সংক্ষিপ্ত

আইপিএল ২০২২ (IPL 2022) -এর গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে রবিবার মুখোমুখি মুম্বই ইন্ডিয়ান্স ও লখনউ সুপার জায়ান্টস (MI vs LSG)। ম্য়াচে প্রথমে ব্য়াট করে রান করল লখনউ সুপার জায়ান্টস। শতরান করলেন কেএল রাহুল। মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের ইনিংস শেষ হয় ১৩২ রানে। 
 

আইপিএল ২০২২ হারের ধারা অব্যাহত মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের। টানা আট ম্যাচ হেরে লড্ডার রেকর্ডের সংখ্যাটা আরও বাড়াল রোহিত শর্মার দল।  প্রথমে ব্যাট হাতে কেএল রাহুলের শতরান। তারপর লখনউ বোলারদের টোটাল পারফরম্য়ান্স। মুম্বই ইন্ডিয়ান্সকে ৩৬ রানে হারাল লখনউ সুপার জায়ান্টস।  ম্য়াচে টস জিতে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন রোহিত শর্মা। নির্ধারিত ২০ ওভারে  ৬ উইকেট হারিয়ে ১৬৮ রান করে। দলের হয়ে সর্বোচ্চ  ৬২ বলে ১০৩ রান করেন কেএল রাহুল। এছাড়া অন্য কোনও ব্য়াটসম্য়ান বড় রান করতে পারেননি। মনীশ পাণ্ডে করেন ২২ রান। ১৪ রান করেন আয়ূশ বাদোনি। কার্যত ওয়ান ম্যান শো ছিল লখনউয়ের ইনিংস। মুম্বইয়ের হয়ে সর্বোচ্চ দুটি করে উইকেট নেন রিলে মারডিথ ও কাায়রন পোলার্ড। রান তাড়া করতে ৮ উইকেটে হারিয়ে ১৩২ রানে থামে মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের ইনিংস। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৩৯ রান করেন রোহিত শর্মা। ৩৮ রান করেন তিলক ভার্মা। লখনউয়ের হয়ে সর্বোচ্চ ৩টি উইকেট নেন ক্রুণাল পাণ্ডিয়া। 

 

 

ব্য়াট করতে নেমে এদিন লখনউ সুপার জায়ান্টসের দুই ওপেনার কেএল রাহুল ও কুইন্টন ডিকক ২৭ রানের পার্টনারশিপ করেন। এরপর ব্যক্তিগত ১০ রান করে জসপ্রীত বুমরার বলে আউট হন ডিকক। এরপর মনীশ পাণ্ডে ও কেএল রাহুল মিলে দলের স্কোর এগিয়ে নিয়ে যান।  একদিক থেকে আক্রমণাত্মক ইনিংস খেলেন কেএল রাহুস। বেশ কিছু চোখ ধাঁধানো শট উপহার দেন তিনি।  নিজেদের মধ্যে অর্ধশতরানের পার্টনারশিপ করে কেএল রাহুল ও মনীশ পাণ্ডে। অবশেষে দলের ৮৫ রানের মাথায় ব্যক্তিগত ২২ রান করে কায়রন পোলার্ডের বলে আউট হন মনীশ পাণ্ডে।মনীশ পাণ্ডে আউট হওয়ার পর একদিক থেকে নিজের ইনিংস চালিয়ে যান কেএল রাহুল। নিজের অর্ধতরানও পূরণ করেন লখনউ অধিনায়ক। কিন্তু অপরদিক থেকে পরপর উইকেট হারিয়ে কিছুটা চাপে পড়ে যায় লখনউ। ১০২ রানের মাথায় খাতা না খুলেই ড্যানিয়েল সামসের বলে আউট হন মার্কাস স্টয়নিস। ক্রুণাল পান্ডিয়াও মাত্র ১ রান পোলার্ডের বলে আউট হন। দীপক হুডা ১০ রান করে রিলে মারডিথের বলে সাজঘরে ফেরত যান। ১২১ রানে পঞ্চম উইকেট পড়ে। লাগাতার উইকেট পড়লেও হাল ছাড়েননি কেএল রাহুল। একার কাঁধে দলকে এগিয়ে নিয়ে যান।  ৬১ বলে এই মরসুমের নিজের এই মরসুমের দ্বিতীয় শতরানও পূরণ করেন কেএল রাহুল। অবশেষে শেষ ওভারে ৪৭ রানেরপার্টনারশিপ করে আউট হন আয়ূশ বাদোনি। ১৪ রান করেন মারডিথের বলে আউট হন তিনি। শেষ পর্যন্ত ১৬৮ রানে থামে লখনউয়ের ইনিংস। ১০৩ রান করে অপরাজিত থাকেন কেএল রাহুল।

 

 

রান তাড়া করতে নেমে শুরুটা ভালোই করে মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের দুই ওপেনার রোহিত শর্মা ও ইশান কিশান। ওপেনিং জুটিতে ৪৯ রান করে তারা। এরপর ক্রমাগত ব্যবধানে উইকেট পড়ে। গলের ৪৯ রানের মাথায় ব্যক্তিগত ৮ রান করে রবি বিষ্ণোইয়ের বলে আউট হন ইশান কিশান। রান পাননি ডিওয়াল্ড ব্রেভিস। ৩ রানে করে মহসিন খানের শিকার হন তিনি। ৫৪ রানে পড়ে দ্বিতীয় উইকেট। এরপর আউট রোহিত শর্মা।   ৫৮ রানের মাথায় ৩৯ রান করে ক্রুণাল পাণ্ডিয়ার বলে আউট হন রোহিত। সূর্যকুমার যাদব ৭ রান করে আউট হন আয়ূশ বাদোনির বলে। ৬৭ রানে পড়ে চতুর্থ উইকেট। এরপর ইনিংসের রাশ ধরেন তিলক ভার্মা ও কায়রন পোলার্ড। দুজন মিলে অর্ধশতরানের পার্টনারশিপও পূরণ করেন। দুজন মিলে বেশ কিছু আক্রণাত্মক শটও খেলেন। পোলার্ড-তিলক ভর্মার ব্য়াটে প্রথম জয়ের স্বপ্নও দেখতে শুরু করেছিল  মুম্বই। কিন্তু প্রয়জনীয় রান রেট বাড়তে থাকায় চাপ বাড়ে পোলার্ড ও তিলক ভার্মার উপর।   ১২৪ রানে পঞ্চম উইকেট। ৩৮ রান করে জেসন হোল্ডারের বলে আউট হন তিলক ভার্মা। শেষে দিকে রানের চাপে ম্য়াচ ফিনিশ করতে পারেননি কায়রন পোলার্ড। শেষ ১৯ রান করে ক্রুণাল পাণ্ডিয়ার বলে আউট হন পোলার্ড। ১ রান করে রান আউট হন জয়দেব উনাদকাট। ড্য়ানিয়েল সামসও ৩ রান করে ক্রুণালের তৃতীয় শিকার হন। শেষ পর্যন্ত ১৩২ রানে ৮ উইকেটে শেষ হয় মুম্বইয়ের ইনিংস।  ৩৬ রানে ম্য়াচ জেতে কেএল রাহুলের দল। এই জয়ের ফলে লিগ টেবিলের চতুর্থ স্থানে উঠে এল লখনউ সুপার জায়ান্টস।