সংক্ষিপ্ত
বসুন্ধরা কিংস-এর বিরুদ্ধে ড্র করলেই এটিকে মোহনবাগান এএফসি কাপের নকআউট পর্বে উঠে যাবে। কিন্তু, অন্যরকম ভাবছেন কোচ আন্তোনিও লোপেজ হাবাস এবং তার ছাত্ররা।
এএফসি কাপের গ্রুপ লিগের দ্বিতীয় ম্যাচে মালদ্বীপের ক্লাব 'মাজিয়া'কে ৩-১ গোলে হারিয়ে দ্বিতীয় রাউন্ডে যাওয়ার রাস্তা প্রায় পরিষ্কার করে ফেলেছে এটিকে মোহনবাগান। মঙ্গলবার, পরের ম্যাচে প্রতিপক্ষ বাংলাদেশের ক্লাব বসুন্ধরা কিংস। তাদের বিপক্ষে দল ড্র করলেই হাবাস বাহিনী নকআউট পর্বে উঠে যাবে। তবে, ড্র নয়, বসুন্ধরার বিরুদ্ধেও জয় ছাড়া অন্যকিছু ভাবতে চান না হাবাস এবং তার ছাত্ররা। তবে একে প্রচন্ড গরম, তার উপর মালের মাঠের মাটি শক্ত। অল্প সময়ের মধ্যে অনেকগুলি ম্যাচও খেলতে হচ্ছে। তাই, রবিবার ফুটবলারদের অনুশীলন থেকে ছুটি দিয়েছিলেন স্প্যানিশ কোচ। সবুজ মেরুন ব্রিগেডের বেশ কয়েকজনকে সুইমিং পুলে সময় কাটাতে দেখা গিয়েছে।
মাজিয়া ম্যাচে অবশ্য প্রথমার্ধে ১ গোলে পিছিয়ে পড়েছিল এটিকে মোহনবাগান। কোচ আন্তোনিও লোপেজ হাবাস বলেছেন, তার কারণ প্রথমার্ধে সবুজ মেরুন দল নিজেদের খেলাটা খেলতে পারেনি। মাজিয়া ক্লাবের ফুটবলাররা সমানে সমানে লড়াই করে একটি গোল আদায় করে নিয়েছিল। কিন্তু, খেলা পাল্টে যায় বিরতিতে। দ্বিতীয়ার্ধে ড্রেসিংরুমে ফিরে নিজেদের মধ্যে আলোচনা করে খেলার কৌশলে কিছুটা পরিবর্তন এনেছিল মোহনবাগান। তারপরই মাঠে সোনা ফলে। পরপর গোল করে যান, লিস্টন কোলাকো, রয় কৃষ্ণা এবং মানবীর সিং। হাবাস বলেছেন, পিছিয়ে পরেও দ্বিতীয়ার্ধে যেভাবে তার ছেলেরা খেলাটা ঘুরিয়ে দিয়েছে, তাতে তিনি তাদের নিয়ে গর্বিত। ফুটবলারদের কিছুটা বিশ্রামে রেখে খেলানোর জন্য রিজার্ভ বেঞ্চের খেলোয়াড়রা সুযোগ পাচ্ছেন। তারাও মাঠে নেমে নিজেদের সেরাটা দিচ্ছে, দলকে জিততে সাহায্য করছে বলে, জানিয়েছেন হাবাস।
আরও পড়ুন - Afghanistan - তালিবানিস্তানে জারি প্রথম ফতোয়া, গোড়াতেই ছেঁটে ফেলা হল 'যত নষ্টের গোড়া'
এদিকে, গত কয়েক মরসুমের মতো, এবারও এটিকে মোহনবাগান দলের কাণ্ডারি সেই রয় কৃষ্ণা। মাজিয়া ম্যাচে গোল করে এএফসি কাপের দুই ম্যাচেই স্কোরশিটে নাম তুললেন তিনি। তবে তার নামে আরও একটি গোল লেখা থাকতে পারত। মাজিয়া ম্য়াচে তার করা একটি গোল রেফারি বাতিল করেন অফসাইডের কারণে। রয় কৃষ্ণা রেফারির সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত বলে মেনে নিয়েও জানিয়েছেন, তার নিজে মতে গোলটি বৈধ ছিল। তিনি আরও জানিয়েছেন, দ্বিতীয়ার্ধে বোঝা গিয়েছে, তাদের আক্রমণাত্মক বিভাগ কতটা কার্যকর। অপর গোলদাতা মানবীর সিং, দেশের হয়ে আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেললেও এই প্রথম এএফসি কাপে খেলছেন। প্রথম গোলটি তিনি তার পরিবার এবং সবুজ-মেরুন সমর্থকদের উৎসর্গ করছেন। তিনি জানিয়েছেন, পিছিয়ে পড়েও, তাদের মাথায় কখনই হারের ভাবনা আসেনি। কোনও চাপ অনুভব করেননি। জানতেনই জিতবেন।