সংক্ষিপ্ত

মধুবালা সেই সময়ই দিলীপ কুমারের কাছে কান্নায় ভেঙে পড়েছিলেন বলেও শোনা যায়। তিনি সম্পর্ক না ভাঙার আবেদন জানিয়ে বলেছিলেন দিলীপ কুমার যেন তাঁর বিরুদ্ধে সাক্ষ্য না দেন। তিনি এও বলেছিলেন দিলীপ কুমার তাঁর বিরুদ্ধে সাক্ষ্য় দিলে তাঁর জীবন বরবাদ হয়ে যাবে।

মধুবালা বলিউডের ইতিহাসে অন্যতম সুন্দরী অভিনেত্রী। তাঁর রূপের পাশাপাশি অভিনয়েতও মুগ্ধ ছিল দর্শকরা। সেইসময় বলিউডের অন্যতম গুঞ্জন ছিল মধুবালা আর দিলীপ কুমারের প্রেয়। শোনায় দিলীপ-মধুবালা জুটি রিল লাইফে যেমন মধুর ছিল তেমনই ছিল রিয়েল লাইফে। যা নিয়ে তোলপাড় ছিল টিনসেল টাউন। তবে দুজনেই এই বিষয়ে সংবাদ মাধ্যমের কাছে কোনও দিনই মুখ খোলেননি। শোনা যায় প্রায় ৭ বছর ধরে তাঁরা প্রেম করেছিলেন। কিন্তু সেই প্রেম ভেঙে যায় মাত্র এক লহমায়। কারণটা জানলে অবাক হয়ে যাবেন আপনি। 

মুঘল ই আজমের সেলিম - আনারকলির প্রেমে মজে ছিল গোটা দেশ। তলতলে দিলীপ কুমারও প্রেমে পড়ে গিয়েছিলেন সুন্দরী মধুবালার। ৭-৮ বছর তাঁদের সম্পর্ক ছিল। একের পর এক হিট ছবি উপহার দিয়েছেন দর্শকদের। শোনাযায় তাঁরা বিয়ে করারও পরিকল্পনা করেছিলেন। কিন্তু সবকিছুই ভেস্তে যায়। সঙ্গে দুজনের জীবনে নেমে আসে করুণ পরিণতি। বিচ্ছেদ হয়ে যায়।

সালটা ছিল ১৯৫৭। জনপ্রিয় অভিনেত্রী সাইন করেছিলেন বিআর চোপড়ার নয়া দৌড় ছবিতে। কিন্তু ছবির একটি দৃশ্য ছিল যেখানে উত্তেজিত জনতা মধুবালার জামাকাপড় ছিঁড়ে দেবে। শহরের বাইরে এই ছবির শ্যুটিং হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু অভিনেত্রীর বাবা সেই সময় মধুবালাকে শহরের বাইরে শ্যুটিং করতে দিতে যেতে রাজি ছিলেন না। আর বাবার কথা মেনে শ্যুটিংএর অনুপস্থিত ছিলেন তিনি। 

তারপরই আদালতের দ্বারস্থ হন বিআর চোপড়া। মধুবালার নামে মামলা করেন। ৩০ হাজার টাকা ক্ষতিপুরণ দাবি করেছিলেন। সেই মামলার অন্যতম সাক্ষ্য ছিলেন দিলীপ কুমার। তারপরই দিলীপ কুমার ও মধুবালার সম্পর্কে চিড় ধরে। 

মধুবালা সেই সময়ই দিলীপ কুমারের কাছে কান্নায় ভেঙে পড়েছিলেন বলেও শোনা যায়। তিনি সম্পর্ক না ভাঙার আবেদন জানিয়ে বলেছিলেন দিলীপ কুমার যেন তাঁর বিরুদ্ধে সাক্ষ্য না দেন। তিনি এও বলেছিলেন দিলীপ কুমার তাঁর বিরুদ্ধে সাক্ষ্য় দিলে তাঁর জীবন বরবাদ হয়ে যাবে। তাঁদের সম্পর্ক শেষ হয়ে যাবে। পাল্টা দিলীপ কুমার তাঁকে নাকি জিজ্ঞাসা করেছিলেন কী করে মধুবালা তাঁর ওপর এত জোর খাটাতে পারেন। 

এর পরই দিলীপ কুমার মধুবালার সম্পর্ক ভেঙে যায়। মধুবালার বিয়ে করেন কিশোর কুমারকে। তারপরই হার্টের অসুখ ধরা পড়ে অভিনেত্রীর। চিকিৎসার জন্য কিশোর কুমার তাঁকে লন্ডনে নিয়ে গিয়েছিলেন। মধুবালার বিবাহিত জীবন ছিল মাত্র ৯ বছরের। মধুবালা যখন মারা যান তখন দিলীপ কুমার সায়রাবানুকে বিয়ে করেন।