সংক্ষিপ্ত
- চ্যাম্পিয়ন্স লিগে অবিশ্বাস্য প্রত্যাবর্তন লিভারপুলের
- অ্যানফিল্ডে বার্সোলোনা ৪-০ ব্যবধানে পরাজিত হল
- প্রথম লেগে লিভারপুল পিছিয়ে ছিল ৩-০ গোলে
- ফুটবল বিশ্বকে চমকে দিয়ে ফাইনালে চলে গেলেন মহম্মদ সালাহ-রা
ফুটবল বিশ্বকে চমকে দিল লিভারপুল এফসি। মঙ্গলবার ঘরের মাঠ অ্যানফিল্ড-এ উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ২০১৯-এর সেমিফাইনালের দ্বিতীয় লেগের ম্যাচে বার্সেলোনার মুখোমুখি হয়েছিল তারা। প্রথম লেগে মেসিরা ৩-০ গোলে জিতেছিলেন। তার উপর এই ম্যাচে লিভারপুল পায়নি তাদের দুই তারকা মহম্মদ সালাহ ও রবার্তো ফিরমিনহোকে। কাজেই কেউই জুর্গেন ক্লপের দলের উপর বাজি ধরেননি। কিন্তু, মঙ্গলবার ৪-০ গোলে বার্সাকে পরাজিত করে দুই লেগ মিলিয়ে ৪-৩ গোলে এগিয়ে টানা দ্বিতীয়বার ফাইনালে উঠল লিভারপুল।
এদিন ৩-০ ব্যবধানে পিছিয়ে থেকে শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক ফুটবল খেলা ছাড়া গতি ছিল না লিভারপুলের। সালাহ-শাকিরি'রা সেভাবেই শুরু করেছিলেন আর ৭ মিনিটের মাথাতেই দিভক ওরিগি গলকে এগিয়ে দেন।
৩-০ গোলে এগিয়ে খেলতে নামায় সম্ভবত একটু গাছাড়া মনোভাব এসেছিল বার্সা খেলোয়াড়দের মধ্যে। কিন্তুপ শুরুতেই গোল খেয়ে তাদের সম্বিত ফেরে। তারাও পাল্টা আক্রমণের রাস্তায় যায়। ফলে বিরতি পর্যন্ত লিভারপুল ওই ১টি গোলই করতে পেরেছিল। সার্বিক ব্যবধানে তখনও এগিয়ে ছিল বার্সাই।
তবে দ্বিতীয়ার্ধে ছবিটা পাল্টে যায়। ৫৪ মিনিটে ট্রেন্ট আলেকজান্ডার আর্নল্ড-এর নিচু করে তোলা ক্রস থেকে জর্জিনিও উইনালডাম 'রেড'-দের দ্বিতীয় গোলটি করে যান। আর এখান থেকেই লিভারপুলের দুরন্ত প্রত্যাবর্তনের কাহিনি শুরু হয়।
দুই মিনিট যেতে না যেতেই হেড করে নিজের দ্বিতীয় ও দলের তৃতীয় গোলটি করে যান উইনালডাম। এই ক্ষেত্রে গোলের সামনে একেবারে মাপা ক্রসে বল সাজিয়ে দিয়েছিলেন জারদান শাকিরি।
এগ্রিগেট ৩-৩ হয়ে যাওয়ার পর গোল করে ব্যবধান বাড়ানোর মরিয়া চেষ্টা করেন বার্সা অধিনায়ক লিওনেল মেসি। কিন্তু ততক্ষণে জয়ের গন্ধ পেয়ে গিয়েছিল লিভারপুল। বার্সা একটি গোল করলেও তাদের সব প্রচেষ্টা জলে যেত। কিন্তু এই অবস্থায় নিজেদের ছাপিয়ে যান জুর্গেন ক্লপের ছেলেরা। মেসিকে সামান্যতন ফাঁকা জমিও দেননি তাঁরা।
কেলার ১০ মিনিট হবাকি থাকতে বার্সার লিগ জয়ের স্বপ্নের কফিনে শেষ পেরেকটি পুঁতে দেন সেই আলেকজান্ডার আর্নল্ড-ওরিগি জুটি। আলেকজান্ডার আর্নল্ড-এর মাপা কর্নার থেকে গোল করে যান ওরিগি। এখান থেকে আর ফিরতে পারেনি বার্সা। অ্যআনফিল্ডের গ্যালারি ও মাঠে তখন থেকেই উৎসব শুরু হয়ে যায়। শেষ বাঁশি বাজার পর আনন্দে আত্মহারা হয়ে যান লিভারপুল সমর্থকদের থেকে শুরু করে কোচ, কর্তা, ফুটবলাররাও।
এরপর মাদ্রিদে ১ জুন তারিখে ফাইনালে লিভারপুলকে খেলতে হবে টটেনহাম অথবা আয়াক্সের বিরুদ্ধে। আপাতত দ্বিতীয় সেমিফাইনালের প্রথম লেগে ১-০ ফলে এগিয়ে রয়েছে আয়াক্স। ২০০৫ সালে শেষ বার চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ট্রফি জিতেছিল লিভারপুল। এবার কি ১৪ বছরের খরা কাটবে - সেটাই দেখার।