সংক্ষিপ্ত
- সোশ্য়াল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়ে মাতা-পুত্রের বিয়ের গল্প
- যা নিয়ে রীতিমত সরগমর নেটদুনিয়া
- সত্যি কি স্বামী হারা মা বিয়েকরেছেন নিজের পুত্রকে
- খতিয়ে দেখছে ফ্যাক্ট চেক টিম
সোশ্যাল মিডিয়ায় রীতিমত ভাইরাল হয়ে গিয়েছিল এক মাতা-পুত্রের বিয়ের গল্প। যা নিয়ে রীতিমত অস্বস্তিতে পড়েছিল গোটা পরিবার। সোশ্যাল মিডিয়ায় রাজশ্রী সেল্ভাকুমারের প্রোফাইল থেকে বলা হয়েছিল 'আমার প্রথম স্বামী যখন মারা গিয়েছিলেন তখন আমার পুত্রের বয়স ছিল মাত্র ১২ বছর, তখন আর আমার ৩০। আমরা দুজনে একসঙ্গে থাকতাম। কিন্তু আমার পুত্র তার কলেজের পড়া শেষ করে আমাকে বিয়ের প্রস্তাব দেয়। সত্যি আমি তখন খুব অবাক হয়েগিয়েছিলাম। কিন্তু কয়েক মাস পরে আমি আমার পুত্রের প্রস্তাবে সম্মত হই। আমরা বিয়ে করি ২০১৬ সালে। বর্তমানে আমাদের একটি ৩ বছরের পুত্র সন্তান রয়েছে।'
সোশ্যাল মিডিয়ায় রাজশ্রীর এই বার্তা ঘিরে রীতিমত জল্পনা শুরু হয়ে যায় নেটদুনিয়া। বেশ কয়েকজন নেটিজেন সমালোচনায় মুখরও হয়। কিন্তু এই ঘটনা কী সত্যি ?
ফ্যাক্ট চেক টিম জানিয়েছে এইটি একটি ভুয়ো ঘটনা। তদন্তে জানা যায় যে অ্যাকাউন্ট থেকে প্রথম মা ও পুত্রের বিয়ের বার্তা ছড়িয়ে দেওয়া হয়েছিল, সেটি এক ফেক প্রোফাইল। কারণ পুত্রের সঙ্গে বিয়ের বার্তা দেওয়ার পরই অ্যাকাউন্টটি নিস্ক্রিয় করা হয়। আর সেই ভুয়ো তথ্যের সঙ্গে যে ছবিগুলি পোস্ট করা হয়েছে সেগুলি মালয়েশিয়ায় বসবাসকারী এক ভারতীয় দম্পতির। যাঁরা প্রায় দীর্ঘ ৯ বছর একসঙ্গে থাকার পর ২০১৭ সালে বিবাহসূত্রে আবদ্ধ হয়েছেন। আর ওয়েলবোর্ড ফিজিও সেন্টার নামে একটি শরীরচর্চার কেন্দ্র পরিচালনা করেন। এই বিষয়ে তাঁরা পুলিশের সঙ্গেও যোগাযোগ করেছেন।
আর রাজশ্রী সিল্ভাকুমার নামে এক মহিলা এইভাবে ভুয়ো খবর সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে দেওয়ার তীব্র বিরোধিতা করে পোস্ট করেছেন। কারণ মালয়েশিয়ান ওই দম্পতি জানিয়েছেন এই জাতীয় ভুয়ো পোস্টের জন্য তাঁরে রীতিমত হয়রান হতে হয়েছে। পাশাপাশি তাঁরা আরও জানিয়েছেন তাঁরা ১২ বছর ধরে একে অপরকে চেনেন। আর তিন বছর আগেই তাঁরা বিয়ে করেছেন বলেও স্পষ্ট করে জানিয়েছেন।