সংক্ষিপ্ত
চান্দু ও পবিত্রার মধ্যে সম্পর্ক ছিল। দ যদিও দুজনেই বিবাহিত ছিলেন। তাদের দুজনেরই দুটি সন্তানও রয়েছে।
মাত্র পাঁচ দিন আগেই মৃত্যু হয়েছিল তেলেগু অভিনেত্রী পবিত্রা জয়রামের। গাড়ি দুর্ঘটনায় মর্মান্তিক ভাবে মারা যান তিনি। এই ঘটনার মাত্র পাঁচ দিন পরেই তেলেগু অভিনেতা চান্দু ওরফে চন্দ্রকান্ত আত্মহত্যা করেন। চান্দু মানিকোন্ডায় তাঁর নিজের বাড়িতেই আত্মহত্যা করেন। সেখান থেকেই উদ্ধার করা হয়েছে তাঁর দেহ।
পবিত্রা মৃত্যুর পর থেকেই হতাশা গ্রাস করেছিল চান্দুকে। হতাশাগ্রস্ত হয়ে পড়েছিলেন বলেও জানিয়েছেন তাঁর ঘনিষ্টরা। সংবাদ মাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে চান্দুকে বারবার ফোন করেছিল তাঁর পরিবারের সদস্যরা। কিন্তু তিনি ফোন রিসিভ করেননি। তারপরই চান্দুর পরিবারের সদস্যরা তাঁর ঘরের দরজা ভেঙে তাঁকে উদ্ধার করে। পুলিশকে খবর দেয়। পুলিশ গিয়ে একটি সুইসাইডনোট উদ্ধার করে। নরসিংগি থানায় ১৭৪ধারায় মামলাও রুজু করা হয়েছে।
সংবাদ মাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী চান্দু ও পবিত্রার মধ্যে সম্পর্ক ছিল। দ যদিও দুজনেই বিবাহিত ছিলেন। তাদের দুজনেরই দুটি সন্তানও রয়েছে। তবে দুজনেই দাম্পত্য সম্পর্ক ছিন্ন করে সেখান থেকে বেরিয়ে এসেছিলেন। তেলেগু ইন্ডাস্ট্রিতে গুঞ্জন পবিত্র ও চান্দু বিয়ে করতেও চেয়েছিলেন। পবিত্রারা বেরিয়ে ফেরার পরই তাদের বিয়ের কথা ছিল। কিন্তু বেড়িয়ে ফেরার পথেই গাডি দুর্ঘটনায় তাঁর মৃত্যু হয়।
তবে অনেকেই দাবি করে চান্দু ও পবিত্রার বিয়ে হয়েছিল। বিয়ে তারা গোপন রেখেছিলেন।
পবিত্রা তেলেগু শো ত্রিনয়নীতে তিলোত্তমার ভূমিকায় অভিনয় করলেও চান্দু তার স্বামী বিশালের ভূমিকায় অভিনয় করেছিলেন। রবিবার (১২ মে) অন্ধ্র প্রদেশের মাহাবুবনগরের কাছে একটি সড়ক দুর্ঘটনায় তিনি মারা যান। পবিত্রার গাড়ি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ডিভাইডার ভেঙে উল্টো দিক থেকে আসা একটি বাসে ধাক্কা মারে। ঘটনাস্থলেই মারা যায় পবিত্রা।