সংক্ষিপ্ত

‘নায়ক নহি, খলনায়ক হুঁ ম্যায়’... ঘোর বাস্তব যিশু সেনগুপ্তের জীবনে! এ বার জুনিয়র এনটিআর আর তিনি এক ফ্রেমে। সৌজন্যে দক্ষিণের ‘এনটিআর ৩০’।

যিশু সেনগুপ্তর ভয়ে নাকি দাক্ষিণাত্য কাঁপছে! ‘নায়ক নহি’ তো কী? খলনায়ক হয়েই দক্ষিণী বিজয় সারছেন বাংলার তারকা। তালিকাটা বেশ লম্বা। ‘অশ্বথামা’য় ‘ডা. মনোজ কুমার’, ‘মায়েস্ত্রো’, ‘শ্যাম সিংহ রায়’, ‘আচার্য’, ‘সীতারমম’-এ তাঁর অভিনয় দর্শকের শিরদাঁড়ায় ভয়ের ঠান্ডা স্রোত বইয়ে দিয়েছে। দক্ষিণের টাটকা খবর, সেই যিশু আবার ‘দুষ্টু লোক’ কোরাতালা শিবার আগামি ছবি ‘এনটিআর ৩০’-এ। দক্ষিণের প্রথম সারির পরিচালক এক ফ্রেমে বন্দি করতে চলেছেন জুনিয়র এনটিআর এবং বাঙালি অভিনেতাকে। না, আর ‘ডা. মনোজ কুমার’-এর মতো নেক্রোফিলিসে আক্রান্ত নন তিনি। এ বার তাঁর ঝাঁ চকচকে রূপ। কর্পোরেট দুনিয়ার দামি শিল্পপতি তিনি।

চলতি বছরে ৩৯ পেরিয়ে ৪০-এ পা রেখেছেন দক্ষিণের সুপারস্টার জুনিয়র এনটিআর। এ বছরে তাঁর ছবির সংখ্যা ৩০। সব মিলিয়ে উদযাপন তো চাইই। তাই কোরাতালা শিবার উপহার ‘এনটিআর ৩০’। অর্থাৎ, আর আরও এক বার ‘আরআর’-এর মতো সাফল্য? ইতিমধ্যেই প্রশ্ন ঘুরছে দক্ষিণে। সেই সম্ভাবনা জিইয়ে রেখেই সম্ভবত ফের জুটিতে নামী পরিচালক-দামি তারকা! ছবির শ্যুটিং শুরু হওয়ার কথা ছিল অগস্টে। সূত্রের খবর, পিছিয়ে গিয়ে সেই শ্যুট শুরু হবে নভেম্বরে। নেপথ্যে একাধিক কারণ। এক, নতুন করে চিত্রনাট্য ঘষামাজার কারণেই নাকি এই দেরি। দুই, এই ছবিরই অ্যাকশন দৃশ্যের মহড়া দিতে গিয়ে কাঁধে বড় ধরনের চোট পেয়েছেন জুনিয়র এনটিআর। চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী আগামী চার সপ্তাহ টানা বিশ্রামে থাকতে হবে তাঁকে। এই দুই কারণেই ছবির শ্যুট আপাতত স্থগিত।

যিশু, জুনিয়র এনটিআর ছাড়াও ছবির আরও এক আকর্ষণ রশ্মিকা মন্দানা। এখানেও নাকি গল্প আছে। নায়িকা চরিত্রের জন্য জুনিয়রের বিপরীতে পরিচালক প্রথমে আলিয়া ভাটকেই বেছেছিলেন। মাতৃত্বের কারণে তিনি আপাতত অধরা। বদলে ‘পুষ্পা’র জনপ্রিয়তায় রশ্মিকাই আপাতত সব থেকে চর্চিত নাম। তাই তাঁর অভিনয় প্রতিভার উপরেই আরও একবার ভরসা করতে চলেছেন পরিচালক। সে ক্ষেত্রে রানি, বিদ্যা বালনের পর যিশুকে দেখা যাবে রশ্মিকার মতো তারকার সঙ্গে। যা তাঁর মুকুটে নতুন পালক। ছবি-মুক্তি নতুন বছরে। ছবির বাজেট ৩০০ কোটি। ৬-৭ মাস দেশের নানা জায়গায় শ্যুটিং হবে ছবির। 

টলিউডে যিশুর নতুন অবতারের খবর ছড়াতেই খুশির হাওয়া সবার মনে। টলিউড জানে, কী ভাবে দিনের পর দিন মাটি কামড়ে পড়ে থেকেছেন ছোট পর্দার ‘মহাপ্রভু শ্রীচৈতন্য’। দীর্ঘ লড়াইয়ের পরে সাফল্যের মুখ দেখেছেন তিনি। প্রথমে ঋতুপর্ণ ঘোষ, পরে সৃজিত মুখোপাধ্যায় নতুন ভাবে যিশুর সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দিয়েছেন টলিউডের। তার পরেও যে বাংলায় মুঠো মুঠো কাজ পেয়েছেন এমন নয়। সুযোগ আসতেই বাংলার বাইরেও নিজেকে মেলে ধরেছেন যিশু। একের পর এক হিন্দি, তামিল, তেলুগু ছবিতে কাজ করেছেন। অবশেষে তিনি ‘অপয়া’ তকমা সরিয়ে জাতীয় স্তরের অভিনেতা। যিশুর আগামি ছবি মুক্তি পাবে হিন্দি, তামিল, তেলুগু, মালয়লি, কন্নড় ভাষায়।