সংক্ষিপ্ত
এফসি কাপের ইন্টার জোনাল সেমি ফাইনালে নামার আগে আত্মবিশ্বাসী এটিকে মোহনবাগান দল। সোমবার থেকে উজবেকিস্তানে শুরু চুড়ান্ত অনুশীলন। তারপর হবে চূড়ান্ত দল ঘোষণা।
বুধবার এএফসি কাপের ইন্টার জোনাল সেমি ফাইনালে উজবেকিস্তানের চ্যাম্পিয়ন দল এফসি নাসাফের মুখোমুখি হবে এটিকে মোহনবাগান। সেই লক্ষ্যে দুবাইয়ে অনুশীলন শিবির শেষে উজবেকিস্তানে পৌছেছে সবুজ মেরুণ ব্রিগেড। দুবাইয়ের তুলনায় তাশখন্দের তাপমাত্রা কম আর ম্য়াচ রাতে হওয়ায় কিছুটা খুশি হাবাসের ছেলেরা। সোমবার থেকেই সেমি ফাইনালের জন্য চূড়ান্ত প্রস্তুতি শুরু করে দিল এটিকে মোহনবাগান। সোম ও মঙ্গলবার অনুশীলের পরই চূড়ান্ত দল নির্বাচন করবেন বাগানের স্প্যানিশ কোচ।
এফসি নাসাফের মূল শক্তি হল আক্রমণাত্মক ফুটবল। উইং বরাবর একের পর এক আক্রমণ করে উজবেকিস্তানের চ্যাম্পিয়ন দল। তাই বিপক্ষের অস্ত্র তাদের বিরুদ্ধেই কাজে লাগাতে অনুশীলনে সেট-পিস, বিভিন্ন ধরনের উইং প্লে-র উপর জোর দিয়েছেন বাগান কোচ। নক আউট ম্য়াচ হওয়ায় সবুজ-মেরুন শিবির সতর্ক। সেই কথাই শোনা গেল সাংবাদিক বৈঠকে প্রীতম কোটালের গলায়। বিপক্ষকে সমীহ করলেও নিজের দল নিয়ে আত্মবিশ্বাসী প্রীতম। তিনি বেন,গ্রুপ লিগে দলগুলি ছিল শক্তিশালী। আমরা তাদের পরাজিত করে নকআউট পর্বে এসেছি। কিন্তু এটা সত্যি যে নাসাফ আমাদের অঞ্চলের সবচেয়ে শক্তিশালী প্রতিপক্ষ। আমরা একজন ব্যক্তির উপর নির্ভর করে খেলি না। আমরা দল হিসেবে খেলি। আর দলগত ফুটবল খেলেই বিপক্ষকে মাত দেওয়ার চেষ্টা করব।
নাসাফের বিরুদ্ধে দলের রণনীতি কী হবে তা নিয়ে কোনও মুখ খোলেননি প্রীতম কোটাল। তবে জানিয়েছেন, নাসাফের মিডফিল্ড খুবই শক্তিশালী। উইং প্লে খুব ভালো। এই দুটোই উজবেকিস্তানের ক্লাবের আসল শক্তি। আমাদের এটা বন্ধ করতে হবে। আমরা সেভাবেই প্রস্তুতি নিচ্ছি। আমরা যেভাবে অনুশীলন করেছি সেভাবে জেতার ব্যাপারে আমরা শতভাগ আশাবাদী। সেমি ফাইনালে জিতে ইন্টার জোনাল ফাইনালে গেলে ইতিহাস তৈরি হবে। আর সেই লক্ষ্যেই এটিকে মোহনবাগান দল এগোচ্ছে বলে জানিয়েছেন প্রীতম কোটাল।