সংক্ষিপ্ত

AFSPAর এলাকা কমানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্র। সোশ্যাল মিডিয়ায় বার্তা দিয়ে অমিত শাহ বলেছেন মোদীর নেতৃত্বে বড় সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে তিন রাজ্যের জন্য।

বড় সিদ্ধান্তের কথা জানালেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। বৃহস্পতিবার টুইট করে অমিত শাহ জানিয়েছেন, ককয়েক দশক ধরে নাগাল্যান্ড, অসম ও মণিপুরে সশস্ত্র বাহিনীর বিশেষ ক্ষমতা আইন বা আফস্পার অধীনে এলাকাগুলি হ্রাস করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্র। সোশ্যাল মিডিয়ায় অমিত শাহ বলেন প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে বড় পদক্ষেপ নিতে চলেছে কেন্দ্রীয় সরকার। গত কয়েক দশক ধরেই উত্তর পূর্বের একাধিক রাজ্য সশস্ত্র বাহিনীর বিশেষ ক্ষমতা আইনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়ে আসছিল। গত বছর নাগাল্যান্ডের ওটিং গ্রামে ১৪ জনকে হত্যার ঘটনাকে কেন্দ্র করে তা আরও বড় আকার নিয়েছিল।

সশস্ত্র বাহিনীর বিশেষ ক্ষমতা আইনটি - নিরাপত্তা বাহিনীকে যে কোনও এস্থানে অভিযান চালাতে ও পূর্ব কোনও পরোয়ানা ছাড়াই কাউকে গ্রেফফার ও জিজ্ঞাসাবাদের বিশেষ ক্ষমতা দেয়। কোনও ভুল অপারেশন বা ধরপাকড়ের ক্ষেত্রে এই বিশেষ আইন নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যদের রক্ষকবজেরও কাজ করে। অন্য একটি টুইটে অমিত শাহ বলেছেন, বিশেষ ক্ষমতা আইন-এর অধীনে এলাকা হ্রাস সংশ্লিষ্ট এলাকায় দ্রুত হারে উন্নতির কারণেই সম্ভব হয়েছে। পাশাপাশি তিনি বলেন সংশ্লিষ্ট এলাকায় নিরাপত্তা ব্যবস্থার উন্নতি হয়েছে- তাই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া যাচ্ছে। 

সোশ্যাল মিডিয়ায় এই মন্তব্য করে  অমিশ শাহ একদিকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বের প্রশংসা করেছেন। পাশাপাশি সশস্ত্র বাহিনীর বিশেষ ক্ষমতা আইন ইস্যুতে তেমন কোনও পদক্ষেপ না করায় তিনি আগের সরকারগুলির তীব্র সমালোচনা করেন। তাঁর কথায় আগের তুলনায় রাজ্যগুলির আইনশৃঙ্খলার পরিস্থিতি অনেকটাই উন্নত হয়েছে। পাশাপাশি বিশেষ আইন তুলে নেওয়ার মত পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। যেসব এলাকা থেকে বিশেষ আইন হ্রাস করা হয়েছে সেই অঞ্চলের স্থানীয় বাসিন্দাদেরও অভিনন্দন জানিয়েছেন অমিত শাহ। 

সংবাদ সংস্থা পিটিআই জানিয়েছেন নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের এক কর্মী জানিয়েছেন, এর অর্থ এই নয় যে আফস্পা সম্পূর্ণরূপে প্রত্যাহার করা হল। তিনটি রাজ্যের বেশ কিছু এলাকায় এখনও এই বিশেষ আইন বলবত থাকবে। 

আফস্পা নিয়ে দীর্ঘ দিন ধরেই বিরোধ ছিল। সংশ্লিষ্ট রাজ্যগুলি আফস্পার বিরুদ্ধে দীর্ঘ আন্দোলন করে আসছিল। যেসব এলাকায় এই বিশষ আইন লাগু ছিল সেইসব এলাকায় মানবাধিকার লঙ্ঘনের একাধিক রিপোর্টও হয়েছে। মানবাধিকার কর্মীরা এই আইনের বিরুদ্ধে সরব ছিলেন। মানবাধিকারকর্মীদের মতে এই আইন সেনাবাহিনীর আভ্যন্তরীন প্রক্রিয়াগুলিকে অস্বচ্ছ করে। অভিযুক্তদের বেসামরিক আদালতে বিচার করা যায় না। তাই আইনটি পুরোপুরি অস্বচ্ছ বলেও দাবি উঠেছে।