সংক্ষিপ্ত
- কবীর সিং ছবিটি বক্স অফিসে এই মুহূর্তে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে
- ছবির গল্প নিয়ে সমালোচনা চললেও রোজই সিনেমা হলে হাতে হাত রেখে ঢুকে পড়ছে প্রেমিক-প্রেমিকারা
- তার পরে প্রীতির প্রেমে বিমর্ষ কবীর সিং-কে দেখে তারা আহা উহুও করছে
- কিন্তু এই সবটাই নাকি প্রেম থেকে
- এমনই দাবি করেছেন কবীর সিং-এর পরিচালক সন্দীপ রেড্ডি
কবীর সিং ছবিটি বক্স অফিসে এই মুহূর্তে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে। ছবির গল্প, নারীবিদ্বেষ ইত্যাদি নিয়ে সমালোচনা চললেও রোজই সিনেমা হলে হাতে হাত রেখে ঢুকে পড়ছে প্রেমিক-প্রেমিকারা। তার পরে প্রীতির প্রেমে বিমর্ষ কবীর সিং-কে দেখে তারা আহা উহুও করছে। 'আমরাও সারাজীবন মারদাঙ্গা, অশান্তি করলেও শান্তিকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে পরস্পরের সঙ্গে থাকব', ইত্যাদি অঙ্গীকার নিচ্ছেন। আবার অন্য আর একটি দলও রয়েছে, যেখানে প্রেমিকার ইচ্ছা অনুমতি না জেনেই প্রেমিকের সব কিছু করে ফেলাকে তীব্র সমালোচনা করছে। প্রেমিকা আদৌ চায় কি না তা না জেনেই চুমু খাচ্ছে কবীর সিং, কখনও হুমকি দিচ্ছে, অন্য মহিলার পিছনে তাড়া করছে, সুন্দরী রোগীকে খুলে আম যৌনতার প্রস্তাব দিচ্ছে, এই দৃশ্য়গুলি আদপে নারীবিদ্বেষী বলে সরব হয়েছে এই দল।
কিন্তু এই সবটাই নাকি প্রেম থেকে। এমনই দাবি করেছেন কবীর সিং-এর পরিচালক সন্দীপ রেড্ডি। এক সংবাদমাধ্যমের কাছে সাক্ষাৎকারে তিনি প্রেমে হিংসা, চড় মারা এগুলির পক্ষে কথা বলে ফের বিতর্কে পড়েছেন। সন্দীপ বলেন, সঙ্গীর প্রতি যদি আপনার গভীর ভালোবাসা থাকে, এবং তারও যদি আপনার প্রতি একই অনুভূতি থাকে, তা হলে তাদের পরস্পরকে চড় মারারও অধিকার রয়েছে। আর পরস্পরকে যে সম্পর্কে চড় মারার অধিকার নেই, সেখানে প্রেম রয়েছে বলে মনে হয় না।
আরও পড়ুনঃ 'কবীর সিং' নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় তুমুল তর্ক! নায়কের বেশে স্রেফ খলনায়কের রাজ
এখানেই শেষ নয়। তিনি আরও বলেন, প্রীতি যদি কবীরকে চড় মারতে পারে, তা হলে কবীরেও অধিকার রয়েছে তাকে চড় মারার। প্রীতির তো কবীরকে চড় মারার কোনও কারণ ছিল না। কবীরের অন্তত প্রীতিকে চড় মারার কারণ ছিল। প্রেমিকাকে চুমু খাওয়ার, চড় মারার, ছোঁয়ার অধিকারই যদি প্রেমিকের না থাকে তা হলে সেই সম্পর্কে আর আবেগ কোথায়।
ছবিতে দেখা যাবে প্রীতিকে পাওয়ার জন্য প্রতি মুহূর্তে চেষ্টা করে যাচ্ছে কবীর। প্রীতির সঙ্গে কবীর যা করছে, তা-ও যেন একেবারে মাথা পেতে মেনে নিচ্ছে প্রীতি। তার নিজের কোনও মতামত নেই। এমনই একটি ছবিকে সমালোচনা করার জন্য সমালোচকদের উদ্দেশে পরিচালক সন্দীপ রেড্ডি বলেছেন, অর্জুন রেড্ডি ছবিটিতে বিভিন্ন বিষয় সমালোচনা হয়েছিল। কিন্তু এই ছবিতে শুধু নারীবাদী মনোভাব নিয়েই সমালোচনা হচ্ছে। অন্য কিছু নিয়ে কেউ কথাই বলছে না। ওরা আমায় ঘৃণা করে হয়তো।
সন্দীপ রেড্ডির এই মন্তব্য মুহূর্তে সোশ্য়াল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়ে এবং আবার তিনি সমালোচনার মুখে পড়েন। টক্সিক রিলেশনশিপ, পারিবারিক হিংসা এইগুলিকে প্রেমের দোহাই সুখ্য়াতি করার জন্য নেটিজেনরাই নতুন করে ছবিটির নিন্দায় সরব হয়েছে।