সংক্ষিপ্ত

মা হওয়ার পরেও ৪১ বছর বয়সেও গায়িকা সুনিধি চৌহান কীভাবে নিজেকে ফিট রেখেছেন, তা নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে। ডায়েট এবং শরীরচর্চার মাধ্যমে তিনি তারুণ্য ধরে রেখেছেন।

মা হওয়ার পরেও এই ৪১ বছর বয়সেও দিব্যি ফিট গায়িকা সুনিধি চৌহান। একই দেশ বেশ হওয়ার পরেও সাধারণ মনুষ আর গায়িকা - নায়িকাদের শারীরিক গঠনের এতো তফাৎ কীসের? ৪০ পেরোলেও তারকরা ফিব্যি লাফিয়ে ঝাঁপিয়ে নিজের শো করে যাচ্ছেন। একই বয়সের বিভিন্ন মানুষকে এক এক রকম লাগে। কাউকে দেখলে মনে হয়, যেন বুড়িয়ে গিয়েছেন। কেউ আবার দিব্যি শক্তপোক্ত। কারও মুখে বলিরেখা, আবার কারও ত্বকে লাবণ্যের ছোঁয়া। বয়স হলে তার ছাপ চোখ-মুখে পড়বে। তবু একই বয়সের বিভিন্ন মানুষের মধ্যে তফাত স্পষ্ট হয়ে ওঠে।

সাম্প্রতিক মুক্তিপ্রাপ্ত ভিডিয়ো অ্যালবাম ‘আঁখ’ -এ গায়িকা যেরূপে নিজেকে দর্শকদের কাছে তুলে ধরেছেন রীতিমতো তাক লাগিয়ে দিয়েছে ভক্তদের। একটি সাক্ষাৎকারে তিনি নিজে বলেছিলেন, ‘‘শুটিংয়ের সময় অন্য নৃত্যশিল্পীরা ক্লান্ত হয়ে পড়লেও, আমি টানা এক ঘণ্টার বেশি নাচ করে গিয়েছি। বাকিদের বিশ্রামের দরকার হলেও আমার প্রয়োজন পড়েনি। আমি তিন ঘণ্টা একটানা কাজ করেছিলাম।’’ আসলে ফিটনেসের জন্য শুধু বলিউডের নায়ক - নায়িকাদেরই শরীরচর্চার প্রয়োজন হয় না, সঙ্গীতজগতের শিল্পীদেরও ফিট রাখতে হয় নিজেদের। মঞ্চ মাতিয়ে তুলতে হয় না থেমে। তাই সুনিধি শুধু জিমে গিয়ে ওজনই তোলেন না, বরং পাশাপাশি নজর দেন ডায়েটেও। জিমে গিয়ে রীতিমতো ভারী শরীর চর্চা করেন আজকালকার গায়ক গায়িকারা। একটি সক্ষাৎকারে গায়ক সোনু নিগম বলেছিলেন, গান করতে গেলে শুধু গলা বা শ্বাস - প্রশ্বাসেরই নয় ফুসফুসের জড়তা কাটানোর জন্য বিভিন্ন ধরনের শরীরচর্চারও প্রয়োজন পড়ে।

গায়িকার সারাদিনের রুটিন অনুযায়ী, তিনি সকালটা কার্বোহাইড্রেটের বদলে প্রোটিন ও স্বাস্থ্যকর ফ্যাট দিয়েই শুরু করেন। দিনে ৮ ঘণ্টায় যা খাওয়ার খেয়ে নেন তিনি। রাতে সাড়ে ৭ টার মধ্যে শেষ করেন ডিনারও। সারা দিনে খিদে পেলে সাথে রাখেন ড্রাই ফ্রুটস। ইন্টারমিটেন্ট ফাস্টিং পদ্ধতিতে ডায়েটের পাশাপাশি ভারী ওজন নিয়ে শরীরচর্চাও করেন তিনি। পুষ্টিবিদ অশ্লেষা জোশীও বলেন, ইন্টারমিটেন্ট ফাস্টিং, প্রোটিন-সমৃদ্ধ খাবার এবং ওজন তুলে শরীরচর্চার জোরেই এই বয়সেও রীতিমতো স্টেজ কাঁপানোর ক্ষমতা রাখেন সুনিধি চৌহান।

সতর্কতা : পুষ্টিবিদেরা এর সতর্কতা ও সীমাবদ্ধতা নিয়েও খেয়াল রাখতে বলেন। শরীর এবং প্রয়োজন অনুযায়ী ডায়েটিশিয়নের পরামর্শ নিয়েই ইন্টারমিটেন্ট ফাস্টিং শুরু করবেন। সঠিক পরিমাণ ও সঠিক সময়ে খাওয়া না হলে এই ডায়েটের ফলে অপুষ্টি ও হরমোনের তরতম্য দেখা দিতে পারে যা হিতে বিপরীত হতে পারে।