সংক্ষিপ্ত

প্রয়াত হলেন প্রাক্তন তারকা ফুটবলার (Former Footballer) সুরজিৎ সেনগুপ্ত (Surajit Sengupta)। করোনা (Covid Positive) আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন তিনি। বৃহস্পতিবার শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। প্রাক্তন ফুটবলারের প্রয়াণে শোকস্তব্ধ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায় (CM Mamata Banerjee)।

পিকে বন্দ্যোপাধ্যায় (PK Banerjee), চুনী গোস্বামী (Chuni Goswami), সুভাষ ভৌমিকের (Subhash Bhowmick) পর বাংলার ফুটবলে আরও এক নক্ষত্র পতন। করোনা (Covid Positive) আক্রান্ত হয়ে প্রয়াত হলেন বাংলার তথা জাতীয় দলে (Indian Football Team) খেলা প্রাক্তন তারকা ফুটবলার সুরজিৎ সেনগুপ্ত (Surajit Sengupta)। জানুয়ারির শেষ সপ্তাহ থেকেই করোনা আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন তিনি। শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ার প্রথমে তাকে পোর্টেবল বাইপাপ ও পরে তাঁর অবস্থার আরও অবনতি হওয়ায় ভেন্টিলেশনে দেওয়া হয়। বিগত কয়েক দিন ধরে তার অবস্থার অবনতি হয়। অবশেষে বৃহস্পতিবার দুপুরে বাইপাসের ধারে বেসরকারি হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্য়াগ করেন তিনি।

প্রাক্তন তারকা ফুটবলের প্রয়াণে শোকস্তব্ধ বাংলার ক্রীড়া তথা  রাজনৈতিক মহল। সোশ্যাল মিডিয়ায় (Social Media) শোক জ্ঞাপন করেছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী (Chief Minister) মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। ট্য়ুইট করে মুখ্যমন্ত্রী লিখেছেন,'আজ আমরা প্রাক্তন তারকা ফুটবলার সুরজিৎ সেনগুপ্তকে চিরতরে হারালাম।  ফুটবল ভক্তদের হার্টথ্রব এবং একজন অসামান্য জাতীয় ক্রীড়াবিদ পাশাপাশি একজন নিখুঁত ভদ্রলোক, তিনি চিরকাল আমাদের হৃদয়ে থাকবেন। গভীর সমবেদনা।' প্রসঙ্গত, সুরজিৎ সেনগুপ্ত অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার পর তাঁর শারীরিক অবস্থার খোঁজ নিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।   সুরজিৎ সেনগুপ্তর চিকিৎসায় রাজ্য সরকারের তরফ থেকে সবরকম সাহায্য করা হয়। মন্ত্রীসভার অবন্যান্য সদস্যরাও হাসপাতালেও গিয়ে তার স্বাস্থের খোঁজ নিয়েছিলেন।

 

 

প্রসঙ্গত, ১৯৫১ সালে ৩০ অগাস্ট জন্ম হয় সুরজিৎ সেনগুপ্তের (Surajit Sengupta)। খিদিরপুর ক্লাবের (Khidirpur Club) হয়ে ময়দানে আবির্ভাব ঘটে সুরজিতের। ১৯৭২ সালে মোহনবাগানে (Mohun Bagan)সই করেন তিনি। ১৯৭৪-এ ইস্টবেঙ্গলে (East Bengal) যোগ দেন। ১৯৭৯ পর্যন্ত খেলেছেন লাল-হলুদে। ১৯৭৪ সালে জাতীয় দলে (Indian Football Team) অভিষেক ঘটে। খেলেন ১৯৭৯ পর্যন্ত। জাতীয় দলের জার্সিতে কুয়েতের বিরুদ্ধে ম্যাচে গোল করেছিলেন তিনি। সেটাই জাতীয় দলের হয়ে তাঁর একমাত্র গোল। ১৯৮০ সালে মহামেডান স্পোর্টিংয়র ক্যাপ্টেন হিসেবে লিগ জেতে সাদা-কালো শিবির।  এমন কিংবদবন্তী ফুটবলারের মৃত্যুতে শোকের ছায়া বাংলা তথা জাতীয় ফুটবল মহলে।