সংক্ষিপ্ত

বসুন্ধরা কিংসের পর মাজিয়াকেও কার্যত উড়িয়ে দিল এটিকে মোহনবাগান (ATK Mohun Bagan)। ৫-২ গোলে ম্য়াচ জিতে এএফসি কাপের (AFC cup) লিগ টপার হিসেবে পরের রাউন্ডে গেল জুয়া ফেরান্দোর দল। 
 

এএফসি কাপে বসুন্ধরা কিংসের বিরুদ্ধে ঠিক যেখান শেষ করেছিল মাজিয়ার বিরুদ্ধে যেন ঠিক সেকান থেকেই শুরু করল এটিকে মোহনবাগান। মলদ্বীপের ক্লাবের বিরুদ্ধে যেন আক্রমণের মাত্রা আরও বাড়াল জুয়ান ফেরান্দোর দল। কলকাতায় এদিন কাল বৈশাখী না এলেও, যুবভারতীতে সবুজ-মেরুণ ঝড়ে উড়ে গেল মাজিয়া। খেলার ফল ৫-২। এটিকে মোহনবাগানের হয়ে এদিন জোড়া গোল করেন জনি কাউকো। এছাড়া একটি করে গোল করেন রয় কৃষ্ণা, কার্ল ম্য়াকহিউ ও শুভাশিস বোস। এটিকে মোহনবাগানের সামনে এদিন কোনও লড়াই দিতে পারেনি মাজিয়া। মলদ্বীপের ক্লাবের হয়ে ২টি গোল করেন তানা। এই জয়ের ফলে এএফসি কাপে গ্রুপ ডি থেকে লিগ টপার হিসেবে পরবর্তী রাউন্ডে গেল এটিকে মোহনবাগান।

 

 

প্রথম ম্য়াচে গোকুলাম কেরালার বিরুদ্ধে হার থেকে শিক্ষা নিয়ে দ্বিতীয় ম্যাচ থেকেই ছন্দে ফেরে জুয়ান ফেরান্দোর ছেলেরা। বসুন্ধরাকে ৪-০ গোলের হারানোর পর মাজিয়ার বিরুদ্ধে এটিকেএমবির শরীরি ভাষাই পাল্টে গিয়েছে। এদিন ম্য়াচের প্রথম থেকেই আক্রমণাত্মক ফুটবল খেলতে শুরু করে জুয়ান ফেরান্দোর ছেলেরা। মাঝমাঠকে সংঘবদ্ধ করে একের পর এক আক্রমণ গড়ে তোলে কার্ল ম্য়াকহিউ, টাংরি, লিস্টন কোলাসোরা। ম্য়াচের ২৬ মিনিটেই প্রথম গোলের দরজা খুলে ফেলে এটিকে মোহনবাগান। জনি কাউকো নিজের প্রথম গোল করে এগিয়ে দেন দলকে। দ্বিতীয় গোলের জন্য বেশি অপেক্ষা করতে হয়নি সবুজ মেরুণ ব্রিগেডকে। ম্য়াচের ৩৭ মিনিটে নিজের ও দলের দ্বিতীয় গোল করেন জনি কাউক। প্রথমার্ধের শেষ  মুহূর্তে ৪৫ মিনিটে তানা একটি গোল শোধ করে মাজিয়া। ২-১  ব্যবধানে এগিয়ে থেকে বিরতিতে যায় এটিকে মোহনবাগান।

 

 

ম্য়াচের দ্বিতীয়ার্ধে আক্রমণের মাত্রা আরও বাড়ায় এটিকে মোহনবাগান। ম্যাচের ৫৬ মিনিটে তৃতীয় গোল আসে। রয় কৃষ্ণার গোলে ব্যবধান ৩-১ করে সবুজ-মেরুণ শিবির। ২ মিনিটের মধ্যে আসে চতুর্থ গোল। ৫৮ মিনিটে গোল করেন শুভাশিস বোস। ৪-১ গোলে পিছিয়ে পড়ে ম্য়াচে আর কামব্যাক করার কোনও সুযোগ ছিল না মাজিয়ার। তবে আক্রমণের ঝাঁঝ কমায়নি এটিকে মোহনবাগান। ম্য়াচের ৭১ মিনিটে কার্ল ম্যাকহিউ গোল করে দলের পক্ষে ব্যবধান ৫-১ করে। এরপর ম্য়াচের ৭৩ মিনিটে তানা নিজের দ্বিতীয় গোল করে মাজিয়ার পক্ষে ব্যবধান একটু কমালেও তাতে আখেরে কোনও লাভ হয়নি। শেষ পর্যন্ত ৫-২ ব্যবধানে ম্য়াচ জেতে এটিকে মোহনবাগান। এই জয়েক ফলে ৬ পয়েন্ট নিয়ে ইন্টার জোনের সেমি ফাইনালে সবুজ-মেরুণ ব্রিগেড।