সংক্ষিপ্ত
সন্ধ্যা দেবীর মেয়ে ঝিনুকের বন্ধু ছিলেন মানসী মুখোপাধ্যায়। তাই নানা কারণে প্রায়শই সাক্ষাত হত সন্ধ্যাদেবীর (Sandhya Mukherjee) সঙ্গে। সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়কে কাকিমা আর শ্যামল গুপ্তকে কাকু বলে ডাকতেন তিনি। তাই মানসী মুখোপাধ্যায়ের কথা, আজ পরিবারের এক সদস্যকে হারালেন তিনি।
সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায় (Sandhya Mukherjee) আর মানবেন্দ্র মুখোপাধ্যায় যে পারিবারিক বন্ধনে আবদ্ধ ছিলেন তা সকলেরই জানা। সেই সুবাদে সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়ের বাড়িতে যাওয়া আসা ছিল মানবেন্দ্র মুখোপাধ্যায়ের মেয়ে মানসী মুখোপাধ্যায়ের। অন্যদিকে, সন্ধ্যা দেবীর মেয়ে ঝিনুকের বন্ধু ছিলেন তিনি। তাই নানা কারণে প্রায়শই সাক্ষাত হত সন্ধ্যাদেবীর (Sandhya Mukherjee) সঙ্গে। সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়কে কাকিমা আর শ্যামল গুপ্তকে কাকু বলে ডাকতেন তিনি। তাই মানসী মুখোপাধ্যায়ের কথা, আজ পরিবারের এক সদস্যকে হারালেন তিনি।
ছোট থেকেই তাঁর শ্যামল কাকু ও সন্ধ্যা কাকিমার প্রেম দেখেছেন তিনি। তাঁদের সম্পর্ক নাকি লোকমুখে ফিরত এক সময়। মুখোপাধ্যায় (Mukherjee) পরিবারের মেয়ে সন্ধ্যা বিয়ে করবে গুপ্ত (Gupta) পরিবারের ছেলেকে, তা কেউ প্রথমে মেনে নেয়নি। যে কারণে বহুদিন অপেক্ষা করতে হয়েছিল দুজনকে। দুজনের দেখা সাক্ষাতে আপত্তি ছিল সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়ের পরিবারের। তাই চিঠি আদান-প্রদানের মাধ্যমে প্রেম নিবেদন হত। আর সেই চিঠি থেকেই জন্ম নিত কালজয়ী গান। এমন ভাবেই জন্ম হয়, আমি এত যে ভালোবেসেছি গানটির। গানটি নাকি শ্যামল গুপ্ত (Shyamal Gupta) সন্ধ্যাদেবীকে উদ্দেশ্য করে লিখেছিলেন।
সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়ের স্মৃতিচারণায় এমন একাধিক কথা উঠে এসেছেন মানসী মুখোপাধ্যায়ের (Manashi Mukherjee) মনে। তিনি বলেছেন, দরকার অদরকারে যখনই ছুটে গিয়েছি কখনও বিমুখ করেননি কাকু-কাকিমা। কখনও গান তুলিয়ে দেওয়া, কখনও নিছক আড্ডা, কখনওবার খেলাধুলো করতে তাদের বাড়ি যেতেন। আর সব সময় বাড়ির দরজা খোলা থাকত তাঁর জন্য।
আজ চিরনিদ্রায় শায়িত হলেন এই সহৃদয় মানুষটি। বেশ কিছুদিন অসুস্থ ছিলেন তিনি। গত ২৬ জানুয়ারি বুধবার সন্ধ্যায় অসুস্থ হয়ে পড়েন। তারপর তাঁকে এসএসকেএম (SSKM) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে পরীক্ষা করলে করোনা ধরা পড়ে। তখন বাইপাসের ধারে এক বেসরকারী হাসপাতালে তাঁকে স্থানান্তরিত করে হয় শিল্পীকে। পরে যদিও তিনি করোনা মুক্ত হয়েছিলেন। এরপর ১১ ফেব্রুয়ারি তাঁর কোমরের অস্ত্রোপচার হয়। সম্প্রতি তাঁর শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল হয়েছিল বলে জানা গিয়েছে। কিন্তু, সোমবার রাত থেকে ফের স্বাস্থ্যের অবনতি হয়। মঙ্গলবার সকালে আইসিইউ-তে (ICU) স্থানান্তরিত করা হয় শিল্পীকে। শেষে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়। ফের নক্ষত্রপতন ঘটল সঙ্গীত জগতের। কদিন আগেই লতা মঙ্গেশকরের (Lata Mangeshkar) প্রয়াণে শোকস্তব্দ হয়েছিল সঙ্গীত মহল। সেই শোক কাটিয়ে ওঠার আগেই চলে গেলেন আরও এক শিল্পী। আজ ৯০ বছরে পথচলা শেষ হল সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়ের।
আরও পড়ুন: মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের উপস্থিতিতে সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়ের শেষযাত্রা, বুধবার হবে শেষকৃত্য
আরও পড়ুন: সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়ের মৃত্যুতে উত্তরবঙ্গ সফরে কাঁচি, বুধবার কলকাতা ফিরছেন মমতা
আরও পড়ুন: গীতশ্রী সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়ের মৃত্যুতে শোকাহত, বললেন প্রধানমন্ত্রী মোদী