- Home
- Entertainment
- Bollywood
- মাত্র ১৮ দিনে ২০০ কোটির ক্লাবে পা, দেখে নিন কোন কোন বিগ বাজেটের ছবিকে টেক্কা দিল দ্য কেরালা স্টোরি
মাত্র ১৮ দিনে ২০০ কোটির ক্লাবে পা, দেখে নিন কোন কোন বিগ বাজেটের ছবিকে টেক্কা দিল দ্য কেরালা স্টোরি
মুক্তির পর থেকেই ছবির আয় নজর কেড়েছে। তবে, তা এত দ্রুত ২০০ কোটির ঘরে পা রাখবে তা কেউ আশা করতে পারেনি। দেখে নিন আয়ের দিক দিয়ে কোন কোন বিগ বাজেটের ছবিকে টেক্কা দিল দ্য কেরালা স্টোরি।
- FB
- TW
- Linkdin
মাত্র ১৮ দিনেয় ছবি পা রাখল ২০০ কোটির ঘরে। বক্স অফসে সলমন খান, রণবীর কাপুরের মতো স্টারকে দিল টেক্কা। দীর্ঘ বিতর্কের পরেও ছবির আয় গড়ল রেকর্ড। আদা শর্মার অভিনয় টেক্কা দিল বড় বড় হেভি ওয়েট স্টারকে। যা দেখে চমক পেয়েছে ছবির টিম।
সোমবার ২০০ কোটির ঘরে পা রাখল দ্য কেরালা স্টোরি। পাঠান ছবির পর এই ছবির আয় গড়ল রেকর্ড। আপাতত বছরের সেরা আয় করা ছবির তালিকায় বাকি ছবি দের টেক্কা দিয়ে এগিয়ে গেল দ্য কেরালা স্টোরি। এভাবে দ্য কেরালা স্টোরি গড়ল রেকর্ড।
দ্য কেরালা স্টোরি ২০২৩ সালের বক্স অফিসে দ্বিতীয় সর্বাধিক আয় করা ছবির স্থান পেল। রণবীর কাপুরের তু ঝুটি ম্যায় মক্কা যেখানে ২২৩ কোটি আয় করেছিল। সেখানে মাত্র ১৭ দিনে বিশ্ব জুড়ে ছবির আয় ছিল ২৪০ কোটি। তেমনই সলমনের কিসি কা ভাই কিসি কি জানকে টেক্কা দিয়েছে ছবিটি।
৫ মে মুক্তি পেয়েছে দ্য কেরালা স্টোরি। ছবির ট্রেলার লঞ্চ থেকে একের পর এক সমস্যায় ছবিটি। একাধিক আইনি মামলায় জড়িয়েছেন। দীর্ঘ বিতর্কের পর মুক্তি পায় ছবিটি। ওপেনিং ডে-তে ছবির আয় করেছে ৮.০৩ কোটি। করেন। ৯ দিনে ছবির আয় প্রবেশ করেছেন ১০০ কোটির ক্লাবে।
খোদ প্রধানমন্ত্রী করেছিলেন ছবির প্রশংসা। এই খবরে যখন স্বস্তি পেয়েছিলেন ছবির টিম তখন দেখা দিন নতুন বিপদ। তামিলনাড়ুর সমস্ত হল থেকে সরানো হয়েছিল ছবিটি। তারপর তা পশ্চিমবঙ্গে নিষিদ্ধ হয়। UP-তে আবার ‘দ্য কেরালা স্টোরি’ ট্যাক্স ফ্রি ঘোষণা করল যোগী সরকার। এর আগে মধ্যপ্রদেশের মুধ্যমন্ত্রী শিবরাজ সিং চৌহান ছবিটি সে রাজ্যে করমুক্ত সুদীপ্ত সেন পরিচালিত এই ছবি।
বড় বড় ছবিতের পিছনে ফেলে এগিয়েছে ছবিটি। ছবির কেন্দ্রে রয়েছেন আদা শর্মা। ছবিতে দেখানো হয়েছে হিন্দু ও খ্রিস্টান মেয়েদের জোর করে ধর্মান্তরিত করে কীভাবে সিরিয়া ও আফগানিস্তানে আইএসআইয়ের প্রশিক্ষণ শিবিরে নিয়ে যাওয়া হবে তা ফুটে উঠেছে ছবিতে।
মধ্যবিত্ত পরিবারের একটি মেয়ে নার্সিং পড়তে গিয়ে কীভাবে জঙ্গি সংগঠনের ট্রাপে পড়ে, কীভাবে দক্ষিণ ভারত থেকে সে সঙ্গি সংগঠনের সদস্য হয়ে ওঠে তা নিয়ে ছবিটি।
ছবির গল্প আবর্তিত হয়েছে শালিনির জীবন ঘিরে। সে ও তাঁর দুই বন্ধু কীভাবে ট্র্যাপে পড়ে তা ফুটে উঠেছে ছবিতে। ছবিতে ঘিরে বিতর্ক শুরু হয়েছে ট্রেলার মুক্তি থেকে। একটি বিতর্কের অবসান হতে শুরু হচ্ছে অন্য বিতর্ক। এক বাধা সত্ত্বেও ছবির আয় গড়েছে রেকর্ড।
এদিকে প্রথমে ছবিটি নিষিদ্ধ হলেও পরে পশ্চিমবঙ্গে ছবি দেখানোর নির্দেশ দিয়েছে আদালত। তা সত্ত্বেও প্রায় ৬০টি প্রেক্ষাগৃহে ছবির প্রদর্শন হচ্ছে না। সদ্য এমন দাবি করেছেন পরিচালক সুদীপ্ত সেন।
তিনি বলেন, মুখ্যমন্ত্রী যদি সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ অমান্য করেন, তাহলে তা ভালো নয়। তিনি বলেন, সুপ্রিম কোর্টে বলার পরও হল মালিকদের হুমকি দেওয়া হচ্ছে। পুলিশ ফোন করে শো বন্ধ করতে বলেছেন। তিনি বলেন, আধ ঘন্টায় দু-একটি হলে ৮০ শতাংশ টিকিট বিক্রি হয়ে গিয়েছে। তারপরও পুলিশ জোর করে টিকিটের পয়সা ফেরত দিতে বলেছে। ......ওঁকে কত করে বললাম, হাত জোড় করে সিনেমাটা দেখানোর জন্য অনুরোধ করলাম, উনি নিজেও দেখবেন না, চলতেও দেবেন না।