিলেন শিল্পা শেট্টি। এমনকী শিল্পা ঘুমিয়ে পড়লেই চলত জামাইবাবু রাজের সঙ্গে দেদার পার্টি, সেই গোপন কেচ্ছাতেও শিরোনামে এসেছিলেন শমিতা। রাজ-শিল্পা-শমিতার পুরোনো সাক্ষাৎকার থেকে জানা গেছে, শিল্পা ও রাজের বিয়ের পর নাকি মানসিক অবসাদে ভুগতে শুরু করেন শমিতা। যা নিয়ে ফের শোরগোল শুরু হয়েছে টিনসেল টাউনে।
রাজ কুন্দ্রার গ্রেফতারির পর থেকেই বিতর্কের কেন্দ্রবিন্দুতে শিল্পা শেট্টি ও তার পরিবার। তেমনই রাজেরও পুরোনো সাক্ষাৎকারও এখনও ঘুরপাক খাচ্ছে নেটদুনিয়ায়। কয়েকদিন আগেই রাজের বিলাসবহুল জীবন যাপন এবং রোজগার নিয়ে কানাঘুষো হয়েছিল। জেল থেকে মুক্তি পেয়েই শান্তি নেই শিল্পার। কোনও না কোন কারণে বারেবারেই শিরোনামে উঠে আসেন শিল্পা শেট্টি। এবার শিল্পার বোন শমিতাকে নিয়ে জলঘোলা শুরু হয়েছে নেটদুনিয়ায়।
দ্য কপিল শর্মা শো-তে হাজির হয়ে ডিপ্রেশনের কথা অকপটে স্বীকারও করে নিয়েছিলেন শমিতা শেট্টি। ছোট থেকেই একসঙ্গে বড় হয়েছেন তারা। বিয়ের পর শিল্পার বাড়ি ছেড়ে চলে যাওয়াতেই ডিপ্রেশন আকড়ে ধরেছিল শমিতাকে। শিল্পার সম্পর্কের শুরু থেকেই জামাইবাবু রাজকে দারুণ পছন্দ ছিল শমিতা। শিল্পা জানিয়েছেন, রাজের বিয়ের প্রস্তাব গ্রহণ করার আগে থেকেই সারাক্ষণ রাজের গুণগান করত শমিতা। শমিতা জানান, দিদির বিয়ের পর প্রায় এক মাস ডিপ্রেশনে ভুগেছিলাম। দিদি বাড়িতে থাকলে ওর সঙ্গে হাসিঠাট্টা করে সময় কাটত। কিন্তু ওর চলে যাওয়ার পর সেই একা হয়ে যেতাম। এই শো-তেই শ্যালিকা শমিতাকে নিয়ে বেশ কিছু বিতর্কিত মন্তব্য করেছিলেন রাজ। যেখানে রাজকে বলতে শোনা যাচ্ছে, ঘরোয়া প্রকৃতির মেয়ে শিল্পাকে বিয়ে করে তিনি খুবই লাভবান। রাজ আরও বলেছিলেন, ৭ টার মধ্যে খাওয়া-দাওয়া করেই ৯ টার মধ্যেই ঘুমোতে চলে যান, আর তখনই নাকি শ্যালিকা শমিতাকে নিয়ে পার্টি করতে চলে যান, রাজের এই বেফাঁস মন্তব্যেই জোর জল্পনা শুরু হয়েছে নেটপাড়ায়। রাজের এই উত্তর শুনে হেসে ফেলেছেন তার পাশে বসে থাকা স্ত্রী এবং শমিতা। তারপরেই রাজ মজার ছলে আরও বলে ওঠেন, এই জন্য়ই শমিতাকে বিয়ের জন্য জোর করছি না। এর পরেই অন্য প্রসঙ্গে চলে যান তিনি । রাজের এই মন্তব্যকে মোটেই ভাল চোখে দেখেননি। শ্যালিকার সম্পর্কে এহেন মন্তব্যে অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন নেটিজেনদের একাংশ। যদিও এ বিষয়ে কোনও মন্তব্য করেননি শমিতা। পর্নকান্ডে পুলিশি জিজ্ঞাসাবাদের মুখে না পড়লেও বারেবারেই উঠে এসেছে শমিতার নাম।