সংক্ষিপ্ত

বিধানসভায় বিধায়কদের হাতাহাতির ভিডিও পোস্ট করেছিলেন বিজেপি নেতা অমিত মালব্য। সেই ঘটনার জেরে বিধানসভায় অমিত মালব্যের বিরুদ্ধে স্বাধিকারভঙ্গের নোটিশ আনা হল।

বিজেপির ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং টিমের রিপোর্টের পর এবার পাল্টা আসরে নামল তৃণমূল কংগ্রেস। বাংলার বিধানসভার ঘটনার ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেছিলেন বিজেপির আইটি সেলের প্রধান অমিত মালব্য। বৃহস্পতিবার রাজ্য বিধানসভায় আমিত মালব্যর এই ঘটনার দিকে দৃষ্টি আকর্ষণ করেন অর্থমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য। রাজ্য বিধানসভায় অমিত মালব্যের বিরুদ্ধে স্বাধিকারভঙ্গের নোটিশ আনা হল।

চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য বলেন অমিত মালব্যর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া জরুরি। এই বিষয় তিনি বাংলার বিধানসভার অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়ের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য বিধানসভার সচিবালয়ে একটি নোটিশও পাঠিয়েছেন। সেখানেই অমিত মালব্যের বিষয়ে উল্লেখ করেছেন তিনি। 

বাজেট অধিবেশনের শেষদিনে বীরভূম ইস্যুতে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছিল। বিজেপি ও তৃণমূলের বিধায়করা হাতাহাতিতে জড়়িয়ে পড়েন। এই ঘটনার তৃণমূলের বিধায়ক অসিত মজুমদার আহত হন।  বিধানসভার অন্দরে বিধায়কদের হাতাহাতির  একটি ভিডিও ক্লিপ টুইট করেন বিজেপি নেতা। সেখানেই তিনি বাংলার শাসকদলের তীব্র সমালোচনা করেন। অন্যদিকে ঘটনার জেরে শুভেন্দু অধিকারীসহ পাঁচ বিজেপি বিধায়ককে সাসপেন্ড করা হয়েছে। 

এই ঘটনার ভিডিও অমিত মালব্য টুইট করার পরই তা ছড়িয়ে পড়ে। বিজেপির বিধায়ক ও সাংসদদের সোশ্যাল মিডিয়া অ্য়াকাউন্ট থেকেও তা শেয়ার হয়। বিষয়টি জানার পরই ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন ওই বিজেপি নেতা ভিডিওটি টুইট করে বেআইনি কাজ করেছেন। বিষয়টি নিয়ে রাজ্য সরকার তাঁর বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করতে চলেছে। পার্থ চট্টোপাধ্যায়ও জানিয়েছেন তাঁরা বিষয়টি নিয়ে স্পিকারকে পদক্ষেপ করতে আর্জি জানিয়েছিলেন। তিনি মনে করিয়েদেন বিধানসভার ভিতরে ছবি বা ভিডিও শ্যুট করার জন্য স্পিকারের অনুমতির প্রয়োজন হয়। কিন্তু এক্ষেত্রে তা নেওয়া হয়নি। তাই অমিত মালব্যের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করা হয়েছে বলেও দাবি তৃণমূল কংগ্রসের। 

কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মীদের জন্য সুখবর, ৩ শতাংশ বাড়ান হয় মহার্ঘভাতা

শাসক নয়- বিরোধীদেরও সদস্য পাঠানোর সুযোগ রয়েছে রাজ্যসভায়, জানুন কীভাবে হয় নির্বাচন

AFSPA-র এলাকা কমানো হল, উত্তর পূর্বের ৩ রাজ্যের জন্য বড় ঘোষণা অমিত শাহর
অন্যদিকে বিধানসভার ঘটনার নালিশ জানাতে সোমবার সন্ধ্যেবেলায় রাজভবনে গেলেন বিজেপি নেতা তথা নন্দীগ্রামের বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারী। তাঁর সঙ্গে ছিলেন বিজেপির আরও চার সাসপেন্ড হওয়া সাংসদ। এদিন বীরভূমের রামপুরহাটের ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তাল হয়ে ওঠে রাজ্যবিধানসভা। বিরোধী দল বিজেপি গোটা ঘটনায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বক্তব্য জানতে চান। তারপরই বিজেপি ও তৃণমূল কংগ্রেসের বিধায়কদের মধ্যে হাতাহাতি শুরু হয়ে যায়। এই ঘটনার জেরে শুভেন্দসহ পাঁচ বিজেপি বিধায়ককে সাসপেন্ড করা হয়। এই ঘটনায় রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়ের কাছে নালিশ জানান শুভেন্দু অধিকারীরা।