সংক্ষিপ্ত
বাংলা ভাষাতেও মুক্তি পেল ‘পুষ্পা২’-এর টাইটেল ট্র্যাক! কে গেয়েছে এই গান জানেন?
আগামী ১৫ অগাস্ট মুক্তি পাচ্ছে 'পুষ্পা ২'। মোট ৬টি ভাষায় মুক্তি পেতে চলেছে এই ছবি। তার মধ্যে অন্যতম হল বাংলা ভাষা। এবার মুক্তি পেল এই ছবির একটা গান। হিন্দির পাশাপাশি বাকি ভাষা গুলিতেও মুক্তি পেয়েছে গানটি। মুক্তির কিছুক্ষণের মধ্যেই ঝড়ের গতিতে নেটপাড়ায় ভাইরাল হয়ে পড়ে গানটি।
বাংলা ভার্সনটি গেয়েছেন বিশিষ্ট বাঙালি সংগীতশিল্পী তিমির বিশ্বাস। গানটি লিখেছেন শ্রীজাত। 'পুষ্পা ২'এর টাইটেল ট্র্যাক ইতিমধ্যেই প্রবল জনপ্রিয়তা পেয়েছে বাংলা ভাষাতেও। হিন্দিতে গানটি গেয়েছেন মিকা সিং, নাকাশ আজিজ।
এই প্রসঙ্গে সঙ্গীত শিল্পী জানান, "আমাকে মুম্বই গিয়ে গানটা রেকর্ড করতে বলা হয়েছিল। কিন্তু, আমি সেই সময় একটা অ্যালবাম নিয়ে খুব ব্যস্ত ছিলাম। এপ্রিল মাসে আমার সমস্যা রয়েছে সেটা জানিয়েছিলাম। তখন ওনারাই কলকাতায় আসতে রাজি হন। মিউজিক ডিরেক্টরের সঙ্গে ভয়েস রেকর্ড করার যে অ্যাসিসটেন্ট থাকেন তাঁরা এলেন। তারপর এখানে গানটা রেকর্ড হল। গানটা গাওয়ার পর বেশ ভালোই লাগছে। আমার পরিচিতির সীমাটা যেন আরও বেশ খানিকটা বেড়ে গিয়েছে। সকলে আমাকে ফোন করছে শুভেচ্ছা জানাচ্ছে কথা বলতে চাইছে। খুব ইচ্ছে গোটা পৃথিবীর মানুষ আমার গান শুনুক। অবাঙালি যাঁরা তাঁরাও আমার গান শুনবে সেটাই আমার প্রাপ্তি। যাঁরা আমাকে ভালোবাসেন, আমার গান পছন্দ করেন তাঁরা খুশি হয়েছেন। কারণ এটা তো একটা জাতীয় স্তরের কাজ। আমি জীবনে মানুষের প্রচুর ভালোবাসা পেয়েছি। এটা ঈশ্বরের আশীর্বাদ। তাই আপাতত জীবনে কোনও আক্ষেপ নেই "
তিমির জানিয়েছেন, "আমার গলা থেকে ঠিক কোন ভয়েস বা সুর চাইছেন সেই বিষয়ে একেবারে নিশ্চিত। কোনওরকম ট্রায়ালের বিষয় নেই। স্টুডিয়োতে এসে ওনারা আমাকে ভীষণ ভালোভাবে বুঝিয়ে ছিয়েছিলেন গানটাকে ঠিক কী ভাবে পরিবেশন করতে চান। টেকনিক্যালি ভীষণ পারফেক্ট। আমার কোনও সমস্যা হয়নি গানটা রেকর্ড করতে। আমি যখন কোনও ডিরেক্টরের কথা শুনে কাজ করি তখন আমি তাঁর দাস হয়ে যাই। অনেক কিছু শেখার সুযোগ থাকে। পুষ্পা ২-এর গানটা যদি মানুষ সত্যিই ভালোবাসে তাহলে খুব আনন্দ হবে। দেখা যাক শেষ পর্যন্ত কী হয় "
এক একান্ত সাক্ষাৎকারে তিমির আরও জানান, "পুষ্পার প্রোডাকশন হাউজ থেকে কল এসেছিল। ওঁরা বলেন, পুষ্পা ২ মোট ছটা ভাষায় রিলিজ করছে। বাংলা টাইটেল সংটা আমাকে দিয়ে করাতে চান। গানটা লিখেছেন শ্রীজাত দা। গানটা লেখার জন্য দু-তিনবার ওখানে গিয়েছিলেন। তখন শ্রীজাত দাকে ওনারা জিজ্ঞাসা করেন এই গানটা যদি বাংলায় কেউ গায় তাহলে আপনি কাকে সাজেস্ট করবেন। তখন উনি আমার কথা বলেন। তারপর ওনারা আমার গানগুলো নিয়ে রীতিমতো রিসার্চ করেন। আমার গলা কেমন সেটা ভালো করে পরখ করে নেন। রিসার্চের পর ওনাদের মনে হয় এই গানটার জন্য আমি পারফেক্ট চয়েজ হতে পারি। এরপর গানটা রেকর্ড করি"।