সংক্ষিপ্ত

অনূর্ধ্ব ১৭ বিশ্বকাপের ইন্ডিয়াক্যাম্পে নির্বাচিত হয়েছেন ঝাড়খণ্ডের ৭ অগ্নিকন্যা। যারা জীবনে হার মানতে শেখেননি। এর মধ্যে ফ্যান ভাত খেয়েই ফুটবল বিশ্বকাপে অংশ নিয়েছেন অনিতা। 

অনূর্ধ্ব ১৭ বিশ্বকাপের ইন্ডিয়াক্যাম্পে নির্বাচিত হয়েছেন ঝাড়খণ্ডের ৭ অগ্নিকন্যা। যারা জীবনে হার মানতে শেখেননি। প্রতিকূল পরিস্থিতির মাঝেও এরা যুদ্ধ করে সফলতার সিড়ি ছুঁয়েছেন। অনূর্ধ্ব ১৭ বিশ্বকাপের ইন্ডিয়াক্যাম্পে এদের মধ্যে রয়েছেন পূর্ণিমা কুমারি, অস্তম ওরাঁও, সেলিনা কুমারী, সুধা অঙ্কিতা তিরকে, নিতু লিন্ডা, অনিতা এবং অঞ্জলি মুণ্ডা। তবে এর মধ্যে ফ্যান ভাত খেয়েই ফুটবল বিশ্বকাপের আসরে অনিতা। 

জীবনযুদ্ধে জয় ঝাড়খণ্ডের ৭ অগ্নিকন্যার 

অনূর্ধ ১৭ বিশ্বকাপের ইন্ডিয়াক্যাম্পে নির্বাচিত হয়েছেন ঝাড়খণ্ডের ৭ কন্যা। যাদের জীবন যুদ্ধ জানলে অবাক হতে হয়। এর মধ্যে রয়েছেন পূর্ণিমা কুমারি, অস্তম ওরাঁও, সেলিনা কুমারী এবং সুধা অঙ্কিতা তিরকে। এবং একই সঙ্গে রাঁচির তিনজন খেলোয়ার নিতু লিন্ডা, অনিতা এবং অঞ্জলি মুণ্ডা। প্রতিকূলতা কাটিয়ে জাতীয় পর্যায়ে নিজেদের ছাপ রেখেছেন এই সাত অগ্নিকন্যা। রাঁচির নিতু লিন্ডাও ছোট বেলা থেকে ফুটবলের প্রতি অনুরাগী। নীতে এর আগে অনূর্ধ্ব ১৮ এবং  অনূর্ধ্ব ১৯ এ ভারতীয় মহিলা ফুটবলে যোগ দিয়ে দুর্দান্ত পারফর্ম করেছেন। জামসেদপুরে এসএআইএফ চ্যাম্পিয়নশীপে দুটি গোল করে সবাইকে চমকে দিয়েছিলেন নিতু। এরপর বাংলাদেশের  অনূর্ধ্ব ১৯ এওএসএআইএফ চ্যাম্পিয়নশীপেও অসাধারণ গোল দেন। ফুটবলে সাবলিল নীতু চতুর্থ শ্রেণি থেকেই দুরন্ত খেলা শুরু করেন। তিন ভাই ও তিন বোনের মধ্যে সবার ছোট হল নিতু। বর্তমানে সে সরকারি উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ের একাদশ শ্রেণির ছাত্রী।

আরও পড়ুন, CSK vs PBKS- চেন্নাই সুপার কিংস বনাম পঞ্জাব কিংস, মায়াঙ্ক বনাম জাদেজার লড়াইয়ে কে হাসবে শেষ হাসি

আরও পড়ুন, MI vs LSG- আইপিএলে টানা অষ্টম হার মুম্বইয়ের, ৩৬ রানে জয় পেল কেএল রাহুলের লখনউ

ফ্যান ভাত খেয়েই ফুটবল বিশ্বকাপে অংশ নিয়েছেন অনিতা

  ফ্যান ভাত খেয়েই ফুটবল বিশ্বকাপে অংশ নিয়েছেন অনিতা। অনিতার বাবা কৃষিকাজের অভাবে কোনও কাজ করতে পারছেন না। তাই অনিতার মা শ্রমিকের কাজ করে পুরো বাড়ির খরচ তোলেন। অনিতা এই মুহূর্তে রাঁচি মহিলা কলেজে একাদশ শ্রেণির ছাত্রী। কাঙ্কে অস্কার ফাউন্ডেশন থেকে ফুটবল খেলা শিখেছেন অনিতা। তাঁর কোচ আনন্দ গোপাল এবং হীরালাল মাহতো অনিতাকে ফুটবলের সূক্ষ জিনিসগুলি রপ্ত করতে শিখিয়েছেন। অনিতার মা বলেন, তিনি একজন ঠিকা শ্রমিকের কাজ করেন। সংসারের দুমোঠ খাবার জোগাতে প্রচুর প্ররিশ্রম করতে হয়। সাংবাদিক তাঁকে জিজ্ঞেস করলে, চোখ ভিজে যাওয়ার বদলে, হাসি মুখে তিনি এসব জানিয়েছেন। জীবন যুদ্ধকে তাই আর ভয় পায় না অনিতাও। কারণ সফলতা এসে যে ছোয়া দিয়েছে শিয়রে । এদিকে অনিতা বিশ্বকাপ খেলার সময় টিভিতে দেখলে কেমন লাগবে, জিজ্ঞেস করেন সাংবাদিক। এবারের একগাল হেসে অনিতার মা বলেন, 'আমাদের টিভি নেই। স্মার্ট মোবাইলও নেই।'

আরও পড়ুন, MI vs LSG- লখনউ দলে একটি পরিবর্তন, টস জিতে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত রোহিত শর্মার