সংক্ষিপ্ত
রঞ্জন গগৈয়ের সোশ্যাল মিডিয়ায় অ্যাকাউন্ট থেকে একটি বার্তা ভাইরাল হয়েছে। যা নিয়ে তৈরি হয়েছে জল্পনা। কিন্তু রঞ্জন গগৈ কি এমন কথা বলতে পারেন।
সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে একটি টুইট। যেটি করা হয়েছে প্রক্তন বিচারপতি রঞ্জন গগৈয়ের টুইটার অ্যাকাউন্ট থেকে। সেই টুইটে তিনি বলেছেন তিনি হিমালয়া সংস্থার হালাল নীতির জন্য তাদের তৈরি পণ্য কেনা বন্ধ করে দিয়েছেন। সত্যি কি এমনটা হয়েছে? তা জানতেই পুরো ঘটনার কাটাছেঁড়া করতেই করা হয়েছে ফ্যাক্ট চেক। কিন্তু এই ঘটনার পিছনে রয়েছে একটি বড় অধাসুচক্র।
রঞ্জন গগৈয়ের টুইট-
প্রাক্তন প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈ বলেছেন তিনি হিমালয়ার সংস্থার পণ্য কেনা বন্ধ করে দিয়েছেন। পাসাপাশি টুইটারে তাঁর প্রশ্ন 'আপনি কী করছেন'। এই টুইটের মাধ্যমে রঞ্জন গগৈ যে হিমালয়ার হালাল নীতি নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন তা স্পষ্ট।
সত্যি ঘটনা-
রঞ্জন গগৈ- এই টুইটটি করেছেন কিনা জানতে গিয়েই সামনে আসে একটি অদ্ভুদঘটনা। কারণ দেশের প্রধানবিচারপতি থেকে শুরু
করে রাজ্যসভার সাংসদ- কোনও দিনই টুইটার অ্যাকাউন্টে ছিলেন না। এখনও তিনি টুইটারে নেই। কেন্দ্রীয় সরকার একাধিকবার রঞ্জন গগৈয়ের নাম নিয়ে টুইট করলেও কখনও তাঁকে ট্যাগ করা হয়নি। যার অর্থ টুইটারে ছিলেন না দেশের প্রধানবিচারপতি। তাঁর নামে কোনও ভেরিফায়েড টুইটার অ্যাকাউন্ট নেই।
মোদীর টুইট-
সালটা ছিল ২০১৫। সেই সময়ে দেশের প্রধানবিচারপতির দায়িত্ব নেন রঞ্জন গগৈ। তাঁকে অভিনন্দন জানিয়ে টুইট করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সেখানেই তিনি প্রধানবিচারপতিকে ট্যাগ করেননি। যার অর্থৎ টুইটারে অনুপস্থিত রঞ্জন গগৈ।
বানান ভুল-
টুইটার অ্যাকাউন্ট চেক করতে গিয়ে সামনে আসে বানাভুল। বিচারপতির বায়োতে তিনটি বানান ভুল রয়েছে। এটি একটি প্যারোডি ফ্যান পেজ। এখান থেকে হাইপ্রোফাইন ব্যক্তিদের নাম ব্যবহার করে ভুল বার্তা ভাইরাল করা হয়েছে।
ভুয়ো অ্যাকাউন্ট-
গুগল সার্চ করে দেখা গেছে এটই প্রথম নয়, এর আগেও একাধিকবার রঞ্জন গগৈয়ের নামে ভুয়ো অ্য়াকাউন্ট থেকে টুইট করা হয়েছে। যা নিয়ে সেই সময় দিল্লি পুলিশের কাছে অভিযোগও দায়ের করা হয়েছিল। গুগল ইনডেক্স সার্চে বলা হয়েছে আগেও এজাতীয় ঘটনা ঘটেছে। সুপ্রিম কোর্টের অতিরিক্ত রেজিস্ট্রার একটি তদন্ত করে ভুয়ো অ্যাকাউন্টের সন্ধান পেয়ে দিল্লি পুলিশকে জানিয়েছেন। স্পেশাল সেই তৎক্ষণিক ব্যবস্থাও করেছিলেন।
শেষকথা- দেশের প্রাক্তন প্রধানবিচারপতি ও সাংসদের নামে কখনই কোনও টুইটার অ্যাকাউন্ট ছিল না। তিনি কোনও দিনই টুইটার ব্যবহার করেননি। তাই যে টুইটটি তাঁর নামে করা হচ্ছে সেটি সম্পূর্ণ ভুয়ো।
AFSPA-র এলাকা কমানো হল, উত্তর পূর্বের ৩ রাজ্যের জন্য বড় ঘোষণা অমিত শাহর
অমিত মালব্যের বিরুদ্ধে স্বাধিকারভঙ্গের নোটিশ বিধানসভায়, বিধায়কদের হাতাহাতির ভিডিও পোস্টের অভিযোগ
সলমন খান যদি কিছু না করে তাহলে আমি থামব কেন? হঠাৎ এমন প্রশ্ন শাহরুখ খানের মুখে