সংক্ষিপ্ত

শতরূপা সান্যালের কথায়, ‘‘বাঙালি বিয়েতে সবাইকে নিয়ে যে ভাবে আনন্দ, খাওয়াদাওয়া করা হয় ঠিক সেই আয়োজনই থাকবে আমার বড় মেয়ে চিত্রাঙ্গদার বিয়েতে।’’

কথা ছিল ২০২১-এর জানুয়ারি মাসে বড় মেয়ে চিত্রাঙ্গদার আনুষ্ঠানিক বিয়ে দেবেন শতরূপা সান্যাল। পাত্র সম্বিত চট্টোপাধ্যায়। করোনা-কারণে শতরূপার সেই সাধ পূরণ হয়নি। সপরিবার তিনি অতিমারিতে আক্রান্ত হয়েছিল। ফলে, বিয়ে পিছিয়ে ২০২২-এর ডিসেম্বর। এশিয়ানেট নিউজ বাংলাকে বুধবার কবি-পরিচালক জানিয়েছে, আগের কথা অনুযায়ী ২৪ ডিসেম্বর তিনি বড় মেয়েকে শ্বশুরঘরে পাঠাবেন। বৈদিক মতে বিয়ে দেবেন নন্দিনী ভৌমিক। যাঁর জীবন পর্দায় তুলে ধরেছিলেন চিত্রাঙ্গদা শতরূপার বোন ঋতাভরী চক্রবর্তী। পরিচালকের কথায়, ‘‘বিয়ের সমস্ত কেনাকাটি এক বছর আগেই গোছানো। এখন শুধু কাঁচা বাজার বাকি। দিনের দিন মেয়ের আনুষ্ঠানিক বিয়ে সম্পন্ন হলেই নিশ্চিন্ত।’’ তিনি চিত্রাঙ্গদার সমস্ত অনুরাগীদের বিয়ের দিন বর-কনেকে শুভেচ্ছা, আশীর্বাদ জানানোর আগাম অনুরোধ জানিয়েছেন। বলেছেন, ‘‘আপনারা আশীর্বাদ করুন। তিতিন আর গোগোল যেন সারা জীবন সুখে-শান্তিতে কাটাতে পারে।’’

উইনডোজ প্রযোজনা সংস্থার ‘ব্রহ্মা জানেন গোপন কম্মটি’ ছবি সূত্রেই নন্দিনী তারকা। শতরূপার দাবি, তিনি ছবির আগেই নন্দিনীকে চিনতেন। তাঁর দেওয়া বিয়ের অনুষ্ঠানেও উপস্থিত ছিলেন। নন্দিনীর ছিমছাম বিয়ের অনুষ্ঠান ভাল লেগেছে তাঁর। তখন থেকেই বড় মেয়ের বিয়ে তাঁকে দিয়েই দেওয়াবেন ঠিক করেছিলেন। এর পরই ঋতাভরী অভিনীত ‘ব্রহ্মা জানেন’ মুক্তি পায়। পরিচালকের ইচ্ছেও যেন আরও জোরালো হয়ে ওঠে। 

অর্থাৎ, চিত্রাঙ্গদার বিয়েতে কন্যাদান হবে না। পাশাপাশি, তিনি বাবার পদবি ‘চক্রবর্তী’র বদলে মায়ের নাম ‘শতরূপা’ নিজের নামের শেষে জুড়ে নিয়েছেন। চলতি বছরের এপ্রিলে আইনি বিয়ে সেরেছেন পাত্র-পাত্রী। সে দিন চিত্রাঙ্গদা সেজেছিলেন লাল টিস্যু বেনারসিতে। বিয়ের দিন কী পরবেন? প্রশ্ন ছিল শতরূপার কাছে। অভিনেত্রীর দাবি, বিয়ের কনেকে লাল বেনারসি ছাড়া মানায় না। তাই চিত্রাঙ্গদা এ দিনেও লাল বেনারসি পরবেন। সঙ্গে অবশ্যই মানানসই সোনার গয়না। একা চিত্রাঙ্গদা নন, তাঁর বিয়ের থিম পাত্রীপক্ষের সবার পোশাকেই থাকবে লালের ছোঁয়া। তেমনই থিম ভাবা হয়েছে। 

বিয়ের দিন কয়েক আগে থেকেই একের পর এক অনুষ্ঠান চিত্রাঙ্গদা-ঋতাভরীর বাড়িতে। মূল অনুষ্ঠানের আগে আইবুড়ো ভাত, ককটেল পার্টি। বিয়ের আসর বসবে বর্ধমান রাজবাড়িতে। ওখানেই পাত্র এবং পাত্রীর গায়ে হলুদ। সন্ধের লগ্নে বিয়ে, বাসর জাগা। পরের দিন সকালে বাসি বিয়েও থাকছে। পাত্রপক্ষ পূর্ববঙ্গীয়। তাই রীতি মেনে সন্ধেয় চিত্রাঙ্গদা শ্বশুরবাড়িতে পা রাখবেন। নির্দিষ্ট দিনে ঘরোয়া অনুষ্ঠানে বৌভাত। সম্ভবত পরের দিন রিসেপশনের আয়োজন করবেন পাত্রপক্ষ। ভরা শীতে বিয়ে। তাই কব্জি ডুবিয়ে খাওয়ার ব্যবস্থা রাখছেন শতরূপা। কড়াইশুঁটির কচুরি, আলুর দম থেকে শুরু করে নলেন গুড়ে মিষ্টি কিচ্ছু বাদ দেবেন না। পরিচালক-অভিনেত্রীর কথায়, ‘‘বাঙালি বিয়েতে সবাইকে নিয়ে যে ভাবে আনন্দ, খাওয়াদাওয়া সারা হয় ঠিক সেই আয়োজনই থাকবে আমার বড় মেয়ের বিয়েতে।’’

আরও পড়ুন-প্রেম না সহবাস, কীসের নেশায় পাগল ছিলেন ঐশ্বর্য? নিজের কেরিয়ারের জন্য আজও আফসোস রাই সুন্দরীর

আরও পড়ুন-কার সঙ্গে দিওয়ালিতে চুপিচুপি ঘুরছেন জাহ্নবী? সেক্সি বক্ষের ভাঁজে শরীরী মোচড় শ্রী-কন্যার

আরও পড়ুন-'সেক্সবম্ব'মালাইকার জন্য জমকালো পার্টির আয়োজন অর্জুনের, জন্মদিনে আমন্ত্রিত ছিলেন কারা?