সংক্ষিপ্ত
গত ২৬ জানুয়ারি বুধবার সন্ধ্যায় অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন প্রবাদ প্রতিম সঙ্গীতশিল্পী। সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়। তারপর তাঁকে এসএসকেএম (SSKM) হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। সেখানে পরীক্ষা করলে করোনা ধরা পড়ে। তারপর যদিও তিনি করোনা মুক্ত হয়েছিলেন। এদিকে তাঁর কোমরের ভাঙা হাড়ের অস্ত্রোপচার হয় ১১ ফেব্রুয়ারি। হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছিল, ফুসফুসে (Lungs) সংক্রমণ হয়েছিল তাঁর।
ফের নক্ষত্রপতন সঙ্গীত জগতের। কদিন আগেই লতা মঙ্গেশকরের (Lata Mangeshkar) প্রয়াণে স্তব্দ হয়েছিল সঙ্গীত মহল। সেই শোক কাটিয়ে ওঠার আগেই চলে গেলেন আরও এক শিল্পী। আজ ৯০ বছরে পথচলা শেষ হল সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়ের। বাংলা গানে স্বর্ণযুগের শিল্পীদের শেষ তারকা নিভে গেল। নিভল সন্ধ্যা প্রদীপ। বাংলা গানের শিল্পীদের মধ্যে হেমন্ত মুখোপাধ্যায়, মান্না দে, শ্যামল মিত্র, মানবেন্দ্র মুখোপাধ্যায় টলে গিয়েছেন আগেই। এবার আরও এক নক্ষত্রপতন ঘটল। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন গীতশ্রী সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায় (Sandhya Mukherjee)।
গত ২৬ জানুয়ারি বুধবার সন্ধ্যায় অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন প্রবাদ প্রতিম সঙ্গীতশিল্পী। সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়। তারপর তাঁকে এসএসকেএম (SSKM) হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। সেখানে পরীক্ষা করলে করোনা ধরা পড়ে। তখন বাইপাসের ধারে এক বেসরকারী হাসপাতালে তাঁকে স্থানান্তরিত করে হয়। তারপর যদিও তিনি করোনা মুক্ত হয়েছিলেন। এদিকে তাঁর কোমরের ভাঙা হাড়ের অস্ত্রোপচার হয় ১১ ফেব্রুয়ারি। হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছিল, ফুসফুসে (Lungs) সংক্রমণ হয়েছিল তাঁর। চিকিৎসার পর তাঁর শারীরিক অবস্থা ক্রমশ স্থিতিশীল হয়েছিল। সোমবার রাত থেকে তাঁর পেটে ব্যথা শুরু হয়। সঙ্গে কমতে থাকে রক্তচাপ। মঙ্গলবার সকালে আইসিইউ-তে (ICU) স্থানান্তরিত করা হয় শিল্পীকে। শেষে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি।
শিল্পীর প্রয়াণে শোকবার্তা প্রকাশ করেছেন একাধিক নামী ব্যক্তিত্ব। এই তালিকায় যেমন রয়েছেন শিল্পীরা, তেমনই রয়েছেন রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব। মুখ্যমন্ত্রী শোক জ্ঞাপন করেছেন শিল্পীর প্রয়াণে। সঙ্গে ছেঁটে ফেলেছেন উত্তরবঙ্গ সফর। শিল্পীকে শ্রদ্ধা জানাতে কালই শহরে ফিরবেন মুখ্যমন্ত্রী।
সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়ের প্রয়াণে শোকজ্ঞাপন করেছেন পণ্ডিত অজয় চক্রবর্তী। বললেন, ‘কোনও ভাষা নেই। বাংলার সেনসেশন ছিলেন সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়। সুচিত্রা সেন, উত্তম কুমার, সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায় এক সঙ্গে মিলে মিশে একাক্কার হয়ে গিয়েছিল। ছোট বেলায় উত্তম কুমার (Uttam Kumar) ও সুচিত্রা সেনের (Suchitra Sen) ছবি দেখতেই সব থেকে বেশি যাওয়া হত। তখন সন্ধ্যাদি-র একাধিক গান মন ছুঁয়ে যেত। ‘গানে মোর কোন ইন্দ্রধনু’, ‘ওগো সিঁদুর রাঙা মেঘ’-র মতো তাঁর গাওয়া কত যে গান। কী যে বলল। বলার কোনও ভাষা নেই।
অজয় চক্রবর্তী আরও বলেন, ‘অনেক দিন ধরে অসুস্থ ছিলেন সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়। যাওয়ার আগে অনেক দুঃখ পেয়ে গিয়েছেন। যা আমাদের একেবারেই ভালো লাগেনি।’ অজয় চক্রবর্তীর স্মৃতিচারণায় এমন ভাবেই উঠে এল শিল্পীর কথা।
আরও পড়ুন: সন্ধ্যার প্রয়ানে শোকস্তব্ধ সঙ্গীতমহল, শোকপ্রকাশ ইন্দ্রানী-শ্রাবনী-জয়-মনোময়দের
আরও পড়ুন: সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়ের মৃত্যুতে উত্তরবঙ্গ সফরে কাঁচি, বুধবার কলকাতা ফিরছেন মমতা
আরও পড়ুন: মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের উপস্থিতিতে সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়ের শেষযাত্রা, বুধবার হবে শেষকৃত্য