সংক্ষিপ্ত
ঘরে তৈরি দই বেশি ক্রিমি এবং তাজা। তবে অনেকেই দই বানাতে জানেন না। আজকে আমরা আপনাকে ঘরে বসেই বাজারের মতো দই বসাতে বলছি। আপনি এই কৌশলটি দিয়ে সহজেই দই ফ্রিজ করতে পারেন।
গরমে দই খাওয়া স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী। খাবারে দই মেশানো হলে স্বাদ বাড়ে। গরমে বাড়িতে আসা অতিথিদেরও লস্যি বানিয়ে পান করতে পারেন। দই শুধু স্বাদের জন্যই নয়, স্বাস্থ্যের জন্যও খুবই উপকারী। দই খেলে পেটের সমস্যা হয় না। আপনার শরীর দই থেকে প্রোটিন এবং অন্যান্য অনেক পুষ্টি পায়। গরমে দই শিশুদের জন্যও খুবই উপকারী। দইয়ে চিনি মিশিয়ে বাচ্চাদের খাওয়াতে পারেন। ঘরে বসেও সহজেই দই খেতে পারেন। ঘরে তৈরি দই বেশি ক্রিমি এবং তাজা। তবে অনেকেই দই বানাতে জানেন না। আজকে আমরা আপনাকে ঘরে বসেই বাজারের মতো দই বসাতে বলছি। আপনি এই কৌশলটি দিয়ে সহজেই দই ফ্রিজ করতে পারেন।
বাড়িতে বাজারের মতো দই পেতে ফেলুন সহজেই-
১) বাড়িতে দই তৈরি করতে অবশ্যই ফুল ক্রিম দুধ থাকতে হবে। এতে দই ক্রিমি হয়ে যাবে।
২) দই পাতার জন্য একটি উপযুক্ত পাত্র থাকতে হবে। বাড়িতে কোনও মাটির পাত্র থাকলে তাতে দই রাখুন।
৩) দই পাততে প্রথমে দুধ খুব ভালো করে গরম করুন। এবার কিছুক্ষণ ফেটিয়ে নিন।
৪) এবার ফেনা তৈরি হওয়ার পর যে পাত্রে দই পাতবেন করতে হবে সেই পাত্রে দুধ রাখুন।
৫) দই পাততে হলে ঋতু অনুযায়ী দুধের তাপমাত্রা রাখতে হবে। উদাহরণস্বরূপ, আপনি যদি গ্রীষ্মে দই সংরক্ষণ করেন তবে দুধটি খুব সামান্য গরম হওয়া উচিত এবং একটি জাল দিয়ে ঢেকে রাখা উচিত।
৬) ঠান্ডায় দই সংরক্ষণ করলে দুধ একটু বেশি গরম করে নিতে হবে। ঠাণ্ডায় দইকে গরম জায়গায় পাতবেন করে রাখতে হবে।
৭) এবার যে পাত্রে দই বসাতে হবে সেই পাত্রে দুধ দিন, তাতে এক চামচ দই দিয়ে ভালো করে মিশিয়ে নিন।
৮) এখন পাত্রটি নড়াচড়া না করে প্রায় ৬-৭ ঘন্টা রেখে দিন।
৯) গ্রীষ্মে দই পাততে ৬ থেকে ৭ ঘন্টা সময় লাগে। একই সময়ে, শীতকালে দই পাততে ১০ থেকে ১২ ঘন্টা প্রয়োজন।
১০) দই জমে যাওয়ার পর ফ্রিজে রেখে দিন। এটি ঠান্ডা হয়ে গেলে ব্যবহার করুন। এতে আপনার দই ঘন ও মিষ্টি হবে।
আরও পড়ুন- গরমে শরীর ঠান্ডা রাখতে এই পাঁচটি দেশীয় পানীয় কাজে লাগান, ঠাণ্ডা থাকবে শরীর
আরও পড়ুন- বার বার জল পানের পরেও তেষ্টা মিটছে না, তবে সাবধান হোন মোটেও অবহেলা করবেন না
আরও পড়ুন- গ্রীষ্মের মৌসুমে সহজেই ওজন কমানোর জন্য ডায়েটে রাখুন এই স্মুদিগুলি