সংক্ষিপ্ত
- আই লিগ-এ ফের হার ইস্টবেঙ্গলের
- আইজল-এর কাছে হার ১-০ গোলে
- অবনমনের আতঙ্ক গ্রাস
জিতলে চার নম্বরে উঠে আসার সম্ভাবনা ছিল। কিন্তু আই লিগে যেন ক্রমশ অন্ধকারে তলিয়ে যাচ্ছে ইস্টবেঙ্গল। প্রথম পর্বের শেষ ম্যাচ-এ আইজলের কাছে হারের পর অবনমনের আতঙ্ক আরও চেপে বসল লাল হলুদ সমর্থকদের মধ্যে।
এবারের লিগে দশ নম্বরে রয়েছে পাহাড়ের দলটি। সমর্থকদের আশা ছিল, নতুন কোচ মারিও-র হাত ধরে অন্তত তাদের বিরুদ্ধে তিন পয়েন্ট ঘরে তুলবেন কোলাডো- মেরা-রা। কিন্তু কোথায় কী? উল্টে ম্যাচের ৭৬ মিনিটে ভেরন-এর করা গোলে কল্যাণী থেকে তিন পয়েন্ট নিয়ে ফিরল স্ট্যানলি রোজারিও-র দল।
শতবর্ষের ইস্টবেঙ্গলকে নিয়ে যত কম বলা যায় ততই ভাল। আগের ম্যাচে লাল কার্ড দেখে এ দিন দলেই ছিলেন না স্ট্রাইকার মার্কোস। দলে রাখা হয়নি স্প্যানিশ ডিফেন্ডার মার্তি ক্রেস্পিকে-ও। তার পরেও লাল হলুদের মাঠের ভিতরের পারফরম্যান্স-এ কোনও বদল নেই। গোটা দলটাই যেন চূড়ান্ত আত্মবিশ্বাসের অভাবে ভুগছে। এ দিন মিরশাদ যে গোলটি খেলেন, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে বাধ্য। এক জুয়ান মেরা ছাড়া বাকি কারও খেলার মধ্যে সেই তাগিদই চোখে পড়ল না।
স্ট্রাইকার সমস্যা মেটাতে ক্রোমাকে দলে নিয়েছিলেন ইস্টবেঙ্গল কর্তারা। তিনি বেশি খারাপ না মার্কোস, তা নিয়ে এবার ভাবতে বসতে পারেন লাল হলুদ সমর্থকরা। যে কোলাডো গত মরশুমে বিপক্ষের ত্রাস হয়ে উঠেছিলেন, তিনি এখন মাঠে নেমে মাঠে নেমে মাথা গরম ছাড়া কিছুই করছেন না।
আগের ম্যাচে ইন্ডিয়ান অ্যারোজ- এর কাছে হেরেছিল ইস্টবেঙ্গল। তার পরেও কল্যাণী পর্যন্ত গিয়েছিলেন বেশ কিছু ইস্টবেঙ্গল সমর্থক। কিন্তু যত দুঃখ, রাগ, হতাশা সব দায়ই যেন সমর্থকদের। এবারের লাল হলুদ জার্সি পরে যাঁরা মাঠে নামছেন, তাঁদের যেন এসব কিছুই ছুঁয়ে যায় না। ফলে হারের পর হারেও বদলাচ্ছে না শতবর্ষের ইস্টবেঙ্গল। লজ্জায় মুখ ঢাকছে সমর্থকদের।