সংক্ষিপ্ত

প্রয়াত দিয়াগো মারাদানোকা (Diego Maradona) শ্রদ্ধা জানাতে এর আগে একাধিক উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এবার আরও এক অনন্য উদ্যোগ নিল আর্জেন্টিনার (Argentina) এক সংস্থা। উড়ন্ত মিউজিমায় (Flying Museum) তৈরি করা হল বিশ্বকাপ জয়ী ফুটবলারের স্মরণে। 

২০২০ সালের ২৫ নভেম্বর হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে প্রয়াত হয়েছেন ফুটবল কিংবদন্তী দিয়াগো মারাদোনা। তারপর থেকেই  ১৯৮৬ সালে আর্জেন্টিনার ফুটবল বিশ্বকাপ  জয়ের নায়ককে বিশ্ব জুড়ে চলেছে শ্রদ্ধা জানানোর পালা। মারাদোনাকে শ্রদ্ধা জানাতে নাপোলি ক্লাবের স্টেডিয়ামের নাম পাল্টে দিয়েগো আর্মান্দো মারাদোনা স্টেডিয়াম রাখা হয়েছে। এমনকী কলকাতাতেও মারাদোনার নামে মিউজিয়াম তৈরির কাজ চলছে। আর্জেন্টিনা প্রশাসন মারাদোনার নাম ও ছবি দেওয়া নোট এনেছে। মারাদোনাকে সম্মান জানাতে ফুটবল রাজপুত্রের এক বিশালাকার মূর্তি উন্মোচন করল আর্জেন্টিনা ফুটবল দল। এবার আরও এক অভিনব মাধ্যে প্রয়াত ফুটবল জাদুকরকে সম্মান জানাল আর্জেন্তিনার এক সংস্থা।  দিয়েগো মারাদোনার স্মরণে আস্ত একটি বিমান তৈরি করেছে ওই সংস্থা। যা সকলকেই অবাক করেছে।

 

 

আর্জেন্টিনার ওই সংস্থার তরফে মারাদোনাকে শ্রদ্ধা জানাতে যে বিমান বা উড়ন্ত সংগ্রহশালা তৈরি করা হয়েছে, তার কিছু ছবি ইতিমধ্যেই সামনে এসেছে। বিমানটির সজ্জা সকলকে মুগ্ধ করেছে। বিমানের চারপাশে মারাদোনার ছবি তো রয়েছেই, ভিতরে তৈরি করা হয়েছে আস্ত একটি সংগ্রহশালাও। সেখানে রয়েছে মারাদোনার ব্যবহৃত কিছু জিনিসপত্র এবং তাঁর অজস্র ছবি। আর্জেন্টিনায় বুয়েনোস আইরেসে প্রয়াত মারাদোনাকে স্মরণ করে এমনই একটি উড়ন্ত সংগ্রহশালার উদ্বোধন করা হয়েছে। নাম দেওয়া হয়েছে ‘ট্যাঙ্গো ডি১০এস’। বিমানের গায়ে মারাদোনার একটি মস্ত ছবি রয়েছে, যেখানে তিনি বিশ্বকাপে চুমু খাচ্ছেন। তার দু’টি ডানায় ওই বিশ্বকাপেই ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে মারাদোনার করা দু’টি গোলের ছবি রয়েছে, যার মধ্যে একটি গোলকে ‘হ্যান্ড অব গড’ বলা হয়। বিমানের লেজেও রয়েছে মারাদোনার মুখ। বিমানের ভিতরে রয়েছে ১২টি আসন।

 

 

প্রসঙ্গত, দিয়েগো মারাদোনার ফুটবলজীবন ঘটনাবহুল। ১৯৮৬ সালে মেক্সিকো বিশ্বকাপে তিনি মন্ত্রমুগ্ধ করে দিয়েছিলেন ফুটবলবিশ্বকে। আর্জেন্টিনা চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল তাঁর নেতৃত্বে। কার্যত একার কৃতিত্বে দেশকে বিশ্বকাপ এনে দিয়েছিলেন তিনি। ১৯৯০ সালে ইতালি বিশ্বকাপেও তিনি আর্জেন্টিনাকে ফাইনালে তুলেছিলেন। কিন্তু, সেরা  করতে পারেননি। ১৯৯৪-তে ডোপিং বিতর্কে নাম জড়ায় মারাদোনার। এছাড়াও নানা সময়ে ১৯৯৭ সালে ফুটবলকে বিদায় জানান মারাদোনা। শুরু করেন কোচিং। ২০০৮ থেকে ২০১০ সাল পর্যন্ত আর্জেন্টিনার জাতীয় দলেরও কোচ ছিলেন তিনি। মৃত্যুর সময়ও তিনি ছিলেন আর্জেন্টিনার ঘরোয়া ক্লাব জিমনাসিয়া ডি লা প্লাটার কোচ। তবে যতই বিতর্ক থাক তার পায়ের জাদুতে মোহিত গোটা ফুটবল বিশ্ব। প্রয়াত কিংবদন্তীর স্মরনে আস্ত প্লেন তৈরী করায় খুশি মারাদোনা ভক্তরা।

আরও পড়ুনঃবিনা মেকআপে দেখলে চিনতেই পারেবেন না, দেখুন ভারতীয় ক্রিকেটারদের বউদের অদেখা 'ঘরোয়া রূপ'-এর ছবি

আরও পড়ুনঃপ্রেমে বাধা হয়নি ধর্ম, এই ভারতীয় ক্রিকেটাররা হিন্দু হয়েও বিয়ে করেছেন মুসলিম মহিলাদের