সংক্ষিপ্ত
- মিলিন্দ সোমনের কথা উঠলে প্রথমেই উঠে আসে তাঁর ফটনেসের কথা
- নিয়মিত শরীরচর্চা করেন তিনি
- তবে খুব সাধারণ জীবনযাপনই পছন্দ করেন তিনি
- নিজেকে ফিট রাখতে কি খান মিলিন্দ সোমান, দেখলে অবাক হতে হবে
মিলিন্দ সোমনের কথা উঠলে প্রথমেই উঠে আসে তাঁর ফটনেসের কথা। শারীরিক ভাবে তিনি যে কতটা ফিট তা তাঁকে দেখলে বেশ বোঝা যায়। শুধু তাই নয় তিনি নিয়মিত শরীরচর্চাও করেন। তবে তিনি যে খুব সাধারণ জীবনযাপন করতেই পছন্দ করেন তা তাঁকে দেখলেই বোঝা যায়। ফিটনেস নিয়ে তিনি একাধিক ছবিও পোস্ট করেন সোশ্যাল মিডিয়ায়। যেখানে দেখা যায় নিজেকে ফিট রাখতে তিনি কতটা দৈহিক পরিশ্রম করেন। তবে শরীর-স্বাস্থ্য ঠিক রাখতে শরীরচর্চার পাশাপাশি সঠিক খাবার খাওয়াও অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। আর সেই নিয়েই এবার সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেছেন মিলিন্দ সোমান।
তিনি রোজ ঠিক কি খান তাই নিয়েই এবার পোস্ট করলেন মিলিন্দ সোমান। পোস্ট করে তিনি জানিয়েছেন তাঁর কাছ থেকে অনেকেই জানতে চেয়েছে তাঁর প্রতিদিনের 'diet chart'। তাঁর প্রতিদিনের খাদ্য তালিকা সংক্রান্ত তথ্য জানিয়েই তাঁর এই বিশেষ পোস্ট।
মিলিন্দ সোমানের পোস্টটিতে তাঁকে দেখা গিয়েছে খাবারের থালা হাতে। তবে তাঁর খাবার দেখে বেশ বোঝা যাচ্ছে তিনি পুষ্টিকর খাবার খান নিজেকে ফিট রাখতে।
সকালে উঠেই ৫০০ মিলিলিটার জল পান করেন মিলিন্দ সোমান। তিনি প্রাতঃরাশ করেন ১০ টা নাগাদ এবং সেই সময় তিনি বাদাম, পেঁপে, একটি তরমুজ এবং সেই মরসুমের ফল, প্রায় চারটি।
দুপুর ২টো নাগাদ মধ্যাহ্নভোজন করেন তিনি। সেই সময় তাঁর খাদ্য তালিকায় থাকে ভাত এবং ডালের খিচুড়ি, সবজি, দু'চামচ ঘি। ভাতের বদলে কখনও কখনও রুটিও খান তিনি। সেক্ষেত্রে ৬ টি রুটি, সবজি, ডাল আর তার সঙ্গে কখনও কখনও চিকেন, মটন বা ডিম খান। তবে তা খুব কমই, মাসে একবার।
বিকেল ৫ টা নাগাদ চা খান তিনি। তবে তা দুধ চা নয় লিকার চা। এবার তাতে চিনির বদলে গুড় ব্যবহার করেন মিষ্টির জন্য।
সন্ধ্যা ৭ টা নাগাদ রাতের খাবার খান তিনি। সেই সময় তাঁর খাদ্য তালিকায় থাকে সবজি/ভাজি। যদি খুব বেশি খিদে থাকে তবে তার সঙ্গে থাকে খিচুড়ি। তবে কোনওরকম আমিষ খাবার থাকে না।
শুতে যাওয়ার আগে গরম জলে হলুদ দিয়ে খান এবং মিষ্টির জন্য তাতে গুড় দিয়ে খান তিনি।
তাঁর এই ডায়েট চার্টের পাশাপাশি তিনি জানিয়েছেন সম্প্রতি তিনি যে করোনা আক্রান্ত হয়েছিলেন সেই সময়ও তিনি এইসব খাবারই খেতেন। তবে সেই সময় এর সঙ্গে আরও একটা জিনিস তিনি খেতেন, আর তা হল কাড়া। প্রতিদিন ৪ বার করে তিনি কাড়া খেতেন।