সংক্ষিপ্ত
- উদয়পুরের এই গ্রাম ফুটবল ভিলেজ নামেই পরিচিত
- উদয়পুরের এই গ্রামের নাম জাওয়ার মাইনস
- গত ৪২ বছর ধরে গ্রামে ফুটবল টুর্নামেন্ট পরিচালনা করে চলেছেন
- এখানে পড়াশোনার চেয়ে বেশি ফুটবল খেলে চাকরি পায়
রাজস্থানের উদয়পুরের এই গ্রাম ফুটবলের গ্রাম বা ফুটবল ভিলেজ নামেই পরিচিত। উদয়পুরের এই গ্রামের নাম জাওয়ার মাইনস। রবিবার এই গ্রামে শিখ রেজিমেন্ট জলন্ধর এয়ার ফোর্স দিল্লিকে ফাইনাল ফুটবল ম্যাচে ২-০ গোলে হারিয়েছে। এই জাওয়ার গ্রামে রয়েছে সবচেয়ে বড় জিঙ্ক মাইন। এই আদিবাসী গ্রামটি মোহন কুমার মঙ্গলম ফুটবল টুর্নামেন্টের সঙ্গে বিশেষভাবে চিহ্নিত। মাইনের শ্রমিকরা গত ৪২ বছর ধরে গ্রামে ফুটবল টুর্নামেন্ট পরিচালনা করে চলেছেন। এই গ্রামের বাসিন্দারা পড়াশোনার চেয়ে বেশি ফুটবল খেলে চাকরি পায়।
আরও পড়ুন- ১৭ তম গ্র্যান্ড স্ল্যাম জিতে ফেডেরার এবং নাদালের ঘাড়ে নিঃশ্বাস ফেলছেন জোকার
এখানে প্রায় ১৭০ টিরও বেশি পরিবার আছেন, যারা এই টুর্নামেন্টে অংশগ্রহণ করেন। এখন গ্রামের প্রায় বেশিরভাগ পরিবারের সদস্য সরকারি চাকরি করেন। গ্রামবাসীরা জানিয়েছেন এখানে ফুটবল খেলা ছাড়া এই গ্রামে অন্য কোনও খেলা হয় না। এই গ্রামের বাসিন্দারা ঘরে ঘরে ফুটবল-কে রীতিমতো পুজো করেন। গ্রাম টুর্নামেন্ট খেলে অনেক খেলোয়াড় দেশের বিভিন্ন ফুটবল দলে খেলার সুযোগ পেয়েছেন। এই গ্রামে টুর্নামেন্ট অংশ নিতে বিমান বাহিনী, রেলপথ, ব্যাংক, পুলিশ সহ সমস্ত বিভাগ থেকে বিশেষ দল খেলতে আসেন।
আরও পড়ুন- ঠিক যেন সিনেমা, পুলিশের গুলিতে নিহত অপরাধীর অনাথ মেয়েকে দত্তক নিল পুলিশই
জাওয়ার এর এই গ্রামে মাত্র ২০০টির মত বাড়ি রয়েছে। তবে ৩০ টিরও বেশি গ্রামের হাজার হাজার মানুষ ফুটবল ম্যাচ দেখতে ভিড় জমায়। স্টেডিয়ামটি ভরাট হওয়ার পরে, এর কাছাকাছি পাহাড়টিও দর্শকরা খেলা দেখতে ভীড় জমিয়ে রাখেন। গ্রামের বাসিন্দা ৮০ বছর বয়সী কানুবাই বলেছেন যে পুরুষদের চেয়ে বেশি মহিলারা এবং শিশুরা স্টেডিয়ামে যান খেলা দেখতে। ফুটবল এই গ্রামে বেঁচে থাকার একমাত্র রসদ।