সংক্ষিপ্ত
দুঃখের সংবাদ দিলেন ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডো (Cristiano Ronaldo) । সদ্যজাত পুত্র সন্তানকে হারালেন (baby boy passes away) ফুটবল মহাতারকা। শোকে বিহ্বল রোনাল্ডো ও তার বান্ধবী জর্জিনা।
গত বছর অক্টোবর মাসে আনন্দের সঙ্গে ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডো জানিয়েছিলেন ফের নিজের বাবা হওয়ার কথা। তিনি ও তাঁর বান্ধবীর কোল আলো করে যমজ সন্তান আসতে চলেছে তাও জানিয়েছিলেন ফুটবল মহাতারকা। ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডো ইনস্টাগ্রামে নিজের এবং জর্জিনার একসাথে একটি সোনোগ্রাফি ছবি শেয়ার করেছেন এবং লিখেছেন,'খুবই আনন্দের সঙ্গে জানাচ্ছি যে আমাদের সংসারে যমজ সন্তান আসতে চলেছে। এই মুহূর্তে আমরা শুধুই ভালাবাসার বন্ধনে আবদ্ধ। আমরা ওদের দেখার অপেক্ষায় আছি।' কিন্তু এমন দিনও যে দেখতে হবে তা স্বপ্নেও ভাবেননি ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডো ও তার পরিবার। ফুটবল তারকা জানালেন তার সন্তান বিয়োগের কথা। পুত্র সন্তানের মৃত্যুতে তিনি যে বিধ্বস্ত সেই কথাও জানিয়েছেন রোনাল্ডো।
সোমবার সোশ্যাল মিডিয়ার নিজেই জানান জন্ম হওয়ার পর যমজ সন্তানের মধ্যে পুত্র সন্তানের মৃত্যুর কথা। একইসঙ্গে যমজ কন্য়া সন্তান যে সুস্থ রয়েছে সেই কথাও জানিয়েছে রোনাল্ডো। সোশ্যাল মিডিয়ায় ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডো লেখেন, 'অত্যন্ত দুঃখের সঙ্গে জানাচ্ছি যে, আমাদের ছেলে প্রয়াত হয়েছে। যে কোনও বাবা-মায়ের কাছেই এটা সবচেয়ে বড় দুঃখ। এক মাত্র মেয়ে সন্তানের বেঁচে যাওয়াই এই কঠিন সময়ে আমাদের শক্তি জোগাচ্ছে। কিছুটা আশা এবং খুশি নিয়ে অন্তত বাঁচতে পারছি।' একইসঙ্গে ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডো জানিয়েছেন,‘সব সময় আমাদের খেয়াল রাখার জন্য সমস্ত ডাক্তার এবং নার্সদের ধন্যবাদ। আমরা এই মুহূর্তে বিধ্বস্ত। এই কঠিন সময়ে গোপনীয়তা আশা করি সবার থেকে।’এই খবর সামনে আসার পর থেকেই বিশ্ব জুড়ে রোনাল্ডো ভক্তরাও দুঃখ প্রকাশ করেছে।
প্রসঙ্গত. রোনাল্ডোর বড় ছেলে ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডো জুনিয়র,২০১০ সালে জন্মগ্রহণ করেন। বর্তমানে জুনিয়র রোনাল্ডোও নিজের ফুটবল কেরিয়ারের শুরু করেছেন। বাবার মতই তারকা ফুটবলার হওয়াই তার লক্ষ্য। প্রথম সন্তানের জন্মের পর ২০১৭ সালে রোনাল্ডো যমজ সন্তান ইভা এবং মাতেওর বাবা হন। সারোগেসির মাধ্যমে হয়েছিল রোনাল্ডোর এই সন্তানরা। এরপর বর্তমান বান্ধবী জর্জিনার সঙ্গে চতুর্থ সন্তানের বাবা হয়েছিলেন পর্তুগীজ মহাতারকা। নতুন করে যমজ সন্তানের বাবা-মা হওয়ার খবরে আনন্দিত ছিল রোনাল্ডো ও জর্জিনা। পুত্র সন্তানের মৃত্যুর পর ভেঙে পড়েছেন তারা।